মাটি ধস, সুন্দরবন হোটেল ঝুঁকিতে
সুন্দরবন হোটেল ঘেঁষে নির্মাণাধীন ভবনের জন্য করা পাইলিংয়ের গর্তে গতকাল ধসে পড়া হোটেলের সীমানাপ্রাচীর ও সড়কের একাংশ l ছবি: প্রথম আলো |
রাজধানীর
সোনারগাঁও ক্রসিং-সংলগ্ন নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের জন্য খোঁড়া বিশাল
গর্তে পাশের অভিজাত সুন্দরবন হোটেলের সীমানাপ্রাচীর, ভূগর্ভস্থ তলার নিচের
অংশবিশেষ এবং পাশের একটি সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে। গতকাল বুধবার এ ঘটনা
ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।
ঝুঁকির মুখে গতকাল সুন্দরবন হোটেল থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সেখানে ৬৪ কাঠা জমিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের টুইন টাওয়ার নির্মাণের জন্য পাইলিং করতে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। হোটেল সুন্দরবনের মহাব্যবস্থাপক ওয়াজেদ আলী অভিযোগ করেন, টুইন টাওয়ারের ত্রুটিপূর্ণ পাইলিংয়ের জন্য সুন্দরবন হোটেলের সীমানাপ্রাচীর, ভূগর্ভস্থতলা ও রাস্তা ধসে পড়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে এ ঘটনায় তাঁরা কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পাশাপাশি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর হোটেলে থাকা ৪৫ জন অতিথিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, মাটি ধসের সময় বিকট শব্দ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তা ও সদস্যরা ছুটে যান। পরে রাজউক, তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঢাকার দুই মেয়র এবং বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে যান।
এরপর ধস ঠেকাতে বালুর বস্তা ফেলা শুরু হয়। এ সময় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও স্যুয়ারেজের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা একটার পর বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কের দুই পাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনে কর্তব্যরত আনসার সদস্য দুলাল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আচমকা ‘মট মট’ ও ‘ঠাস ঠাস’ শব্দে রাস্তা, হোটেলের নিচ ও সীমানাপ্রাচীর থেকে মাটি খসে পড়তে শুরু করে। একটু পরপর ২০-২৫ মিনিট ধরে মাটি ধসে পড়তে থাকে। এ সময় হোটেল ভবন কেঁপে ওঠে বলে নিরাপত্তাকর্মীরা জানান।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাস্তা ধসে পড়ায় পাশে সুন্দরবন হোটেলের ভূগর্ভস্থ তলার ওয়াসার পাইপ ফেটে যায়। গ্যাস লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওয়াসার পাইপ ফেটে যাওয়ায় বিপুল বেগে পানির ধারা ধসে পড়া অংশের মাটি ধুয়ে পাইলিংয়ের গর্তে পড়তে থাকলে আরও বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়।
দুপুরে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ারর জেনারেল আলী আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সুন্দরবন হোটেল ঝুঁকির মধ্যে আছে। পাইলিংয়ের সময় লোহার জালি দিলে ধসের ঘটনা ঘটত না।
রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নকশা অনুযায়ী পাইলিং করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মেয়রের বৈঠক: দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজউক, সিটি করপোরেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পুলিশ ও র্যা বের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বুয়েটের শিক্ষকদের নিয়ে স্থানীয় মোনায়েম টাওয়ারের নিচতলায় বৈঠক করেন মেয়র আনিসুল হক। বৈঠকে আনিসুল হককে প্রধান করে ১৪ সদস্যের একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়।
ন্যাশনাল ব্যাংক ভবনটি নির্মাণ করছে কোরীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ডোঙ্গা। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সহ-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে এম এস কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এর কর্ণধার বলে পরিচয় দেওয়া মো. সালাহ উদ্দিন দাবি করেন, ২২ হাজার বর্গফুটের ১২তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি নেই। ভূগর্ভস্থ তলায় প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য করা গর্তের পাশ দিয়ে ওয়াসার পানির পাইপ যাওয়ায় সেখান দিয়ে ধসের ঘটনা ঘটেছে।
ঝুঁকির মুখে গতকাল সুন্দরবন হোটেল থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সেখানে ৬৪ কাঠা জমিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের টুইন টাওয়ার নির্মাণের জন্য পাইলিং করতে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। হোটেল সুন্দরবনের মহাব্যবস্থাপক ওয়াজেদ আলী অভিযোগ করেন, টুইন টাওয়ারের ত্রুটিপূর্ণ পাইলিংয়ের জন্য সুন্দরবন হোটেলের সীমানাপ্রাচীর, ভূগর্ভস্থতলা ও রাস্তা ধসে পড়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে এ ঘটনায় তাঁরা কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পাশাপাশি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ করেছেন। ঘটনার পর হোটেলে থাকা ৪৫ জন অতিথিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, মাটি ধসের সময় বিকট শব্দ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তা ও সদস্যরা ছুটে যান। পরে রাজউক, তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঢাকার দুই মেয়র এবং বুয়েটের কয়েকজন শিক্ষক ঘটনাস্থলে যান।
এরপর ধস ঠেকাতে বালুর বস্তা ফেলা শুরু হয়। এ সময় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও স্যুয়ারেজের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেলা একটার পর বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কের দুই পাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনে কর্তব্যরত আনসার সদস্য দুলাল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আচমকা ‘মট মট’ ও ‘ঠাস ঠাস’ শব্দে রাস্তা, হোটেলের নিচ ও সীমানাপ্রাচীর থেকে মাটি খসে পড়তে শুরু করে। একটু পরপর ২০-২৫ মিনিট ধরে মাটি ধসে পড়তে থাকে। এ সময় হোটেল ভবন কেঁপে ওঠে বলে নিরাপত্তাকর্মীরা জানান।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাস্তা ধসে পড়ায় পাশে সুন্দরবন হোটেলের ভূগর্ভস্থ তলার ওয়াসার পাইপ ফেটে যায়। গ্যাস লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওয়াসার পাইপ ফেটে যাওয়ায় বিপুল বেগে পানির ধারা ধসে পড়া অংশের মাটি ধুয়ে পাইলিংয়ের গর্তে পড়তে থাকলে আরও বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়।
দুপুরে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ারর জেনারেল আলী আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সুন্দরবন হোটেল ঝুঁকির মধ্যে আছে। পাইলিংয়ের সময় লোহার জালি দিলে ধসের ঘটনা ঘটত না।
রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নকশা অনুযায়ী পাইলিং করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মেয়রের বৈঠক: দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজউক, সিটি করপোরেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পুলিশ ও র্যা বের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বুয়েটের শিক্ষকদের নিয়ে স্থানীয় মোনায়েম টাওয়ারের নিচতলায় বৈঠক করেন মেয়র আনিসুল হক। বৈঠকে আনিসুল হককে প্রধান করে ১৪ সদস্যের একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়।
ন্যাশনাল ব্যাংক ভবনটি নির্মাণ করছে কোরীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ডোঙ্গা। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সহ-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে এম এস কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এর কর্ণধার বলে পরিচয় দেওয়া মো. সালাহ উদ্দিন দাবি করেন, ২২ হাজার বর্গফুটের ১২তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি নেই। ভূগর্ভস্থ তলায় প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য করা গর্তের পাশ দিয়ে ওয়াসার পানির পাইপ যাওয়ায় সেখান দিয়ে ধসের ঘটনা ঘটেছে।
No comments