অসমান বন্ধুত্বের বিড়ম্বনা by আহমেদ উল্লাহ ভূইয়া

মহামনীষীর বাণীÑ ÔUnequal friendship brings danger to the weaker side.Õঅর্থাৎ অসমান বন্ধুত্ব দুর্বলের জন্য বিপদ ডেকে আনে। এ বন্ধুত্ব ব্যক্তি, পরিবার বা রাষ্ট্রের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। বন্ধু নির্বাচনের ঝামেলা বিস্তর। আন্তঃরাষ্ট্রীয় বন্ধুত্বের অভিজ্ঞতা অনেক ভাগ্যহত জাতির মতো আমাদের অভিজ্ঞতাও অনেকটা তিক্ত রসে সিক্ত, বঞ্চনায় কিষ্ট এবং একপেশে মোড়লিপনায় অতিষ্ঠ। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের উৎসাহ ও সহযোগিতা আমাদের এতটাই মুগ্ধ করেছে যে, আমরা ভেবেছিলাম এর ধারাবাহিকতা অুণœœ থাকবে। কথায় বলে, সবচেয়ে ভালো বন্ধু হলো ‘কমরেড ইন আর্মস’। কিন্তু এ স্বপ্ন উবে যেতে বেশি সময় লাগেনি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ফেলে রাখা বা জমা দেয়া অস্ত্র তারা সবই নিয়ে গেছে। শিল্পকারখানার যন্ত্রপাতি, দোকানের দামি মালপত্র, যানবাহনÑ সবই। পাকিস্তানি লুটেরা শত্র“দের হটিয়ে আমরা যেন পেলাম ‘লুটেরা মিত্র’।
আমাদের গর্বের বন্ধুরা শুধু এ ‘মহান’ দায়িত্ব পালন করেই কান্ত হননি। আমাদের প্রবাসী সরকারকে অসম ও সম্মান হানিকর চুক্তিতে আবদ্ধ হতে বাধ্য করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের অহঙ্কার সর্বত্যাগী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবাসী সরকারকেও শত্র“দের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেয়নি। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের মহান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগদানের সৌভাগ্য হয়নি। পাকিস্তানি খুনি, ধর্ষক, লুটেরা বাহিনী এ দেশের লাখ লাখ আদমসন্তান হত্যা করেছিল, হাজার হাজার মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছিল, পুড়িয়ে দিয়েছিল ঘরবাড়ি। ভারত সেসব অপরাধীকে ভারতে নিয়ে যায়। আমরা মূল যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে পারিনি। বিজয়ী শক্তি হয়েও আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অসহায় দর্শকের মতো বিজিত স্বদেশে আমাদের অবস্থান খুঁজে পাইনি। মনে হলো, অস্ত্র জমা সমর্পণের সাথে সাথে আমরা নিয়তির কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারাই এ দিক দিয়ে ব্যতিক্রম। রাষ্ট্র পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধের সমরনায়কেরা দৃশ্যান্তরে হারিয়ে গেলেন। বহিঃরাষ্ট্রের দিকনির্দেশনায় আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্যনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি চলতে থাকায় সহসাই আমরা দেখতে পেলাম অরাজকতা, সন্ত্রাস, দুর্ভি, চোরাচালান আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে। পড়শির প্রতি কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার দুয়ার-জানালা খুলতে গিয়ে আমরা আমাদের সীমান্তও খুলে দিয়েছিলাম। আমাদের আবেগাপ্লুত ভালোবাসার সাথে দেশের সম্পদও ভারতে চলে যায়। আবেগে বন্ধুদেশ চোখ বুজে আলীঙ্গন করতে গিয়ে চোখ খুলে দেখি, ’৭৪-এর দুর্ভি, ফারাক্কার ফাঁস, বেরুবাড়ী ভারতের অংশ। দণি তালপট্টিতে ভারতীয় সৈন্য এবং আমরা সে ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত।
এহেন আচরণ দেখে স্বয়ং মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ ১৯৮৮ সালের ২৮ এপ্রিল ভারতের দি স্টেটসম্যান পত্রিকার সাথে এক সাাৎকারে বলেছিলেন, ‘ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে বেনিয়াসুলভ আচরণ করেছে, যা যেকোনো বিবেচনায় ঠিক হয়নি।’
ব্রিটিশ শাসনের ১৯০ বছরের শোষণ-শাসন, হিংস্র হয়েনাসম জমিদারদের শোষণ-অত্যাচারের হাত থেকে মুক্ত হতে আমরা পাকিস্তানি রাষ্ট্র গঠন করেছিলাম আত্মনিয়ন্ত্রণের আশায়। কিন্তু পাকিস্তানিদের উন্নাসিকতা ও স্বৈর শাসন আমাদের নতুনভাবে স্বশাসনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। আত্মরা ও আত্মমর্যাদার তাগিদে আমরা বাধ্য হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিই। লাখ লাখ বনি আদমের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২১৪ বছর ধরে এ দেশের মানুষ প্রতিদিনই লড়েছে। মেরেছে এবং মরেছে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার জন্য। পৃথিবীর ইতিহাসে এত দীর্ঘ সংগ্রাম, এত ত্যাগ আর কোথাও দেখা যায় না। আজো যদি বন্ধুত্বের আলীঙ্গনের চাপে শ্বাসরুদ্ধ হতে হয়, এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কী হতে পারে? বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর পাশে অবস্থিত ছোট রাষ্ট্রগুলো সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচারণ পেলেও আমাদের প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্তরীদের গুলি খেয়ে প্রাণ হারাতে হয়। কিন্তু আমরা বন্ধু ভারতের প্রতিপ নই। ভারতের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের তি করার মানসিকতাও আমাদের নেই, সামর্থ্যও নেই। অর্থনৈতিকভাবে আমরা ভারতের পণ্যের বাজার হয়ে যাচ্ছি। ভারতের প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়ের ত্রে বাংলাদেশ। আমাদের পণ্য ভারতে সহজে ঢুকতে পারে না। তাদের আকাশ সংস্কৃতির সবগুলো চ্যানেল আমাদের এখানে চলে। অথচ আমাদের একটি চ্যানেল পর্যন্ত তারা প্রচার করতে দেয় না। তা হলে ভারত কি আমাদের বন্ধু ভাবতে অস্বস্তি অনুভব করে? আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তাদের হস্তপে কূটনৈতিক শিষ্টাচারের রীতিনীতির লঙ্ঘন।
বর্তমান জোট সরকার মতার সিঁড়িতে পা না দিতেই ভারত ছুটে এলো চুক্তি করতে। নেপালের সাথে ট্রানজিট চুক্তি করার সাথে সাথেই বন্ধু ভারত প্রমাদ গুনল বাংলাদেশী যানবাহন তাদের দেশে প্রবেশ করলে তাদের তি হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর তাদের যানবাহন ঢুকতে পারছে কী করে? ইতিহাস সাী আমরা ভারতকে বন্ধু ভাবলেও তারা আমাদের অচ্ছুৎই ভাবে। সঙ্গত কারণেই ভারতকে ’৭১-এ পেয়েছি ‘শত্র“র শত্র“’Ñ আমাদের বন্ধু হিসেবে। বাস্তবে কেন একপীয় ভালোবাসা? ফ্রান্সের প্রখ্যাত রাষ্ট্রপতি দ্য গলের ভাষায় বলতে হয়Ñ‘আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক শুধুই স্বার্থ। অন্য কিছু ভাবা অবান্তর।’
সমগ্র উত্তরবঙ্গ মরুকরণের পথে। ভারত উজানের নদ-নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর প্রবাহ শেষ করে দিচ্ছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের হিসাব মতে, এতে বাংলাদেশের বার্ষিক অর্থনৈতিক তি ৫৪ হাজার কোটি টাকা। প্রাকৃতিক ভারসাম্য, ভূমির লবণাক্ততার কথা নাই বা বললাম। তিস্তা নদীর ওপর ১০টি বাঁধ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আরো ২৭টি। তা হলে দশ বছর পর সামান্য পানিও আসবে না। আন্তর্জাতিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে একটি রাষ্ট্র ও জাতিকে পানিবঞ্চিত করার খেলা চলছে।
’৭১-এ ভারত সীমান্ত খুলে দিয়েছিল, যাতে আমরা ভারতে যেতে পারি, বিপদে আশ্রয় নিতে পারি। আজ সে ভারতই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এমনভাবে ঘিরে দিয়েছে যেন আমাদের এ ভূখণ্ডে বিপজ্জনক শ্বাপদের বসবাস, আর এর হাত থেকে বাঁচার জন্যই তাদের আত্মরামূলক ব্যবস্থা। অথচ ভারতের পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দমনে ভারত আমাদের এ জনবহুল ুদ্র ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চায়। এ চাওয়া মনে হয় প্রত্যাখ্যাত হবে না। পায়ের সাথে পাদুকা বিনিময় করার ইতিহাস আমরা আগেও সৃষ্টি করেছি। বেরুবাড়ী হস্তান্তর করলেও তিনবিঘা হস্তান্তর চুক্তি ভারত আজো অনুমোদন করেনি। জাতীয় সম্পদের সাথে সাথে জাতীয় স্বার্থ ও ভূখণ্ড দানখয়রাতের ‘বদান্যতা’ আমাদের রাজনীতিবিদদের আগেও ছিল, এখনো আছে।
এ দিকে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল, শত শত কেজি গাঁজা, হেরোইন, অবৈধ অস্ত্র সীমান্ত গড়িয়ে বাংলাদেশে আসছে। বাংলা ভাষায় কথা বললে তারা সন্দেহ করেÑ এরা বাংলাদেশী। হয়তো কোনো কারণে সে দেশে চলে গেছে। তাই দল বেঁধে পাঠিয়ে দেয়Ñ যাকে আমরা ‘পুশ ইন’ বলে থাকি। অভিন্ন নদীর পানিও বাংলাদেশকে দিতে রাজি নয়। ওদিকে বঙ্গোপসাগরের প্রাকৃতিক সম্পদে আমাদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে। তারা জানে, যত কলসির কানাই তারা ভাঙে না কেন, আমাদের এ ভূখণ্ডে প্রেম নিবেদন করার নিঃস্বার্থ প্রেমিকের সংখ্যা কম নয়। প্রায় প্রতিদিনই তাদের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স আমাদের লোককে হত্যা করে। জনে-বলে, শক্তি-সামর্থ্যে ভারত আমাদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তাই বন্ধুত্বের আলীঙ্গনে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে এলেও বলার কিছু থাকে না। কারণ আমাদের এখানে এক ধরনের বন্ধুত্বপিয়াসী মানুষ আছে। এ জন্য দায়ী বা উৎসাহদাতা একশ্রেণীর মেরুদণ্ডহীন বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদ তারা সস্তা ফায়দা লুটতে গিয়ে, জাতীয় সম্পদ ও সম্মান লুণ্ঠনে সহযোগিতা করে থাকে। এ অভ্যাসের ফলে তারা হাতকে মুষ্টিবদ্ধ করতে ভুলে গেছে। জাতিসত্তার ইতিহাসে আমাদের গৌরবগাথা বিধৃত। হাজার বছরের ইতিহাসে দেখা যায়Ñ আমরা তখনই হেরেছি, যখন আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যের বন্ধনকে অস্বীকার করেছি। এ ভূখণ্ডের বাইরের কৃষ্টিকলায় যখনই আমরা অভ্যস্ত হয়েছি, অনৈক্যের হলাহল পান করেছি, তখনই আমরা হারিয়েছি স্বাধীনতা ও আমাদের আত্মমর্যাদা। ১৯৭০-এর একতা এবং ১৯৭১-এর ইস্পাতকঠিন ঐক্যই আমাদের দিয়েছিল স্বাধীনতা ও স্বাধীন সত্তা। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম সোপানে পা রেখেই যেন মনে হচ্ছেÑ আমরা আবারো যেন বহুধা বিভক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
বিশ্বায়নের যুগে আজকে আমরা যাদের বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধÑ এসব ‘সুমো কুস্তিগির টাইপে’র বন্ধুদের আলীঙ্গনে আমাদের পাঁজরের হাড় আদৌ অত থাকবে কি না, এতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। তাদের খেয়ালি আনন্দনৃত্যের বেখেয়ালি পদভার একবার যদি শীর্ণদেহী বাংলাদেশের ওপর পড়ে, তবে অর্থোপেডিয়েট্রিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসায়ও সেরে উঠবে কি না সন্দেহ। মার্কিনপ্রেমে দণি কোরিয়া, ফিলিপাইন, ইরাক, আফগানিস্তান এবং ভারতপ্রেমে সিকিম, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কার অবস্থা তো আমরা প্রত্য করছি।
আমরা তিরিশ লাখ শহীদের কথা বলি। কিন্তু যে আত্মমর্যাদার জন্য তারা জীবন বাজি রেখে শির উঁচু করে দাঁড়ানোর শিা দিয়েছিলেন, সেই শিা কি আমরা গ্রহণ করেছি? শহীদেরা যদি এমনই কথিত বন্ধুত্ব চাইতেন, তাহলে তো আজো আমরা বাঁকা মেরুদণ্ড নিয়েই আধিপত্যবাদ আর উপনিবেশবাদের সেবাদাস হিসেবে মর্যাদাহীন জীবনযাপন করতাম। সাম্রাজ্যবাদ আর আধিপত্যবাদকে উৎখাতের জন্যই আমরা যুদ্ধ করেছি। শহীদেরা জীবন দিয়েছেন। যেকোনো নামেই হোক, আধিপত্যবাদের তাঁবেদারি মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার শামিল এবং শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানির নামান্তর। পরস্পরের প্রতি সমমর্যাদা প্রদানই বন্ধুত্ব। অন্য দিকে অন্যায় আদেশ মানাই দাসত্ব। জাতি হিসেবে আমরা দেশের মাপে ছোট হলেও শৌর্য-বীর্য-ঐতিহ্য এবং মন ও মানের দিক থেকে কোনো জাতির চেয়ে খাটো নই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আমরা সারা বিশ্বে প্রশংসিত। সততা, কর্মনিষ্ঠা, সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে বিশ্বে আমাদের সুনাম। আমরা বন্ধুত্বের মূল্য দিই। মোড়লিপনাকে ঘৃণা করি, প্রতিহত করি। এটাই আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য। তবে আমাদের সরকার পরিচালনার সাথে যারা যুক্ত, বিষয়টি তাদের মগজে ঢুকলেই আমাদের সৌভাগ্য। অন্যথায় সিকিমের হতভাগ্য জনগণের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমাদেরও যেন অশ্র“ভারাক্রান্ত হৃদয়ে গাইতে না হয়Ñ ডেলা সিল লাই পি, গ্যাং চাংকা সিবো।’ অর্থাৎ ‘বিদায় হে স্বাধীনতা, তবুও তুমি গোলাপের মতো ফুটে থেকো।’ সিকিম কংগ্রেসের প্রধান লেন্দুপ দর্জি জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হয়েও ভারতের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিতে তার বাধেনি। বিংশ শতাব্দীর এ বিশ্বাসঘাতক পরবর্তীকালে ভারত রাষ্ট্রের ভোটারও হতে পারেনি। অনেকটা নির্বাসনে, পরগাছার মতো দেশবাসীর অভিশপ্ত হিসেবে মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্বাসঘাতকের পরিণতি এমনই হয়। বাংলার স্বাধীনতা বিক্রেতা জগৎশেঠ অপঘাতে মারা যায়। মীর জাফর, উমিচাঁদ প্রমুখের পরিণতিও অভিন্ন। জাতির সাথে যারাই যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে, প্রকৃতির রুদ্ররোষে তাদের পরিণতি হয় ভয়াবহ। সবাই এ সত্য উপলব্ধি করতে পারলেই মঙ্গল। অসমান বন্ধুত্বের বিড়ম্বনামুক্ত বন্ধুত্বপিয়াসী মানুষদের জাগরণ ঘটুকÑ এই হোক আমাদের প্রার্থনা।
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও আইনজীবী

No comments

Powered by Blogger.