দুই দেশের সম্পর্ক যমুনা নদীর মতো চিরবহমান

চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়াদং আশা প্রকাশ করেছেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাবে। বিদ্যমান সম্পর্ক দিনে দিনে নতুন নতুন মাত্রা ও বৈচিত্র্য পাবে। দুই দেশের সম্পর্ক ‘যমুনা নদীর মতো চিরবহমান’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) সংবর্ধনার জবাবে লিউ ইয়ানদং এসব কথা বলেন। এনএসইউ-এর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি। কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক দিলারা আফরোজ খান রূপার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনএসইউ-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ ও ভিসি প্রফেসর আমিন সরকার। চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী এনএসইউ-এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, পরিচালকমণ্ডলী ও অতিথিদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অকৃত্রিম ও সুদীর্ঘ দিনের। বঙ্গবন্ধুর আমলে এই সম্পর্কের ভিত রচিত হয়। এখন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও সম্পর্ককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। আর চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক অংশীদার। চীন ও বাংলাদেশ উভয়ে নিজ নিজ দেশকে সমৃদ্ধ করবে পরস্পরের সহযোগিতায়। লক্ষ্য অর্জনে দু’দেশের জনগণ যৌথ প্রয়াস নেবে। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। তার প্রমাণ এই কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। এই উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশেই রয়েছে এই ইনস্টিটিউট যা অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে চীনা ভাষা ও চীনে বাংলা ভাষা প্রচলনের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বছরই বাংলাদেশের একশ’ ছাত্রছাত্রী চীন যাবে। লিউ ইয়ানদং বলেন, আরও বেশি পরিমাণে চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করবে। বিশেষ ইপিজেডে আরও বিনিয়োগ হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, চীন বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন অংশীদার। চীন থেকে আমাদের আমদানি অনেক বেশি কিন্তু শিল্পপার্ক হলে আমরা বেশি বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পারবো। চীন আমাদের কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে। আগামী কয়েক বছরে চীনে রপ্তানি দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। পরে অতিথিরা এনএসইউ-এর অত্যাধুনিক কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট ঘুরে ঘুরে দেখেন। চীনা সরকারের সহায়তায় পরিচালিত এই ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার ব্যবস্থা রয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা চীনা ও বাংলাদেশী ঢং-এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

No comments

Powered by Blogger.