বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ১০ তরুণ নিখোঁজ, পরিবারে মাতম by জিয়া শাহীন
২
লাখ টাকায় নৌপথে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর গত দুই
মাসেও ১০ তরুণের কোন খোঁজ নেই। বগুড়া দুপচাঁচিয়া থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে খোঁজ না পেয়ে পরিবারের
সদস্যদের মাঝে চলছে মাতম। ঋণের বোঝার সঙ্গে সন্তান শোকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে
পরিবারের সদস্যরা। এদিকে গত ১৭ই মে ৫ দালালের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে
দুপচাঁচিয়া থানায়। ওই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোলগ্রামের আবু বক্করের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৪) এবং তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রনি হোসেন (২৭) নামের দুই তরুণ এক বছর আগে মালয়েশিয়া যান। প্রবাসী রবিউল ও রনি আরও কয়েকজনকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের মায়ের মাধ্যমে কোলগ্রামের শাহজাহান আলী (৩২), কামাল হোসেন (২৭), আশরাফুল ইসলাম (২৬), রোস্তম আলী (২৮), সারোয়ার হোসেন (৪০), বেলাল হোসেন (২৫), রবিউল ইসলাম (২০), মন্জুর হোসেন (২৫), মিজানুর রহমান (৩০) ও নজরুল ইসলামকে (৩৫) মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভাল চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রস্তাব দেয়। মালয়েশিয়া যেতে ২ লাখ টাকা করে জমা দিতে বলে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্র পথে গত ৬ই মার্চ কক্সবাজার হয়ে মালয়েশিয়ার পথে পাড়ি জমান। সমুদ্রপথে ট্রলাল ছেড়ে যাওয়ার ২০ দিন পর ওই ১০ তরুণ মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের জানান, আরও দুই লাখ টাকা দালালদের পরিবারের কাছে না পৌঁছিলে নির্যাতন করবে। তারা ঠিকমতো খাবার দিচ্ছে না, ট্রলার থেকে নামতে দিচ্ছে না। ২ লাখ টাকা জমা দিলে তারা মালয়েশিয়া নিয়ে যায়। ওই ১০ তরুণের পরিবারের সদস্যরা জায়গা-জমি বিক্রি করে ২ লাখ টাকা পরিশোধ করে। এরপর গত ১ মাস পেরিয়ে গেলেও ছয় তরুণের কোন খোঁজ পাচ্ছে না পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও দালালদেরও আর খুঁজে পাচ্ছে না। নিখোঁজ রবিউল ইসলামের ভাই সাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, গত এক মাসেও রবিউলের সংবাদ না পেয়ে পিতা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার শরীরের অবস্থা ভাল নেই। পরিবারের এক সন্তান নিখোঁজ থাকায় সার্বক্ষণিক তাকে খোঁজ করার চেষ্টা চলছে।
নিখোঁজ নজরুল ইসলামের পিতা ইসমাইল হোসেন জানান, পরিবারের উপার্জনক্ষম সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে জমি বিক্রি করেছি। এখন তো পুত্রেরই খোঁজ পাচ্ছি না। অভাব দূর হচ্ছে না।
বেলাল হোসেনের পিতা আবদুস সালাম জানান, ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে ঋণ করা হয়েছে। এক দিকে ছেলে নিখোঁজ অপরদিকে ঋণের চাপ। পাওনাদার কয়েকবার টাকা চেয়ে গেছে। প্রশাসন সহযোগিতা না করলে তারা সন্তানদের খুঁজে পাবে না বলে জানান।
এদিকে এ ঘটনায় নিখোঁজ বেলাল হোসেনের পিতা আবদুস সামাদ গত ১৭ই মে দুপচাঁচিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ মামলা গ্রহণের পর পরই দুপুরে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে হোসনে আরা ও মিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী আবদুস সামাদ জানান, প্রতিবেশী হোসনে আরা ও মিনা বেগমের ছেলের কথা শুনেই ছেলেদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছি। এক মাস আগে ছেলের সঙ্গে কথা বলে আমরা ১০ পরিবারের লোকজন প্রত্যেকে দুই লাখ করে ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। আজ এক মাস দশদিন পার হলো ছেলেদের কোন খবর পাচ্ছি না। ছেলেদের ব্যাপারে হোসনে আরা ও মিনা বেগমকে বললে তারা কোন খবর দেন না। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোপাল চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, পাঁচজনকে আসামি করে মানব পাচারের একটি মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার এবং ওই ১০ তরুণের খোঁজ বের করতে বিভিন্ন স্থানে সংবাদ প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোলগ্রামের আবু বক্করের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৪) এবং তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রনি হোসেন (২৭) নামের দুই তরুণ এক বছর আগে মালয়েশিয়া যান। প্রবাসী রবিউল ও রনি আরও কয়েকজনকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের মায়ের মাধ্যমে কোলগ্রামের শাহজাহান আলী (৩২), কামাল হোসেন (২৭), আশরাফুল ইসলাম (২৬), রোস্তম আলী (২৮), সারোয়ার হোসেন (৪০), বেলাল হোসেন (২৫), রবিউল ইসলাম (২০), মন্জুর হোসেন (২৫), মিজানুর রহমান (৩০) ও নজরুল ইসলামকে (৩৫) মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভাল চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রস্তাব দেয়। মালয়েশিয়া যেতে ২ লাখ টাকা করে জমা দিতে বলে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্র পথে গত ৬ই মার্চ কক্সবাজার হয়ে মালয়েশিয়ার পথে পাড়ি জমান। সমুদ্রপথে ট্রলাল ছেড়ে যাওয়ার ২০ দিন পর ওই ১০ তরুণ মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের জানান, আরও দুই লাখ টাকা দালালদের পরিবারের কাছে না পৌঁছিলে নির্যাতন করবে। তারা ঠিকমতো খাবার দিচ্ছে না, ট্রলার থেকে নামতে দিচ্ছে না। ২ লাখ টাকা জমা দিলে তারা মালয়েশিয়া নিয়ে যায়। ওই ১০ তরুণের পরিবারের সদস্যরা জায়গা-জমি বিক্রি করে ২ লাখ টাকা পরিশোধ করে। এরপর গত ১ মাস পেরিয়ে গেলেও ছয় তরুণের কোন খোঁজ পাচ্ছে না পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও দালালদেরও আর খুঁজে পাচ্ছে না। নিখোঁজ রবিউল ইসলামের ভাই সাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, গত এক মাসেও রবিউলের সংবাদ না পেয়ে পিতা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার শরীরের অবস্থা ভাল নেই। পরিবারের এক সন্তান নিখোঁজ থাকায় সার্বক্ষণিক তাকে খোঁজ করার চেষ্টা চলছে।
নিখোঁজ নজরুল ইসলামের পিতা ইসমাইল হোসেন জানান, পরিবারের উপার্জনক্ষম সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে জমি বিক্রি করেছি। এখন তো পুত্রেরই খোঁজ পাচ্ছি না। অভাব দূর হচ্ছে না।
বেলাল হোসেনের পিতা আবদুস সালাম জানান, ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে ঋণ করা হয়েছে। এক দিকে ছেলে নিখোঁজ অপরদিকে ঋণের চাপ। পাওনাদার কয়েকবার টাকা চেয়ে গেছে। প্রশাসন সহযোগিতা না করলে তারা সন্তানদের খুঁজে পাবে না বলে জানান।
এদিকে এ ঘটনায় নিখোঁজ বেলাল হোসেনের পিতা আবদুস সামাদ গত ১৭ই মে দুপচাঁচিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ মামলা গ্রহণের পর পরই দুপুরে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে হোসনে আরা ও মিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী আবদুস সামাদ জানান, প্রতিবেশী হোসনে আরা ও মিনা বেগমের ছেলের কথা শুনেই ছেলেদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছি। এক মাস আগে ছেলের সঙ্গে কথা বলে আমরা ১০ পরিবারের লোকজন প্রত্যেকে দুই লাখ করে ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। আজ এক মাস দশদিন পার হলো ছেলেদের কোন খবর পাচ্ছি না। ছেলেদের ব্যাপারে হোসনে আরা ও মিনা বেগমকে বললে তারা কোন খবর দেন না। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোপাল চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, পাঁচজনকে আসামি করে মানব পাচারের একটি মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার এবং ওই ১০ তরুণের খোঁজ বের করতে বিভিন্ন স্থানে সংবাদ প্রেরণ করা হয়েছে।
No comments