বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় সামরিক শক্তি বাড়াবে চীন
দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় সামরিক শক্তি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। ওই অঞ্চলে নির্মাণাধীন কৃত্রিম দ্বীপ প্রকল্পের পাশাপাশি আরও দুটো বাতিঘর স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বেইজিং। মঙ্গলবার ‘সামরিক কৌশল’বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এসব কথা জানিয়েছে চীন সরকার। চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, নতুন প্রকাশিত এ শ্বেতপত্রে নতুন পরিস্থিতিতে সামরিক কৌশলের নীতিমালা চালু জোরদার করা,
প্রতিরক্ষা ও সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন দ্রুত করা এবং দৃঢ়ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ রক্ষা করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এটি ১৯৯৮ সাল থেকে চীন সরকার প্রকাশিত নবম প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্র। এছাড়া চীনের সামরিক কৌশল বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত প্রথম শ্বেতপত্র। এ শ্বেতপত্রের মোট শব্দ সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ, জার্মান, স্প্যানিশ, আরবি ও জাপানিসহ ৮টি ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে এ শ্বেতপত্র। এতে ভূমিকা, চীনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সেনাবাহিনীর কর্তব্য ও কৌশল, ইতিবাচক প্রতিরোধক কৌশল, সামরিক শক্তির বিনির্মাণ ও উন্নয়ন, সামরিক সংগ্রামের প্রস্তুতি এবং সামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ ৬টি বিভাগ রয়েছে। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নের কৌশল অনুসারে নতুন পরিস্থিতির চাহিদা মেটানোর জন্য চীন দৃঢ়ভাবে ইতিবাচক প্রতিরোধক কৌশল চালু করবে। সামরিক সংগ্রামের প্রস্তুতি,
তথ্যায়ন ও স্থানীয় যুদ্ধ জয় করার ওপর নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে সমুদ্রে সামরিক সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং দৃঢ়ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব, একীকরণ ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে। শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, চীনের সেনাবাহিনী অভিন্ন নিরাপত্তা, বহুমুখী নিরাপত্তা, সহযোগিতামূলক নিরাপত্তা ও টেকসই নিরাপত্তার চিন্তাধারায় অবিচল থাকবে। দক্ষিণ চীন সাগরে ২ বাতিঘর : যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোর তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও দক্ষিণ চীন সাগরে নতুন তৎপরতা শুরু করেছে বেইজিং। এবার দুটো বাতিঘর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান করছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, বাতিঘর দুটো নির্মিত হলে সমুদ্রে অনুসন্ধানী তৎপরতা, জরুরি মুহূর্তে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ তৎপরতা সম্পন্ন করা যাবে।
No comments