সিলেটে ঐতিহ্যের সেই পুকুরটি থাকছে না
সিলেট
শহর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। শুরুতে ছিল উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি
জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। ওই জেনারেটরে পানি সরবরাহের জন্য
পাশে থাকা পুকুরকে সংরক্ষণ করা হয়। সেই থেকে পুকুরও যেন এক ঐতিহ্য।
পরিচিতি পায় ‘সাপ্লাইয়ের দিঘি’ নামে।
১৯২১ সালে সিলেটে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহের সাক্ষী হয়ে থাকা ঐতিহ্যের সেই পুকুর আর থাকছে না। একাংশ ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে বিদ্যুতের নতুন একটি সাবস্টেশন। এতে ‘উপকার’ হওয়ায় জলাধার সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে পুরো পুকুর ভরাট করে আরও দুটি সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
প্রায় এক একর আয়তনের পুকুরের অবস্থান সিলেট নগরের আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের সংরক্ষিত এলাকায়। সিলেটে বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র-১-এর অবস্থান সেখানে। প্রায় দুই একর জায়গার অর্ধেকজুড়ে পুকুর হলেও ঐতিহ্য বিবেচনায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহের সাক্ষী হিসেবে পুকুরটি অবিকৃত অবস্থায় রাখা হয়েছিল।
জলাধার সংরক্ষণ আইনের (২০০০) ৩৬ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন হবে—এ রকম কোনো কাজও সরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে করা যাবে না।
আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, সাপ্লাইয়ের দিঘি হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগও সংরক্ষণে নজর রাখছিল। কচুরিপানা জমলে প্রতিবছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হতো। ২০১২ সালের দিকে পুকুরের এক কোণে পলিমাটি ফেলে ভরাট করা হয়। পরের বছর আরও কিছু অংশ ভরাট করে তৈরি করা হয় কয়েকটি ঘর। পরে পুকুরের প্রায় অর্ধেক ভরাট করে একদিকে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে গত বছরের ডিসেম্বরে নির্মাণ করা হয় বিদ্যুতের সাবস্টেশন।
আম্বরখানা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র-১ সূত্র জানায়, পুকুরের এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুতের সাবস্টেশনের জন্য ইতিমধ্যে ভরাট করা হয়েছে। বাকি অংশ ভরাট করে নির্মিতব্য সাবস্টেশনের আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের তোড়জোড় এ বছরের শুরুর দিক থেকে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পুকুরের অবশিষ্ট অংশে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
সিলেটে বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছানা উল্লাহ জানান, পুকুরের একাংশ ভরাট করে একটি সাবস্টেশন নির্মাণ হওয়ায় প্রথমত গ্রাহকেরা লো-ভোল্টেজের বিড়ম্বনা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছেন। পাশাপাশি শহরের যেসব ফিডারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়, নতুন সাবস্টেশন থেকে অন্য ফিডারে ১০ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ সেবা গ্রাহকদের দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘এতে উপকার হওয়ায় আরও দুটি সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।’
পুকুর ভরাট করে এ ধরনের কার্যক্রম প্রচলিত আইনের পরিপন্থী বলে তাঁকে জানালে এ ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথার বলার পরামর্শ দেন তিনি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ্বাসও ঐতিহ্যের চেয়ে বর্তমান সংকট সমাধানের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের জন্য একটি উপকারী কাজ হচ্ছে। সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হওয়ায় জলাধার সংরক্ষণ আইনি বিষয়গুলো আর আমাদের জন্য স্থানীয়ভাবে দেখা সম্ভব হচ্ছে না।’
বিদ্যুতের জন্য ‘উপকারী’ হলেও এ কাজ সরাসরি জলাধার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, যেকোনো কাজে জলাধার ভরাট করা আইন লঙ্ঘন। পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সরেজমিনে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
১৯২১ সালে সিলেটে প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহের সাক্ষী হয়ে থাকা ঐতিহ্যের সেই পুকুর আর থাকছে না। একাংশ ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে বিদ্যুতের নতুন একটি সাবস্টেশন। এতে ‘উপকার’ হওয়ায় জলাধার সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে পুরো পুকুর ভরাট করে আরও দুটি সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
প্রায় এক একর আয়তনের পুকুরের অবস্থান সিলেট নগরের আম্বরখানা ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের সংরক্ষিত এলাকায়। সিলেটে বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র-১-এর অবস্থান সেখানে। প্রায় দুই একর জায়গার অর্ধেকজুড়ে পুকুর হলেও ঐতিহ্য বিবেচনায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহের সাক্ষী হিসেবে পুকুরটি অবিকৃত অবস্থায় রাখা হয়েছিল।
জলাধার সংরক্ষণ আইনের (২০০০) ৩৬ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন হবে—এ রকম কোনো কাজও সরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে করা যাবে না।
আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, সাপ্লাইয়ের দিঘি হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগও সংরক্ষণে নজর রাখছিল। কচুরিপানা জমলে প্রতিবছর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হতো। ২০১২ সালের দিকে পুকুরের এক কোণে পলিমাটি ফেলে ভরাট করা হয়। পরের বছর আরও কিছু অংশ ভরাট করে তৈরি করা হয় কয়েকটি ঘর। পরে পুকুরের প্রায় অর্ধেক ভরাট করে একদিকে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে গত বছরের ডিসেম্বরে নির্মাণ করা হয় বিদ্যুতের সাবস্টেশন।
আম্বরখানা বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্র-১ সূত্র জানায়, পুকুরের এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুতের সাবস্টেশনের জন্য ইতিমধ্যে ভরাট করা হয়েছে। বাকি অংশ ভরাট করে নির্মিতব্য সাবস্টেশনের আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণের তোড়জোড় এ বছরের শুরুর দিক থেকে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পুকুরের অবশিষ্ট অংশে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
সিলেটে বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছানা উল্লাহ জানান, পুকুরের একাংশ ভরাট করে একটি সাবস্টেশন নির্মাণ হওয়ায় প্রথমত গ্রাহকেরা লো-ভোল্টেজের বিড়ম্বনা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছেন। পাশাপাশি শহরের যেসব ফিডারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়, নতুন সাবস্টেশন থেকে অন্য ফিডারে ১০ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ সেবা গ্রাহকদের দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘এতে উপকার হওয়ায় আরও দুটি সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।’
পুকুর ভরাট করে এ ধরনের কার্যক্রম প্রচলিত আইনের পরিপন্থী বলে তাঁকে জানালে এ ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথার বলার পরামর্শ দেন তিনি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রতন কুমার বিশ্বাসও ঐতিহ্যের চেয়ে বর্তমান সংকট সমাধানের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের জন্য একটি উপকারী কাজ হচ্ছে। সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হওয়ায় জলাধার সংরক্ষণ আইনি বিষয়গুলো আর আমাদের জন্য স্থানীয়ভাবে দেখা সম্ভব হচ্ছে না।’
বিদ্যুতের জন্য ‘উপকারী’ হলেও এ কাজ সরাসরি জলাধার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, যেকোনো কাজে জলাধার ভরাট করা আইন লঙ্ঘন। পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সরেজমিনে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
No comments