সঙ্কটের জন্য দায়ী সরকারপ্রধান : বি. চৌধুরী
জাতীয় প্রেস কাবে গতকাল বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা |
দেশবাসীকে জেগে ওঠার আহ্বান
ভোটের
অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য দেশবাসীকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন
বিকল্পধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা
চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সরকার ওয়াদা রক্ষা করেনি। সরকারের অনেক মন্ত্রী এবং
সরকারপ্রধান নিজেও বলেছিলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ম রক্ষার; পরে সব
দলের অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচন হবে। কিন্তু তারা এখন ওই কথা ভুলে গেছেন,
অস্বীকার করছেন। গতকাল জাতীয় প্রেস কাবে ‘চলমান পরিস্থিতি ও উত্তরণে
করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ সিভিল রাইটস
সোসাইটি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি
অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের
প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত
আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে)
সভাপতি শওকত মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, অ্যাডভোকেট ড.
মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আজাদ, অ্যাডভোকেট হারুনুর
রশীদ, বিএফইউজে সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের সাবেক কোষাধ্যক্ষ
আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক লায়লা ইয়াসমিন,
সাংবাদিক সাখাওয়াৎ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
অধ্যাপক বি. চৌধুরী বলেন, বর্তমান সঙ্কটের জন্য মূল দায়ী সরকারপ্রধান। এবার মতা নেয়ার পর তিনি দায়িত্ব পালন না করে মতা দেখাচ্ছেন, অহমিকা করছেন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি একটি ভুয়া ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। দেশের মানুষ এ নির্বাচন মেনে নেয়নি। তারা ভোট দিতে চায়। তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা জননির্বাচিত সরকার চাই। এমন নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে এবং সব মানুষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
তিনি ক্রসফায়ার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা হত্যা। রাষ্ট্রীয় বাহিনী এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে না। এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এ সরকার হিটলার মুসোলিনিকেও ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে বি. চৌধুরী বলেন, দেশে যে হারে গুম খুন হচ্ছে তাতে মানুষের জীবন ও রাজনীতির কোনো নিরাপত্তা নেই। অনির্বাচিত সরকার মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যম কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মানুষ এভাবে একদলীয় শাসন মেনে নেবে না। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তিনি সরকারকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে তার মতো একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী হারিয়ে যাবেন? হাইকোর্টের কথাও রাখবে না। ‘ময়লার সাথে সালাহউদ্দিন হাওয়া হয়ে গেছেন’ প্রধানমন্ত্রী সংসদে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ায় জাতীয় সংসদকে অবমাননা করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীরা যে ভাষায় কথা বলেন তাতে লজ্জা হয়, মাথা হেট হয়ে আসে।
অধ্যাপক চৌধুরী বলেন, সরকার যেভাবে মতা দেখাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে তাদের মন্ত্রী-এমপি আর নেতাকর্মী-সমর্থকেরা ছাড়া আর কেউ দেশে থাকতে পারবে না, সবাই নিখোঁজ-গুম হয়ে যাবে।
তিনি পেট্রলবোমার নিন্দা জানিয়ে এবং এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে বলেন, বিচারপতিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে কারা এসব পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে মানুষ মারছে, কারা ক্রসফায়ার চালাচ্ছে, মানুষ গুম-অপহরণ করছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, আজ হোক কাল হোক জেগে উঠতেই হবে। ’৭১ সালে পাকিস্তানের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে পারলে এখন দেশের অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠবেন না কেন? বসে থাকবেন না, জেগে উঠুন।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বর্তমান সঙ্কট রাজনৈতিক। এর সমাধানও রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। এর বিকল্প নেই। সমাধান না হলে মারামারি হবে, দেশের অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কিছু দিন অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে। কিন্তু সীমা অতিক্রম করলে জনগণ যা করে তা হয় অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হিটলার আত্মহত্যা করেছিলেন। মুসোলিনিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা চাই না এ দেশের কোনো সন্তান সেভাবে অপমানিত হোক। দেশে আবার রক্ষীবাহিনীর আবির্ভাব হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় সক্ষম নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। দাবি আদায়ে তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারপ্রধান সুস্থ থাকলে কিছু ভালো কথাও বলেন, তখন শুনতেও ভালো লাগে। কিন্তু মাঝে মধ্যে এমন কিছু কথা বলেন, তখন আরো সমস্যার সৃষ্টি হয়। সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে ডা: চৌধুরী বলেন, তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) এ সমস্যার সৃষ্টি করেছেন, তার হাতেই সমাধানের চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, দেশে যে হারে খুন-গুম-অপহরণ হচ্ছে তাতে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। পুলিশ ছয় ইঞ্চি দূর থেকে পায়ে গুলি করছে। আসামি বাণিজ্য করছে। এ জন্য তিনি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন। প্রয়োজনে তাদের ঘেরাও করার আহ্বান জানান তিনি। হাইকোর্ট মানুষের শেষ ভরসা উল্লেখ করে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন এবং এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, বিরোধী দল সরকারকে এক বছর সময় দিয়েছে। বারবার আলোচনার কথা বলেছে। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করছে। ওরা এখন আন্দোলন দমনের নামে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। নেতাদের গুম করছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার বিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে চায়। তারা খালেদা জিয়াকে খুনি জঙ্গি বলে কিন্তু জনগণ জানে কাদের হাতে রক্তের দাগ।
অধ্যাপক বি. চৌধুরী বলেন, বর্তমান সঙ্কটের জন্য মূল দায়ী সরকারপ্রধান। এবার মতা নেয়ার পর তিনি দায়িত্ব পালন না করে মতা দেখাচ্ছেন, অহমিকা করছেন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি একটি ভুয়া ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। দেশের মানুষ এ নির্বাচন মেনে নেয়নি। তারা ভোট দিতে চায়। তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা জননির্বাচিত সরকার চাই। এমন নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে এবং সব মানুষ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
তিনি ক্রসফায়ার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা হত্যা। রাষ্ট্রীয় বাহিনী এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে না। এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। এ সরকার হিটলার মুসোলিনিকেও ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে বি. চৌধুরী বলেন, দেশে যে হারে গুম খুন হচ্ছে তাতে মানুষের জীবন ও রাজনীতির কোনো নিরাপত্তা নেই। অনির্বাচিত সরকার মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যম কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মানুষ এভাবে একদলীয় শাসন মেনে নেবে না। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তিনি সরকারকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে তার মতো একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী হারিয়ে যাবেন? হাইকোর্টের কথাও রাখবে না। ‘ময়লার সাথে সালাহউদ্দিন হাওয়া হয়ে গেছেন’ প্রধানমন্ত্রী সংসদে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ায় জাতীয় সংসদকে অবমাননা করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীরা যে ভাষায় কথা বলেন তাতে লজ্জা হয়, মাথা হেট হয়ে আসে।
অধ্যাপক চৌধুরী বলেন, সরকার যেভাবে মতা দেখাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে তাদের মন্ত্রী-এমপি আর নেতাকর্মী-সমর্থকেরা ছাড়া আর কেউ দেশে থাকতে পারবে না, সবাই নিখোঁজ-গুম হয়ে যাবে।
তিনি পেট্রলবোমার নিন্দা জানিয়ে এবং এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে বলেন, বিচারপতিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে কারা এসব পেট্রলবোমা হামলা চালিয়ে মানুষ মারছে, কারা ক্রসফায়ার চালাচ্ছে, মানুষ গুম-অপহরণ করছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, আজ হোক কাল হোক জেগে উঠতেই হবে। ’৭১ সালে পাকিস্তানের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে পারলে এখন দেশের অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠবেন না কেন? বসে থাকবেন না, জেগে উঠুন।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বর্তমান সঙ্কট রাজনৈতিক। এর সমাধানও রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। এর বিকল্প নেই। সমাধান না হলে মারামারি হবে, দেশের অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কিছু দিন অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে। কিন্তু সীমা অতিক্রম করলে জনগণ যা করে তা হয় অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হিটলার আত্মহত্যা করেছিলেন। মুসোলিনিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা চাই না এ দেশের কোনো সন্তান সেভাবে অপমানিত হোক। দেশে আবার রক্ষীবাহিনীর আবির্ভাব হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় সক্ষম নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। দাবি আদায়ে তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারপ্রধান সুস্থ থাকলে কিছু ভালো কথাও বলেন, তখন শুনতেও ভালো লাগে। কিন্তু মাঝে মধ্যে এমন কিছু কথা বলেন, তখন আরো সমস্যার সৃষ্টি হয়। সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে ডা: চৌধুরী বলেন, তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) এ সমস্যার সৃষ্টি করেছেন, তার হাতেই সমাধানের চাবিকাঠি।
তিনি বলেন, দেশে যে হারে খুন-গুম-অপহরণ হচ্ছে তাতে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। পুলিশ ছয় ইঞ্চি দূর থেকে পায়ে গুলি করছে। আসামি বাণিজ্য করছে। এ জন্য তিনি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন। প্রয়োজনে তাদের ঘেরাও করার আহ্বান জানান তিনি। হাইকোর্ট মানুষের শেষ ভরসা উল্লেখ করে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন এবং এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, বিরোধী দল সরকারকে এক বছর সময় দিয়েছে। বারবার আলোচনার কথা বলেছে। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করছে। ওরা এখন আন্দোলন দমনের নামে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। নেতাদের গুম করছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার বিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে চায়। তারা খালেদা জিয়াকে খুনি জঙ্গি বলে কিন্তু জনগণ জানে কাদের হাতে রক্তের দাগ।
No comments