সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ- পাঁচ দিনেও হদিস নেই by আবু সালেহ আকন
পাঁচ
দিনেও হদিস মেলেনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র সালাহউদ্দিন
আহমদের। আদালতের নির্দেশের পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সালাহউদ্দিনের কোনো
সন্ধান মেলাতে পারেনি। এ দিকে গতকাল সালাহউদ্দিনের নিখোঁজের ব্যাপারে
উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়েরের খবর পেলেও থানা পুলিশ তা
অস্বীকার করেছে।
পাঁচ দিনেও সালাহউদ্দিনের সন্ধান না পাওয়ায় প্রশ্ন জেগেছে ইলিয়াস আলী এবং চৌধুরী আলমের পথেই কি গেছেন সালাহউদ্দিন! বিএনপির এই তিন নেতার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাক্রম প্রায় একই। তিনজনই নিখোঁজ হয়েছেন রাতে। তবে ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমকে তুলে নেয়া হয়েছে রাস্তা থেকে আর সালাহউদ্দিনকে বাসা থেকে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আর সালাহউদ্দিন নিখোঁজের সাথেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই জড়িত রয়েছে বলে তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর তিন বছর ধরে বনানী থানা পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে আসছে। আর সালাহউদ্দিন নিখোঁজের পর গতকাল প্রথম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। ইলিয়াস আলীর বিষয়ে প্রতিটি প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়, তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে একই রকম প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে সালাহউদ্দিনের ব্যাপারেও।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে অপহৃত হন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী। তার গাড়ির ড্রাইভার আনসার আলীকেও তুলে নেয়া হয়। এই ঘটনায় ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদি বনানী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে। ঘটনার পর তাহসিনা রুশদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার ও প্রশাসনের অনেকের সাথেই সাক্ষাৎ করে তার স্বামীকে উদ্ধারের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী নিজেও ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিন বছরেও ইলিয়াস আলী উদ্ধার হননি। ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের ব্যাপারেও আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। গত তিন বছরে প্রায় অর্ধশত প্রতিবেদন দাখিল করেছে বনানী থানা পুলিশ। প্রায় প্রতিটি প্রতিবেদনেই উল্লেখ রয়েছে, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
২০১০ সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরা রোড থেকে অপহৃত হন বিএনপি নেতা ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কমিশনার চৌধুরী আলম। রাত ৮টার দিকে ফার্মগেটের বাসায় যাওয়ার পথে তার গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়। এর পর থেকে তার কোনো হদিস নেই।
গত ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তুলে নেয়া হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। এ সময় বাসার দুই গৃহকর্মী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদের ড্রাইভারকেও পুলিশ নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড্রাইভার এবং পুরুষ গৃহকর্মীকে ছেড়ে দেয়া হলেও একজন নারী গৃহকর্মীর কোনো হদিস নেই। ঘটনার রাতেই সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ রাজধানীর উত্তরা, গুলশান ও বনানী থানায় যান সাধারণ ডায়েরি করার জন্য। কিন্তু কোনো থানাতেই তার ডায়েরি গ্রহণ করেনি পুলিশ। এরপর ১২ মার্চ সালাহউদ্দিনের স্ত্রী একটি রিট আবেদন করেন হাইকোর্টে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববারের মধ্যে সালাহউদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদেরকে এই নির্দেশ প্রদান করা হয়। গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উইংগুলো পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেছে আদালতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সালাহউদ্দিনের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ইলিয়াস আলীর ব্যাপারেও এভাবে একের পর এক প্রতিবেদন দাখিল করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইলিয়াস আলীর হদিস মেলানো যায়নি তিন বছরেও। এই অবস্থায় প্রশ্ন জেগেছে সালাহউদ্দিনও কি ইলিয়াস আলীর পথেই গেছেন! সালাহউদ্দিনের পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকেও এই একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ দিকে গতকাল দুপুরের দিকে জানা যায় সালাহউদ্দিনের বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের হয়েছে। রাতে এ বিষয়ে ওই থানার ওসির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ডিউটি অফিসার জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
পাঁচ দিনেও সালাহউদ্দিনের সন্ধান না পাওয়ায় প্রশ্ন জেগেছে ইলিয়াস আলী এবং চৌধুরী আলমের পথেই কি গেছেন সালাহউদ্দিন! বিএনপির এই তিন নেতার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাক্রম প্রায় একই। তিনজনই নিখোঁজ হয়েছেন রাতে। তবে ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমকে তুলে নেয়া হয়েছে রাস্তা থেকে আর সালাহউদ্দিনকে বাসা থেকে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আর সালাহউদ্দিন নিখোঁজের সাথেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই জড়িত রয়েছে বলে তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর তিন বছর ধরে বনানী থানা পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে আসছে। আর সালাহউদ্দিন নিখোঁজের পর গতকাল প্রথম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হলো। ইলিয়াস আলীর বিষয়ে প্রতিটি প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়, তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে একই রকম প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে সালাহউদ্দিনের ব্যাপারেও।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে অপহৃত হন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী। তার গাড়ির ড্রাইভার আনসার আলীকেও তুলে নেয়া হয়। এই ঘটনায় ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদি বনানী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে। ঘটনার পর তাহসিনা রুশদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার ও প্রশাসনের অনেকের সাথেই সাক্ষাৎ করে তার স্বামীকে উদ্ধারের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী নিজেও ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিন বছরেও ইলিয়াস আলী উদ্ধার হননি। ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের ব্যাপারেও আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। গত তিন বছরে প্রায় অর্ধশত প্রতিবেদন দাখিল করেছে বনানী থানা পুলিশ। প্রায় প্রতিটি প্রতিবেদনেই উল্লেখ রয়েছে, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
২০১০ সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরা রোড থেকে অপহৃত হন বিএনপি নেতা ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কমিশনার চৌধুরী আলম। রাত ৮টার দিকে ফার্মগেটের বাসায় যাওয়ার পথে তার গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়। এর পর থেকে তার কোনো হদিস নেই।
গত ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তুলে নেয়া হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। এ সময় বাসার দুই গৃহকর্মী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদের ড্রাইভারকেও পুলিশ নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড্রাইভার এবং পুরুষ গৃহকর্মীকে ছেড়ে দেয়া হলেও একজন নারী গৃহকর্মীর কোনো হদিস নেই। ঘটনার রাতেই সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ রাজধানীর উত্তরা, গুলশান ও বনানী থানায় যান সাধারণ ডায়েরি করার জন্য। কিন্তু কোনো থানাতেই তার ডায়েরি গ্রহণ করেনি পুলিশ। এরপর ১২ মার্চ সালাহউদ্দিনের স্ত্রী একটি রিট আবেদন করেন হাইকোর্টে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববারের মধ্যে সালাহউদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদেরকে এই নির্দেশ প্রদান করা হয়। গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উইংগুলো পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করেছে আদালতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সালাহউদ্দিনের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ইলিয়াস আলীর ব্যাপারেও এভাবে একের পর এক প্রতিবেদন দাখিল করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইলিয়াস আলীর হদিস মেলানো যায়নি তিন বছরেও। এই অবস্থায় প্রশ্ন জেগেছে সালাহউদ্দিনও কি ইলিয়াস আলীর পথেই গেছেন! সালাহউদ্দিনের পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকেও এই একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ দিকে গতকাল দুপুরের দিকে জানা যায় সালাহউদ্দিনের বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের হয়েছে। রাতে এ বিষয়ে ওই থানার ওসির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ডিউটি অফিসার জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
No comments