সেফহোম থেকে মায়ের কোলে
ফটক
পর্যন্ত সবাই এগিয়ে এসেছে। একে একে চলছে হাত মেলানো। অতঃপর বিদায়।
সঙ্গীরা বিষণ্ন হলেও আনন্দে চিকচিক করছিল সবার মুখ। হারানো ছেলেকে প্রায়
দুই বছর পর ফিরে পেয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর গারো পল্লি চায়নামারির বাসিন্দা
প্রতিলা সিমসাং আনন্দে আত্মহারা।
ছেলেকে জড়িয়ে ধরে নিজের ভাষার টানে জানালেন প্রতিক্রিয়া, ‘পরথম আলো পত্রিকাটারে বড় এখটা ধন্যবাদ। দুইটা বছর পর আমি আমার চানমুখ (ছেলে) ফিইরা পাইছি!’
প্রতিলা সিমসাং যে ছেলেকে ফিরে পেলেন, সে গত বছরের জুন মাস থেকে সিলেট নগরের বাগবাড়িতে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ‘মহিলা ও শিশু-কিশোরী নিরাপদ আবাসন-সেফহোম’-এর বাসিন্দা ছিল। বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় সেফহোম নথিতে তার পরিচয় ছিল ‘অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী শিশু’। সেফহোমে তাকে ‘রাসেল’ নামে ডাকা হতো। গত বুধবার প্রথম আলোয় ‘ফিরতে উন্মুখ ১১ মুখ’ শিরোনামে সচিত্র একটি প্রতিবেদন দেখে গত বৃহস্পতিবার সেফহোমে এসে শিশুটিকে শনাক্ত করেন তার মা। তিনি জানান, ‘রাসেল’-এর প্রকৃত নাম তন্ময় সিমসাং, বয়স ১৬। সেফহোম সূত্রে জানা যায়, শিশুটি আদিবাসী পরিবারের বলে নিশ্চিত হওয়ার পর মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সিলেটের বেসরকারি সংস্থা এফআইভিডিবির আইনজীবীর মাধ্যমে সিলেট মহানগর আমলি আদালত-৩-এ উপস্থাপন করা হয়। গতকাল রোববার বিচারক আনোয়ারুল হক এক আদেশে শিশুটিকে মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেফহোমের প্রধান বার্তাবাহক হাবিবুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশনা বিকেলে সেফহোমে পৌঁছালে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেফহোমের ফটক খোলা হয়। ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তন্ময়ের মাসহ পরিবারের সদস্যরা। ভেতর থেকে তাকে বিদায় দেয় সেফহোমের অন্য বাসিন্দারা। ছেলেকে নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায়ই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন প্রতিলা সিমসাং। প্রতিলার সঙ্গে এসেছিলেন স্বামী প্রীতিন নখরে। জানালেন, দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তন্ময় সবার ছোট। বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে মধুপুরের একটি মিশন স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায় দুই বছর আগে নিখোঁজ হয় তন্ময়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। বুধবার প্রথম আলোর সংবাদ দেখে তন্ময়ের খালাতো ভাই সিলেটে এসে শনাক্ত করে, পরে পরিবারকে খবর দেয়।
ছেলেকে জড়িয়ে ধরে নিজের ভাষার টানে জানালেন প্রতিক্রিয়া, ‘পরথম আলো পত্রিকাটারে বড় এখটা ধন্যবাদ। দুইটা বছর পর আমি আমার চানমুখ (ছেলে) ফিইরা পাইছি!’
প্রতিলা সিমসাং যে ছেলেকে ফিরে পেলেন, সে গত বছরের জুন মাস থেকে সিলেট নগরের বাগবাড়িতে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ‘মহিলা ও শিশু-কিশোরী নিরাপদ আবাসন-সেফহোম’-এর বাসিন্দা ছিল। বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় সেফহোম নথিতে তার পরিচয় ছিল ‘অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী শিশু’। সেফহোমে তাকে ‘রাসেল’ নামে ডাকা হতো। গত বুধবার প্রথম আলোয় ‘ফিরতে উন্মুখ ১১ মুখ’ শিরোনামে সচিত্র একটি প্রতিবেদন দেখে গত বৃহস্পতিবার সেফহোমে এসে শিশুটিকে শনাক্ত করেন তার মা। তিনি জানান, ‘রাসেল’-এর প্রকৃত নাম তন্ময় সিমসাং, বয়স ১৬। সেফহোম সূত্রে জানা যায়, শিশুটি আদিবাসী পরিবারের বলে নিশ্চিত হওয়ার পর মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সিলেটের বেসরকারি সংস্থা এফআইভিডিবির আইনজীবীর মাধ্যমে সিলেট মহানগর আমলি আদালত-৩-এ উপস্থাপন করা হয়। গতকাল রোববার বিচারক আনোয়ারুল হক এক আদেশে শিশুটিকে মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেফহোমের প্রধান বার্তাবাহক হাবিবুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশনা বিকেলে সেফহোমে পৌঁছালে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেফহোমের ফটক খোলা হয়। ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তন্ময়ের মাসহ পরিবারের সদস্যরা। ভেতর থেকে তাকে বিদায় দেয় সেফহোমের অন্য বাসিন্দারা। ছেলেকে নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায়ই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন প্রতিলা সিমসাং। প্রতিলার সঙ্গে এসেছিলেন স্বামী প্রীতিন নখরে। জানালেন, দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তন্ময় সবার ছোট। বাক্প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে মধুপুরের একটি মিশন স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায় দুই বছর আগে নিখোঁজ হয় তন্ময়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। বুধবার প্রথম আলোর সংবাদ দেখে তন্ময়ের খালাতো ভাই সিলেটে এসে শনাক্ত করে, পরে পরিবারকে খবর দেয়।
No comments