গণপিটুনি নয় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড -সংবাদ সম্মেলনে নিহত দুজনের স্বজনেরা
যশোর প্রেসক্লাবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত ইসমাইল হোসেনের মা ও বাবা। তাঁদের সান্ত্বনা দেন এক স্বজন l ছবি: প্রথম আলো |
যশোরে
নিহত দুই তরুণের স্বজনেরা বলছেন, তরুণেরা গণপিটুনিতে মারা যায়নি। এটা
‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’। যশোর প্রেসক্লাবে গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে
তাঁরা এ কথা বলেন।
শহরের হুদা রাজাপুর মোড়ে গত রোববার পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের জেলা সমন্বয়ক বরুণ তরফদারকে দুর্বৃত্তরা ধাওয়া করে। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হয়। সেখানে গণপিটুনিতে যশোর সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন (২৪) ও আড়পাড়া গ্রামের আল-আমিন (২৩) মারা যান। তাঁরা পরস্পর বন্ধু ছিলেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন নিহত ইসমাইলের মামা দেলোয়ার হোসেন। দেলোয়ার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক। তিনি বলেন, পুলিশ ও কথিত ছিনতাইয়ের শিকার বরুণ তরফদার ইসমাইল হোসেন ও আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে পুলিশ গণপিটুনির নাটক সাজিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণপিটুনি হলে নিহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাতের চিহ্ন থাকত। কিন্তু মাথা ছাড়া তাঁদের শরীরে আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
দেলোয়ার অভিযোগ করেন, ‘যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সনাতন ধর্মের এক ছাত্রীর সঙ্গে নিহত একজনের প্রেম ছিল। ওই মেয়েটি বরুণের আত্মীয়। এ কারণেই হয়তো বরুণ পুলিশকে ব্যবহার করে তাঁদের হত্যা করিয়েছেন।’
হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের জন্য সম্মেলন থেকে যশোরের পুলিশ সুপারকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যবস্থা না নিলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্কাছ আলীসহ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপিও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে বরুণ তরফদার বলেন, ‘আমি ইসমাইল বা আল-আমিন নামে কাউকে চিনি না।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার আক্কাস আলী বলেন, গণপিটুনিতেই দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ‘আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি মনজুর রশিদ হত্যা মামলায় ওই দুজন পুলিশের নজরদারিতে ছিল। যে অস্ত্র দিয়ে মনজুরকে হত্যা করা হয়েছে, সেই অস্ত্রটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
শহরের হুদা রাজাপুর মোড়ে গত রোববার পদ্মা লাইফ ইনস্যুরেন্সের জেলা সমন্বয়ক বরুণ তরফদারকে দুর্বৃত্তরা ধাওয়া করে। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হয়। সেখানে গণপিটুনিতে যশোর সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন (২৪) ও আড়পাড়া গ্রামের আল-আমিন (২৩) মারা যান। তাঁরা পরস্পর বন্ধু ছিলেন।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন নিহত ইসমাইলের মামা দেলোয়ার হোসেন। দেলোয়ার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক। তিনি বলেন, পুলিশ ও কথিত ছিনতাইয়ের শিকার বরুণ তরফদার ইসমাইল হোসেন ও আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে পুলিশ গণপিটুনির নাটক সাজিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণপিটুনি হলে নিহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাতের চিহ্ন থাকত। কিন্তু মাথা ছাড়া তাঁদের শরীরে আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
দেলোয়ার অভিযোগ করেন, ‘যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সনাতন ধর্মের এক ছাত্রীর সঙ্গে নিহত একজনের প্রেম ছিল। ওই মেয়েটি বরুণের আত্মীয়। এ কারণেই হয়তো বরুণ পুলিশকে ব্যবহার করে তাঁদের হত্যা করিয়েছেন।’
হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের জন্য সম্মেলন থেকে যশোরের পুলিশ সুপারকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যবস্থা না নিলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্কাছ আলীসহ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপিও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে বরুণ তরফদার বলেন, ‘আমি ইসমাইল বা আল-আমিন নামে কাউকে চিনি না।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার আক্কাস আলী বলেন, গণপিটুনিতেই দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ‘আওয়ামী বাস্তুহারা লীগের জেলা কমিটির সাবেক সহসভাপতি মনজুর রশিদ হত্যা মামলায় ওই দুজন পুলিশের নজরদারিতে ছিল। যে অস্ত্র দিয়ে মনজুরকে হত্যা করা হয়েছে, সেই অস্ত্রটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
No comments