মানব পাচার রোধে বাংলাদেশকে বড় সহায়তার সুযোগ নেই
মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশকে বড় ধরনের সহায়তার সুযোগ নেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। কারণ অবৈধভাবে মানুষ মাইগ্রেশন হচ্ছে। তবে বাংলাদেশকে দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ইউরোপে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে বাংলাদেশী নাগরিকের।
বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত মায়াদোন পিয়ারি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক অনেক পুরনো। যুক্তরাজ্যে সিলেটের জন্য আলাদা স্থান রয়েছে। তবে সম্প্রতি মানব পাচারের বিষয়টি জাতিসংঘ দেখছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে অর্থনৈতিক রিপোর্টাদের সংগঠন ইআরএফ। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান। সভায় ইইউর রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাণিজ্য, অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা, বিদেশী বিনিয়োগ, শ্রমমান নিয়ে কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ আনতে হলে একটি সুন্দর পরিবেশকে ফোকাস করতে হবে। কিন্তু টিভি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে দেখা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খারাপ। এ ধরনের খবর বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এছাড়া দেশের আদালতে ৭০ শতাংশ মামলা হচ্ছে ভূমিসংক্রান্ত। নিরাপদ বিনিয়োগ পরিবেশ ও বিনিয়োগের নিশ্চয়তা না পেলে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে না। মায়াদোন পিয়ারি বলেন, রানা প্লাজার দুর্ঘটনা ইউরোপের আবেগে আঘাত করেছে। তৈরি পোশাক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মোট পোশাক রফতানির ৬০ শতাংশ ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জিডিপির ১০ শতাংশের সমান। এখন বাংলাদেশের শ্রমমান আরও উন্নত করতে হবে। শ্রম আইন রফতানি প্রক্রিয়া অঞ্চলেও বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। তৈরি পোশাক রফতানি ৫ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে হবে। এসব বাস্তবায়ন করা হলে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ইউরোপের বাজারে নয়টি দেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপ নিলে এই সুবিধা পাবে না। তবে বাংলাদেশকে এই সুবিধা পেতে শ্রমমান উন্নয়ন, সুশাসন ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত, শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি চমৎকার ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে গড়ে থাকছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ব্লু ইকোনমি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ। এতে একটি নতুন সম্ভাবনা অর্থনীতির ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে।
সভায় প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশ সরকার দাবি করছে শ্রমমান উন্নয়ন হচ্ছে, ইইউ বলছে ধীর গতি। এ ক্ষেত্রে সরকারের কি করণীয় আছে। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রমমান উন্নয়নে কারখানা পরিদর্শক নিয়োগ বাড়াতে হবে। শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রযুক্তিগত দিকগুলো আরও কর্মপরিবেশে বাড়াতে হবে। মতবিনিময় সভায় ইআরএফের সিনিয়র সদস্য ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত মায়াদোন পিয়ারি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক অনেক পুরনো। যুক্তরাজ্যে সিলেটের জন্য আলাদা স্থান রয়েছে। তবে সম্প্রতি মানব পাচারের বিষয়টি জাতিসংঘ দেখছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে অর্থনৈতিক রিপোর্টাদের সংগঠন ইআরএফ। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান। সভায় ইইউর রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাণিজ্য, অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা, বিদেশী বিনিয়োগ, শ্রমমান নিয়ে কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশী বিনিয়োগ আনতে হলে একটি সুন্দর পরিবেশকে ফোকাস করতে হবে। কিন্তু টিভি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে দেখা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খারাপ। এ ধরনের খবর বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এছাড়া দেশের আদালতে ৭০ শতাংশ মামলা হচ্ছে ভূমিসংক্রান্ত। নিরাপদ বিনিয়োগ পরিবেশ ও বিনিয়োগের নিশ্চয়তা না পেলে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে না। মায়াদোন পিয়ারি বলেন, রানা প্লাজার দুর্ঘটনা ইউরোপের আবেগে আঘাত করেছে। তৈরি পোশাক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মোট পোশাক রফতানির ৬০ শতাংশ ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জিডিপির ১০ শতাংশের সমান। এখন বাংলাদেশের শ্রমমান আরও উন্নত করতে হবে। শ্রম আইন রফতানি প্রক্রিয়া অঞ্চলেও বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। তৈরি পোশাক রফতানি ৫ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে হবে। এসব বাস্তবায়ন করা হলে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ইউরোপের বাজারে নয়টি দেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা পাচ্ছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপ নিলে এই সুবিধা পাবে না। তবে বাংলাদেশকে এই সুবিধা পেতে শ্রমমান উন্নয়ন, সুশাসন ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত, শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি চমৎকার ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে গড়ে থাকছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ব্লু ইকোনমি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ। এতে একটি নতুন সম্ভাবনা অর্থনীতির ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে।
সভায় প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশ সরকার দাবি করছে শ্রমমান উন্নয়ন হচ্ছে, ইইউ বলছে ধীর গতি। এ ক্ষেত্রে সরকারের কি করণীয় আছে। জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রমমান উন্নয়নে কারখানা পরিদর্শক নিয়োগ বাড়াতে হবে। শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রযুক্তিগত দিকগুলো আরও কর্মপরিবেশে বাড়াতে হবে। মতবিনিময় সভায় ইআরএফের সিনিয়র সদস্য ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments