উপকূলের ঘরে ঘরে আর্তনাদ by সরওয়ার আলম শাহীন
উখিয়া
উপকূলে স্বজনদের কান্না থামছে না। উপকূলের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন
কান্নার রোল। চলছে আর্তনাদ। কেউ সন্তান হারিয়ে, কেউ স্বামী হারিয়ে আর কেউবা
আর্তনাদ করছেন পিতা-মাতাকে হারিয়ে। থাইল্যান্ডের গহীন অরণ্যে গণকবরের
সন্ধান লাভের পর উখিয়া উপকূলে যে কান্নার রোল উঠেছিল মালয়েশিয়ার গভীর
জঙ্গলে গণকবরের সন্ধান লাভের পর তার মাত্রা ছড়িয়ে পড়েছে উপকূলের প্রায়
প্রতিটি ঘরে ঘরে। কান্না ও স্বজনহারাদের আজাহারিতে নীরব শান্ত উপকূল এখন
আর্তনাদের বিষাদের চরে পরিণত হয়েছে। ঘরে ঘরে চলছে মাতম। রাতারাতি বড়লোক
হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অল্প পুঁজিতে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে গিয়ে
উপকূলের প্রায় শতাধিক কিশোর-যুবকের হদিস নেই। ছয় মাসের ব্যবধানে শতাধিক
স্থানীয় নাগরিক নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় উপকূলের মনখালী, ছেপটখালী,
ছোয়াংখালী ও সোনাইছড়ি গ্রামের ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়েছে। ছেলে, স্বামী,
সন্তান হারানোর বেদনায় পরিবার পরিজনের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার
পরিবেশ।
উখিয়া থানা ও আদালতে দায়েরকৃত মামলার সূত্র ও স্থানীয় ভুক্তভোগী পরিবার পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপকূলীয় এলাকার চিহ্নিত মানব পাচারকারীরা স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর ম্যানেজ করে উপকূলীয় জনপদ জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী, ছেপটখালী, ছোয়াংখালী ও সোনাইছড়ি গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলো থেকে সহজ-সরল যুবকের সঙ্গে প্রতারণা করে, নগদ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে তাদের নির্ধারিত ইঞ্জিল চালিত নৌকা দিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় লোক পাচার করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। মাঝে মধ্যে পুলিশ হানা দিয়ে চুনোপুটি দালালদের আটক করলেও প্রভাবশালী গডফাদাররা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকার কারণে তারা বহাল-তবিয়তেই চালিয়ে গেছে মানব পাচার। সরজমিন সোনাইছড়ি ও চোয়াংখালী গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, শুধু মানব পাচারকারী গডফাদার রুস্তম আলী, ফয়েজ ও নুরুল কবিরের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গত এক বছরে উপকূলের প্রায় ৫ শতাধিক যুবক মালয়েশিয়া যাত্রা করেছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান জানান, এ থানায় প্রায় ৪৬টি মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। ওই সব মামলায় তিন শতাধিক আসামির মধ্যে প্রায় ২৫ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাদ বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ রাত-দিন অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উখিয়া থানা ও আদালতে দায়েরকৃত মামলার সূত্র ও স্থানীয় ভুক্তভোগী পরিবার পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপকূলীয় এলাকার চিহ্নিত মানব পাচারকারীরা স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর ম্যানেজ করে উপকূলীয় জনপদ জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী, ছেপটখালী, ছোয়াংখালী ও সোনাইছড়ি গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলো থেকে সহজ-সরল যুবকের সঙ্গে প্রতারণা করে, নগদ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে তাদের নির্ধারিত ইঞ্জিল চালিত নৌকা দিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়ায় লোক পাচার করে আসছিল দীর্ঘদিন থেকে। মাঝে মধ্যে পুলিশ হানা দিয়ে চুনোপুটি দালালদের আটক করলেও প্রভাবশালী গডফাদাররা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক থাকার কারণে তারা বহাল-তবিয়তেই চালিয়ে গেছে মানব পাচার। সরজমিন সোনাইছড়ি ও চোয়াংখালী গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, শুধু মানব পাচারকারী গডফাদার রুস্তম আলী, ফয়েজ ও নুরুল কবিরের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গত এক বছরে উপকূলের প্রায় ৫ শতাধিক যুবক মালয়েশিয়া যাত্রা করেছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান জানান, এ থানায় প্রায় ৪৬টি মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। ওই সব মামলায় তিন শতাধিক আসামির মধ্যে প্রায় ২৫ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাদ বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ রাত-দিন অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
No comments