অশীতিপর লক্ষ্মীরানী এখনো বয়স্ক ভাতার স্বপ্ন দেখেন
লক্ষ্মীরানীর
বয়স ৯৩ বছর পেরিয়েছে। এই জীবনসায়াহ্নে দাঁড়িয়ে তিনি এখনো বয়স্ক ভাতা
পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। অভাবের সংসারে তিনি এ বয়সেও মৃৎশিল্পের কাজ করে
চলছেন। তবু দারিদ্র্য আর বয়স বিবেচনায় এখনো তাঁর ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক
ভাতার কার্ড।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া গ্রামের হালদারপাড়ায় বাস লক্ষ্মীরানীর। তাঁর জন্ম ১৯২২ সালের ১৪ অক্টোবর। বহু আগেই বসতভিটাসহ তাঁর সবটুকু জমি পদ্মায় ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়েছে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে গ্রামের পালপাড়াটিও। বর্তমানে আরামবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে হালদারপাড়ায় তিনি ছেলে ও নাতি-নাতনির সংসারে বসবাস করছেন। মৃৎশিল্পের চাহিদা কমতে থাকায় তাঁদের আয়ও কমে গেছে। ভীষণ অভাব তাঁদের সংসারে। তবে লক্ষ্মীরানী বসে নেই। নিজের হাতে এখনো তিনি মাটির জিনিসপত্র তৈরি করেন। অর্থকষ্ট থাকলেও কারও কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়াননি। তিনি মনে করেন, সরকারি বয়স্ক ভাতা পেলে কিছুটা হলেও তাঁর অভাব দূর হতো। এ জন্য তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যের কাছে কয়েকবার ধরনাও দিয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্মীরানীর ভাগ্যে কার্ড মেলেনি।
লক্ষ্মীরানী বলেন, ‘ছিলি-পুলির সংসারে থাকি, খানেওয়ালা ১২ জন। অভাব লাগি আছে। বয়স তো কম হলি না। এ বয়সে কার কাছে টাকার জন্যি হাত পাততাম! ভাতার (বয়স্ক ভাতা) টাকা পেলি আমি সেই টাকা দিয়ি অনেক কিছু কিনতে পারতাম, আমার উপকারও হতি।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘আমার আর কত বয়স হলি একখানা ভাতার কার্ড পাব, বাবা?’
ইউপি চেয়ারম্যান জার্জিস হোসেন জানান, চলতি অর্থবছরে তাঁর ইউনিয়নে মাত্র ৪৯টি বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এলাকার ইউপি সদস্যদের তালিকা অনুযায়ী বয়স্ক ভাতার সেসব কার্ড তৈরি করা হয়েছে। লক্ষ্মীরানী তাঁর কাছে কখনো বয়স্ক ভাতার জন্য আসেননি বলে তিনি দাবি করেন। তবে ভবিষ্যতে লক্ষ্মীরানীকে একখানা বয়স্ক ভাতার কার্ড দেবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল কাদের জানান, ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে তাঁরা বয়স্ক ভাতার তালিকা করে থাকেন। তবে বয়স ও আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় লক্ষ্মীরানীর নাম বয়স্ক বা বিধবা ভাতার তালিকায় দেওয়া উচিত ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া গ্রামের হালদারপাড়ায় বাস লক্ষ্মীরানীর। তাঁর জন্ম ১৯২২ সালের ১৪ অক্টোবর। বহু আগেই বসতভিটাসহ তাঁর সবটুকু জমি পদ্মায় ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়েছে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে গ্রামের পালপাড়াটিও। বর্তমানে আরামবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে হালদারপাড়ায় তিনি ছেলে ও নাতি-নাতনির সংসারে বসবাস করছেন। মৃৎশিল্পের চাহিদা কমতে থাকায় তাঁদের আয়ও কমে গেছে। ভীষণ অভাব তাঁদের সংসারে। তবে লক্ষ্মীরানী বসে নেই। নিজের হাতে এখনো তিনি মাটির জিনিসপত্র তৈরি করেন। অর্থকষ্ট থাকলেও কারও কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়াননি। তিনি মনে করেন, সরকারি বয়স্ক ভাতা পেলে কিছুটা হলেও তাঁর অভাব দূর হতো। এ জন্য তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যের কাছে কয়েকবার ধরনাও দিয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্মীরানীর ভাগ্যে কার্ড মেলেনি।
লক্ষ্মীরানী বলেন, ‘ছিলি-পুলির সংসারে থাকি, খানেওয়ালা ১২ জন। অভাব লাগি আছে। বয়স তো কম হলি না। এ বয়সে কার কাছে টাকার জন্যি হাত পাততাম! ভাতার (বয়স্ক ভাতা) টাকা পেলি আমি সেই টাকা দিয়ি অনেক কিছু কিনতে পারতাম, আমার উপকারও হতি।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘আমার আর কত বয়স হলি একখানা ভাতার কার্ড পাব, বাবা?’
ইউপি চেয়ারম্যান জার্জিস হোসেন জানান, চলতি অর্থবছরে তাঁর ইউনিয়নে মাত্র ৪৯টি বয়স্ক ভাতার কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এলাকার ইউপি সদস্যদের তালিকা অনুযায়ী বয়স্ক ভাতার সেসব কার্ড তৈরি করা হয়েছে। লক্ষ্মীরানী তাঁর কাছে কখনো বয়স্ক ভাতার জন্য আসেননি বলে তিনি দাবি করেন। তবে ভবিষ্যতে লক্ষ্মীরানীকে একখানা বয়স্ক ভাতার কার্ড দেবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল কাদের জানান, ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে তাঁরা বয়স্ক ভাতার তালিকা করে থাকেন। তবে বয়স ও আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় লক্ষ্মীরানীর নাম বয়স্ক বা বিধবা ভাতার তালিকায় দেওয়া উচিত ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
No comments