আমে রাসায়নিক ব্যবহার না করার শপথ চাষিদের
মে মাসের শুরু থেকেই রাজধানীর বাজার ভরে গেছে পাকা আমে |
রাজশাহীর
চারঘাট ও বাঘা উপজেলার আমচাষি-ব্যবসায়ীরা আগাম আম পাকাতে বা আম সংরক্ষণ
করতে কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করার শপথ নিয়েছেন। কেউ
রাসায়নিক ব্যবহার করলে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
চারঘাট উপজেলার বুধিরহাট বাজারে গতকাল মঙ্গলবার চারঘাট ও বাঘার আম ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে হাত তুলে এই শপথ করেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় আমচাষি এনামুল হক। বক্তব্য দেন আমচাষি ও স্থানীয় বুধিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন, চাষি ও কলেজশিক্ষক কাবিল হোসেন, হাবিবুর রহমান, আরিফুজ্জামান, চাষি গিয়াস উদ্দিন, আবদুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম, নাসিম উদ্দিন, আবদুল মান্নাফ প্রমুখ। সমাবেশে দুই উপজেলার শতাধিক আমচাষি ও ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, রাজশাহীর আম বলতে প্রধানত চারঘাট ও বাঘা উপজেলার আমকে বোঝায়। এই আম চাষের সঙ্গে শুধু চাষি আর ব্যবসায়ীরাই জড়িত নন, এর সঙ্গে আপামর জনসাধারণ জড়িত রয়েছে। আম পরিচর্যা থেকে শুরু করে বাজারে নেওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বহু মানুষ জড়িত। গত বছর আমে ফরমালিন দেওয়ার গুজবে বহু সৎ আমচাষি পথে বসে গেছেন। দু-একজন অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে হাজার হাজার আমচাষির সর্বনাশ হয়েছে। এবারও সেই অবস্থার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চারঘাটের যে বাগান গত বছর ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এবার সেই বাগান মাত্র সাত লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তাও পুরো টাকা পরিশোধ করা হয়নি। রাজশাহীতে আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে।
চাষিরা বলেন, এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চারঘাটে জেলা প্রশাসক এসে চাষিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চাষিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে আম যখন পুষ্ট হবে, সেই আম তখন ভাঙা (পাড়া) হবে। আগাম আমের বাজার ধরার জন্য অপরিপক্ব আম আগেভাগে পেড়ে কোনো রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হবে না। আবার আম পাকা ঠেকাতে বা সংরক্ষণ করতে তাঁরা ফরমালিনও ব্যবহার করবেন না। এমনকি তাঁদের জানামতে কোনো চাষি বা ব্যবসায়ী যদি আমে রাসায়নিক ব্যবহার করেন, তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
চাষিরা আরও বলেন, এখন তাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পোকা দমনের জন্য সহনীয় মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এর বিকল্প ভালো কিছু যদি আবিষ্কৃত হয়, তাঁরা তাই ব্যবহার করবেন।
সমাবেশে গাছপাকা কিছু গুটি জাতের আম প্রদর্শন করা হয় এবং ঘোষণা দেওয়া হয়, এই সময় শুধু এই জাতের আম তাঁরা ভাঙতে (পাড়তে) পারবেন।
সমাবেশ ও শপথ প্রসঙ্গে চারঘাট উপজেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নাফ বলেন, ‘শুধু ফরমালিন বা কার্বাইড নয়, মানুষের ক্ষতি হতে পারে—এমন কোনো রাসায়নিক ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা। আম এই অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল। সেটা ধ্বংস করতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর বিতর্কিত যন্ত্র দিয়ে আমের ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবার যাতে সে রকম কিছু না করা হয় এবং প্রয়োজনে উন্নত যন্ত্র দিয়ে সেটা করা হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৬ এপ্রিল চারঘাটের একটি আমবাগানে বসে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে অপরিপক্ব আম না নামানো এবং রাসায়নিক ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রশাসনের নজরদারি থাকবে। বিএসটিআইয়ের সহায়তা নিয়ে প্রয়োজনে আম পরীক্ষা করা হবে।
চারঘাট উপজেলার বুধিরহাট বাজারে গতকাল মঙ্গলবার চারঘাট ও বাঘার আম ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে হাত তুলে এই শপথ করেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় আমচাষি এনামুল হক। বক্তব্য দেন আমচাষি ও স্থানীয় বুধিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন, চাষি ও কলেজশিক্ষক কাবিল হোসেন, হাবিবুর রহমান, আরিফুজ্জামান, চাষি গিয়াস উদ্দিন, আবদুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম, নাসিম উদ্দিন, আবদুল মান্নাফ প্রমুখ। সমাবেশে দুই উপজেলার শতাধিক আমচাষি ও ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, রাজশাহীর আম বলতে প্রধানত চারঘাট ও বাঘা উপজেলার আমকে বোঝায়। এই আম চাষের সঙ্গে শুধু চাষি আর ব্যবসায়ীরাই জড়িত নন, এর সঙ্গে আপামর জনসাধারণ জড়িত রয়েছে। আম পরিচর্যা থেকে শুরু করে বাজারে নেওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বহু মানুষ জড়িত। গত বছর আমে ফরমালিন দেওয়ার গুজবে বহু সৎ আমচাষি পথে বসে গেছেন। দু-একজন অসৎ ব্যবসায়ীর কারণে হাজার হাজার আমচাষির সর্বনাশ হয়েছে। এবারও সেই অবস্থার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চারঘাটের যে বাগান গত বছর ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এবার সেই বাগান মাত্র সাত লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তাও পুরো টাকা পরিশোধ করা হয়নি। রাজশাহীতে আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক ও হতাশা বিরাজ করছে।
চাষিরা বলেন, এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চারঘাটে জেলা প্রশাসক এসে চাষিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চাষিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে আম যখন পুষ্ট হবে, সেই আম তখন ভাঙা (পাড়া) হবে। আগাম আমের বাজার ধরার জন্য অপরিপক্ব আম আগেভাগে পেড়ে কোনো রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হবে না। আবার আম পাকা ঠেকাতে বা সংরক্ষণ করতে তাঁরা ফরমালিনও ব্যবহার করবেন না। এমনকি তাঁদের জানামতে কোনো চাষি বা ব্যবসায়ী যদি আমে রাসায়নিক ব্যবহার করেন, তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
চাষিরা আরও বলেন, এখন তাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পোকা দমনের জন্য সহনীয় মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এর বিকল্প ভালো কিছু যদি আবিষ্কৃত হয়, তাঁরা তাই ব্যবহার করবেন।
সমাবেশে গাছপাকা কিছু গুটি জাতের আম প্রদর্শন করা হয় এবং ঘোষণা দেওয়া হয়, এই সময় শুধু এই জাতের আম তাঁরা ভাঙতে (পাড়তে) পারবেন।
সমাবেশ ও শপথ প্রসঙ্গে চারঘাট উপজেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নাফ বলেন, ‘শুধু ফরমালিন বা কার্বাইড নয়, মানুষের ক্ষতি হতে পারে—এমন কোনো রাসায়নিক ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমরা। আম এই অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল। সেটা ধ্বংস করতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর বিতর্কিত যন্ত্র দিয়ে আমের ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবার যাতে সে রকম কিছু না করা হয় এবং প্রয়োজনে উন্নত যন্ত্র দিয়ে সেটা করা হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৬ এপ্রিল চারঘাটের একটি আমবাগানে বসে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে অপরিপক্ব আম না নামানো এবং রাসায়নিক ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রশাসনের নজরদারি থাকবে। বিএসটিআইয়ের সহায়তা নিয়ে প্রয়োজনে আম পরীক্ষা করা হবে।
No comments