সালাহউদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি -হাইকোর্টে ডিএমপি, সিআইডি ও এসবির প্রতিবেদন
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী গতকাল সুপ্রিম কোর্টে যান : নয়া দিগন্ত |
পুলিশি হেফাজতে গ্রহণ করা হয়নি : র্যাবের প্রতিবেদন
বিএনপির
যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাকে
খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। হাইকোর্টের জারিকৃত রুলের প্রেক্ষিতে
নিজ নিজ প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি), পুলিশের
অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। তবে এ বিষয়ে
স্পষ্ট বক্তব্য নেই র্যাবের প্রতিবেদনে। র্যাবের প্রতিবেদনে কেবল বলা
হয়েছেÑ ‘হাসিনা আহমেদের স্বামী সালাহউদ্দিন আহমেদকে পুলিশি হেফাজতে গ্রহণ
করা হয়নি।’ তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টার কথাও নেই এতে। গতকাল রোববার এসব
প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সব পক্ষকে
শুনে আদালত আজ সোমবার বেলা ৩টায় মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর সমন্বয়ে
গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নেয়া হয় বলে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ পরদিন ১১ মার্চ থেকে অভিযোগ করে আসছেন। এরপর বিএনপিও অভিযোগ করেছেÑ পুলিশ, ডিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিন আহমেদকে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার বা আটকের কথা স্বীকার করেননি। এরপর সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন করলে তাকে খুঁজে বের করতে এবং ১৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের প্রেক্ষিতে বিবাদিরা গতকাল আদালতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। শুরুতে নিজেদের আবেদন বিষয়ে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ডিএমপি, সিআইডি, এসবি ও র্যাবের প্রতিবেদন পড়ে শোনান। পাশাপাশি অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে করা একটি জিডির (সাধারণ ডায়েরি) বক্তব্যও উপস্থাপন করেন। র্যাব ছাড়া প্রতিটি বিভাগই জানায়, সালাহউদ্দিন আহমেদকে পুলিশের কোনো শাখা আটক বা গ্রেফতার করেনি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে খুঁজে পাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা পুলিশ চালাচ্ছে। খুঁজে বের করা বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য নেই র্যাবের প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হাসিনা আহমেদের স্বামী সালাহউদ্দিন আহমেদকে পুলিশি হেফাজতে গ্রহণ করা হয়নি।’ র্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম আজাদের পাঠানো প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এর বাইরে ওই প্রতিবেদনে আর কোনো বক্তব্য নেই।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে দায়ের করা জিডির প্রেক্ষিতে করা তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাপ্ত অভিযোগ ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কোনোভাবেই নিশ্চিত হওয়া যায় না যে, ওই বাসায় সালাহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বা তাকে কেউ গ্রেফতার বা অপহরণ করেছে। ওই বাসার ভাড়াটিয়ারা বলছেন, এখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কেউ কাউকে নিয়েছে, তা তারা জানেন না।
এসব প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সরকার বা সরকারের এজেন্সিগুলোকে হেয় করার জন্যই এমন অভিযোগ করা হয়ে থাকতে পারে। সব সংস্থাই বলছে, তারা সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেনি। তারা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। এটি তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে। এরপর তিনি রুলটি নিষ্পত্তির আরজি জানান।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা পুলিশ প্রতিবেদনের অনুলিপি পায়নি। এ বিষয়ে আমাদের কিছু জবাব দেয়ার আছে। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা হালকাভাবে নেয়া যায় না। তিনি সালাহউদ্দিন আহমেদ বা বিএনপির কোন নেতা, তা আমাদের ভুলে যেতে হবে। তিনি এই রাষ্ট্রের একজন নাগরিক। তার কি এমন পরিণতি হওয়া উচিত? বিষয়টিকে বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত। মানবাধিকারের প্রশ্ন জড়িত এখানে।
এ সময় আদালত বলেন, এ ধরনের একটা বিষয়ে আমরা কেন এত সময় নেব। যেখানে পুলিশের চারটি শাখার প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা রুল নিষ্পত্তি করে একটা পর্যবেণ দিতে পারি যে, সালাহউদ্দিন আহমদকে খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত রাখা হয়। এ সময় মওদুদ আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কেন? এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা। মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। এটিকে অন্যান্য মামলার মতো নেবেন না।
আদালত বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে এমন অনেক ম্যাটার ডিল করি। সেসব ম্যাটারেও জীবন-মৃত্যুর বিষয় জড়িত থাকে। মওদুদ আহমদ বলেনÑ হ্যাঁ করেন, দ্বিমত করব না। আমরা প্রতিবেদনের একটি কপি পর্যন্ত পেলাম না। এরপর আদালত বাদিপক্ষকে প্রতিবেদনের কপি দিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সাথে প্রতিবেদনগুলো এফিডেভিড আকারে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। এ সময় মওদুদ আহমদ আবারো শুনানির জন্য সময়ের আরজি জানান।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, উনারা (বাদিপক্ষ) এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু করছেন। আদালত মন্তব্য করেন, অবশ্যই এটি রাজনৈতিক ইস্যু, তবে আদালতের বাইরে। এ সময় সালাহউদ্দিন আহমেদের আরেক আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, যেখানে মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন জড়িত, সেটি রাজনৈতিক ইস্যু হতে পারে না।
গত ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নেয়া হয় বলে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ পরদিন ১১ মার্চ থেকে অভিযোগ করে আসছেন। এরপর বিএনপিও অভিযোগ করেছেÑ পুলিশ, ডিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিন আহমেদকে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট কেউ সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার বা আটকের কথা স্বীকার করেননি। এরপর সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন করলে তাকে খুঁজে বের করতে এবং ১৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের প্রেক্ষিতে বিবাদিরা গতকাল আদালতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। শুরুতে নিজেদের আবেদন বিষয়ে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ডিএমপি, সিআইডি, এসবি ও র্যাবের প্রতিবেদন পড়ে শোনান। পাশাপাশি অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে করা একটি জিডির (সাধারণ ডায়েরি) বক্তব্যও উপস্থাপন করেন। র্যাব ছাড়া প্রতিটি বিভাগই জানায়, সালাহউদ্দিন আহমেদকে পুলিশের কোনো শাখা আটক বা গ্রেফতার করেনি। তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে খুঁজে পাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা পুলিশ চালাচ্ছে। খুঁজে বের করা বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য নেই র্যাবের প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘হাসিনা আহমেদের স্বামী সালাহউদ্দিন আহমেদকে পুলিশি হেফাজতে গ্রহণ করা হয়নি।’ র্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষে পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম আজাদের পাঠানো প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এর বাইরে ওই প্রতিবেদনে আর কোনো বক্তব্য নেই।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে দায়ের করা জিডির প্রেক্ষিতে করা তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাপ্ত অভিযোগ ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কোনোভাবেই নিশ্চিত হওয়া যায় না যে, ওই বাসায় সালাহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বা তাকে কেউ গ্রেফতার বা অপহরণ করেছে। ওই বাসার ভাড়াটিয়ারা বলছেন, এখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কেউ কাউকে নিয়েছে, তা তারা জানেন না।
এসব প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সরকার বা সরকারের এজেন্সিগুলোকে হেয় করার জন্যই এমন অভিযোগ করা হয়ে থাকতে পারে। সব সংস্থাই বলছে, তারা সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেনি। তারা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। এটি তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে। এরপর তিনি রুলটি নিষ্পত্তির আরজি জানান।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা পুলিশ প্রতিবেদনের অনুলিপি পায়নি। এ বিষয়ে আমাদের কিছু জবাব দেয়ার আছে। এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা হালকাভাবে নেয়া যায় না। তিনি সালাহউদ্দিন আহমেদ বা বিএনপির কোন নেতা, তা আমাদের ভুলে যেতে হবে। তিনি এই রাষ্ট্রের একজন নাগরিক। তার কি এমন পরিণতি হওয়া উচিত? বিষয়টিকে বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত। মানবাধিকারের প্রশ্ন জড়িত এখানে।
এ সময় আদালত বলেন, এ ধরনের একটা বিষয়ে আমরা কেন এত সময় নেব। যেখানে পুলিশের চারটি শাখার প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা রুল নিষ্পত্তি করে একটা পর্যবেণ দিতে পারি যে, সালাহউদ্দিন আহমদকে খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত রাখা হয়। এ সময় মওদুদ আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে এত তাড়াহুড়ো কেন? এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা। মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। এটিকে অন্যান্য মামলার মতো নেবেন না।
আদালত বলেন, আমরা প্রতি সপ্তাহে এমন অনেক ম্যাটার ডিল করি। সেসব ম্যাটারেও জীবন-মৃত্যুর বিষয় জড়িত থাকে। মওদুদ আহমদ বলেনÑ হ্যাঁ করেন, দ্বিমত করব না। আমরা প্রতিবেদনের একটি কপি পর্যন্ত পেলাম না। এরপর আদালত বাদিপক্ষকে প্রতিবেদনের কপি দিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সাথে প্রতিবেদনগুলো এফিডেভিড আকারে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। এ সময় মওদুদ আহমদ আবারো শুনানির জন্য সময়ের আরজি জানান।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, উনারা (বাদিপক্ষ) এটিকে রাজনৈতিক ইস্যু করছেন। আদালত মন্তব্য করেন, অবশ্যই এটি রাজনৈতিক ইস্যু, তবে আদালতের বাইরে। এ সময় সালাহউদ্দিন আহমেদের আরেক আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, যেখানে মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন জড়িত, সেটি রাজনৈতিক ইস্যু হতে পারে না।
No comments