সরকারকে ছাড় দেয়ার আহবান ব্যবসায়ীদের
সরকারকে
রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা
এজন্য সহিংসতা বন্ধ ও সংলাপের আহবান জানিয়েছেন। প্রয়োজনে দেশের স্বার্থে
সরকারকে নমনীয় ও ছাড় দেয়ার আহবান জানান তারা। হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতি
মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে জানিয়ে তারা বলেন, এ অবস্থা আরো দীর্ঘায়িত হলে
আমাদের পথে বসতে হবে, তখন গণকান্না কর্মসূচি দেয়া ছাড়া উপায় থাকবেনা। আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে টাইম ওয়াচ আয়োজিত ‘অর্থনীতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব’ শীর্ষক এক সংলাপে তারা এসব কথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে বিগত বাজেটের অর্ধেকের চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
মানববন্ধন, সমাবেশ, অনশনের মত কর্মসূচি পালন করার পর ব্যবসায়ীরা আজ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে দাবি করে ব্যবসায়ী এই নেতা বলেন, আমরা আজ ভাগ্যাহত, আশাহত। আমরা ভেঙে পড়েছি। আর কোনো সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছি না। তাই আজ আমরা কান্না শুরু করেছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া উপায় নেই। আল্লাহ আমাদের একটি পথ দেখাও।
সরকারের উদ্দেশে কাজী আকরাম বলেন, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়া আপনাদের অতীব দায়িত্ব। তাই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আর অন্যদের বলব আর ভোগাবেন না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করুন। সংলাপ ও সমাঝোতা যেভাবেই হোক সঙ্কট নিরসন করুন।
চলমান সহিংসতায় কোনো রাজনৈতিক কর্মী মারা যাচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বা ছাত্রশিবির কেউ মারা যাক তা আমরা চাই না। কিন্তু সহিংসতায় মারা যাচ্ছে শ্রমিক। এটা কারো কাম্য নয়।
তিনি অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করার আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা হরতাল অবরোধ বন্ধ করুন, তাহলে আমরা সরকারকে চাপ দেব শান্তির পথে আসার জন্য।
সভাপতির বক্তব্যে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী দ্বীন বলেন, ব্যবসায়ীরা সরকারকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু সেই ব্যবসায়ীরা আজ পথে বসেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশ ও জনগনের স্বার্থে আপনারা একটু নমনীয় হন, ছাড় দেন। তাহলে আপনা আপনি সমাধান হয়ে যাবে। আগামী ২৬ মার্চের আগে দেশের এ পরিস্থিতির সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলমীন বলেন, হরতাল অবরোধে আবাসন খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। অবস্থা খুবই খারাপ। এর দায় নেবে কে?
ট্যুরিজম ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিডাব) সভাপতি জামিউল আহমেদ বলেন, এক সময় হয়তো আন্দোলন শেষ হবে। কিন্তু ট্যুরিজমের যে ক্ষতি হলো তা পূরণ হওয়ার নয়। অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে যাবে। আমাদের এখন গণকান্না কর্মসূচি দেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
বাংলাদেশ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মাসুদ খান বলেন, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া এর সমাধান হবেনা। তিনি সংলাপের মাধ্যমে সরকারকে সমাধানের উপায় বের করার আহবান জানিয়ে বলেন, দুই পক্ষকেই অনড় অবস্থা থেকে সরে এসে সহিংসতা বন্ধ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। সহনশীলতা দেখাতে হবে। নাহলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
মূল প্রবন্ধে টাইম ওয়াচের উপদেষ্টা সম্পাদক বজলুর রায়হান বলেন, হরতাল অবরোধের কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। পোশাক, কৃষি, পোল্ট্রি, আবাসন খাত, পর্যটন, ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণে রাজনীতিবিদদের আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. মজিবুর রহমান সংলাপ সঞ্চালনা করেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে বিগত বাজেটের অর্ধেকের চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
মানববন্ধন, সমাবেশ, অনশনের মত কর্মসূচি পালন করার পর ব্যবসায়ীরা আজ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে দাবি করে ব্যবসায়ী এই নেতা বলেন, আমরা আজ ভাগ্যাহত, আশাহত। আমরা ভেঙে পড়েছি। আর কোনো সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছি না। তাই আজ আমরা কান্না শুরু করেছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করা ছাড়া উপায় নেই। আল্লাহ আমাদের একটি পথ দেখাও।
সরকারের উদ্দেশে কাজী আকরাম বলেন, মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়া আপনাদের অতীব দায়িত্ব। তাই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আর অন্যদের বলব আর ভোগাবেন না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করুন। সংলাপ ও সমাঝোতা যেভাবেই হোক সঙ্কট নিরসন করুন।
চলমান সহিংসতায় কোনো রাজনৈতিক কর্মী মারা যাচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বা ছাত্রশিবির কেউ মারা যাক তা আমরা চাই না। কিন্তু সহিংসতায় মারা যাচ্ছে শ্রমিক। এটা কারো কাম্য নয়।
তিনি অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করার আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা হরতাল অবরোধ বন্ধ করুন, তাহলে আমরা সরকারকে চাপ দেব শান্তির পথে আসার জন্য।
সভাপতির বক্তব্যে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী দ্বীন বলেন, ব্যবসায়ীরা সরকারকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু সেই ব্যবসায়ীরা আজ পথে বসেছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশ ও জনগনের স্বার্থে আপনারা একটু নমনীয় হন, ছাড় দেন। তাহলে আপনা আপনি সমাধান হয়ে যাবে। আগামী ২৬ মার্চের আগে দেশের এ পরিস্থিতির সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলমীন বলেন, হরতাল অবরোধে আবাসন খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। অবস্থা খুবই খারাপ। এর দায় নেবে কে?
ট্যুরিজম ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিডাব) সভাপতি জামিউল আহমেদ বলেন, এক সময় হয়তো আন্দোলন শেষ হবে। কিন্তু ট্যুরিজমের যে ক্ষতি হলো তা পূরণ হওয়ার নয়। অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে যাবে। আমাদের এখন গণকান্না কর্মসূচি দেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
বাংলাদেশ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মাসুদ খান বলেন, ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া এর সমাধান হবেনা। তিনি সংলাপের মাধ্যমে সরকারকে সমাধানের উপায় বের করার আহবান জানিয়ে বলেন, দুই পক্ষকেই অনড় অবস্থা থেকে সরে এসে সহিংসতা বন্ধ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। সহনশীলতা দেখাতে হবে। নাহলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
মূল প্রবন্ধে টাইম ওয়াচের উপদেষ্টা সম্পাদক বজলুর রায়হান বলেন, হরতাল অবরোধের কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। পোশাক, কৃষি, পোল্ট্রি, আবাসন খাত, পর্যটন, ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণে রাজনীতিবিদদের আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ড. মজিবুর রহমান সংলাপ সঞ্চালনা করেন।
No comments