শ্রমিক অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অবস্থান নেয়ার সময় -ইউ কমিশনে চিঠি
শ্রমিকের
অধিকার ও গার্মেন্টে নিরাপত্তা জোরালো করার ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে
এখনই ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর অবস্থান নেয়ার উপযুক্ত সময়। তাদেরকে সিদ্ধান্ত
নিতে হবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক সুবিধায় আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ
করার বিষয়ে। বাংলাদেশ সরকার ভালভাবে জানে যে, তাদেরকে অনমনীয়তার জন্য কোন
অর্থনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হবে না। তাই এসব বিষয়ে তারা কোন পদক্ষেপ নেবে
বলে মনে হয় না। ইউরোপীয় কমিশনের কাছে লেখা এক চিঠিতে এসব কথা বলেছেন,
আন্তর্জাতিক ও ইউরোপীয় বাণিজ্যিক ইউনিয়নগুলোর সংগঠন। ৯ই মার্চ লেখা ওই
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের জেনারেল
সেক্রেটারি শ্যারন বারো, ইউরোপিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের জেনারেল
সেক্রেটারি বার্নাডেট সেগোল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়নের জেনারেল
সেক্রেটারি জিরকি রাইনা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউরোপিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের জেনারেল
সেক্রেটারি উলরিক ইকেলমান, ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি
ফিলিপ জেনিংস ও ইউএনআই ইউরোপার রিজিওনাল সেক্রেটারি অলিভার রোয়েথিগ। চিঠিতে
তারা বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকার ও গার্মেন্টে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য
আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে। এতে বলা হয়েছে, সংশোধিত শ্রম আইন
বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির
শিকারদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য যে তহবিল গঠন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক
উদ্যোগে, তাতে এখনও ৯০ লাখ ডলার ঘাটতি আছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক
বন্ধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বোধগম্য প্রভাব রয়েছে ইউরোপের। তাই বাংলাদেশ ও
বাংলাদেশে যেসব কোম্পানি কাজ করে তাদের ওপর সেই প্রভাবকে ব্যবহার করতে হবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-ক্লাইডি জাঙ্কার, ইউরোপীয় কমিশনার ফর
ট্রেড মিসেস সিসিলিয়া ম্যালস্ট্রোম, দ্য ইউনিয়ন ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স
অ্যান্ড সিকিউরিটি পলিসির হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ মিসেস ফেডেরিকা মঘেরিনি,
এমপ্লয়মেন্ট সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স, স্কিলস অ্যান্ড লেবার মবিলিটির ইউরোপিয়ান
কমিশনার মিসেস মারিয়ান থাইসেন ও ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড
ডেভেলপমেন্ট-এর ইউরোপিয়ান কমিশনার নিভিন মিমিকার বরাবরে লেখা হয়েছে ওই
চিঠি। এতে তারা বলেছেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি সমাগত।
তবে গত দু’বছরে এ রকম ট্র্যাজেডি যাতে আর না ঘটে সেজন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের
সচেতন মহল একসঙ্গে এগিয়ে এসেছে। এর ফলে গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ অ্যাকর্ড
ফর ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি, দ্য রানা প্লাজা অ্যারেঞ্জমেন্ট এবং
বাংলাদেশ গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট। এটা মাত্র এ ধরনের প্রথম
পদক্ষেপ। এরই মধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি অগ্রগতি থমকে আছে। এ থেকে দৃষ্টি যখন
সরে গেছে তখন এ বিষয়ে দৃষ্টি দেয়ার কথা ভুলে গেছে অনেক বিদেশী সরকার ও
গার্মেন্টের আন্তর্জাতিক কিছু ব্রান্ড। তারা এ ব্যবসায় প্রয়োজনীয় সংস্কারের
বিষয়ে বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অনেক সময়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
তা পুরোপুরি রক্ষায় ব্যর্থ বাংলাদেশ সরকার। তাই গার্মেন্ট শিল্পের সঙ্গে
সংশ্লিষ্টরা যথারীতি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, তারা জানে
শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাদেরকে দায়মুক্তি দেয়া হবে। তিন পৃষ্ঠার ওই
চিঠিতে তারা আরও লিখেছেন, সংস্কারের উদ্যোগ যাতে হারিয়ে না যায় তা নিশ্চিত
করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ইউরোপীয় কমিশন। তারা বলেন, তাই আমরা এ
কমিশনের কাছে আহ্বান জানাই সাসটেইনেবল কমপ্যাক্টের বিষয়ে জোরালো অবস্থান
নিতে। বাংলাদেশ সরকার ভাল কিছু সংস্কারে হাত দিয়েছে, কিন্তু সে পর্যন্তই।
তারা কমপ্যাক্ট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান
করেছে। বস্তুত শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতি চড়াও হয়েছে সরকার। শ্রমিকদের ওপর
সহিংসতার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে সরকার কিছুই করেনি। এতে ঝুঁকি দেখা
দিয়েছে যে, স্বাধীনভাবে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে খাটো করে দেখা হয়েছে।
ইপিজেডগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন নিষিদ্ধ রয়েছে। সরকার ২০১৩ সালে শ্রম আইন সংশোধন
করলেও তা বাস্তবায়ন করে নি, যদিও এক্ষেত্রে তারা বার বার প্রতিশ্রুতি
দিয়েছে। তাই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনই কঠোর অবস্থান নেয়ার উপযুক্ত সময়।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের এখনও ক্ষতিপূরণ প্রয়োজন। ২০১৩ সালে ব্যবসায়, ট্রেড ইউনিয়ন ও এনজিওগুলো এক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে গঠন করে রানা প্লাজা অ্যারেঞ্জমেন্ট নামে একটি উদ্যোগ। আইএলও কনভেনশনের ১২১ ধারার অধীনে রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড এখনও কাঙ্ক্ষিত ৩ কোটি ডলারের তহবিলে ৯০ লাখ ডলার ঘাটতি রয়েছে। এই ফারাক পূরণে প্রয়োজন নেতৃত্ব। এই তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সদস্য রাষ্ট্র। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপিয়ান ব্রান্ডের কাপড় নিচ্ছে তারা, বাংলাদেশ সরকার ও বিজিএমইএ’কে তহবিলে অর্থ সহায়তা দিতে উৎসাহিত করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অধিক স্থায়ী ব্যবস্থার একটি নমুনা হতে পারে রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড। তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা আহত হলে তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি ইন্স্যুরেন্স নামে একটি ইন্স্যুরেন্স চালু করার জন্য কাজ শুরু করেছে আইএলও। তাই বেসরকারি খাত, বাংলাদেশ সরকার ও বিজিএমইএ রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড-এ অর্থ সহায়তা দিলে দীর্ঘমেয়াদে আইএলও’র প্রজেক্টের অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নও অবদান রাখতে পারে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, রেসপনসিবল ম্যানেজমেন্ট অব দ্য সাপ্লাই চেইনের জন্য ফ্লাগশিপ ইনিশিয়েটিভ নামে একটি পদক্ষেপ এ বছর চালু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অতীতে যেসব ব্যবসায় খাতে আচরণবিধি ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে তা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাই আমরা। শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সমন্বিত দর কষাকষির মাধ্যমে শিল্পখাতে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেটাই আইএলও ব্যবস্থার ভিত্তি। জাতিসংঘের ব্যবসা ও মানবাধিকারবিষয়ক নির্দেশনার মূলনীতি ও বহুজাতিক উদ্যোগের জন্য ওইসিডি গাইডলাইন সম্পৃক্ত। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেখান থেকে তাদের সরবরাহ নিচ্ছে সেখানে শ্রম আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে দেখার জন্য ইউরোপীয় ব্রান্ডগুলোকে দায়িত্ব দেয়া উচিত। যেমনটা হয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ব্রাজিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভোক্তা দেশগুলোতে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী বছরগুলোর জন্য করপোরেট সোশাল রেসপনসিবিলিটি পলিসি (সিএসআর) এ বছর পর্যালোচনা করছে ইউরোপিয়ান কমিশন। অতীতে সিএসআরগুলোর পলিসি থেকে এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠন ও অথবা কোম্পানিগুলোর জন্য কোন বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ না থাকায় তা কার্যকর হয় নি। তাই বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতে অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড সেফটি বিল্ডিং যে পরিবর্তন এনেছে তার ভিত্তিতে আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে ইউরোপীয় কমিশন শক্তিশালী সিএসআর নীতি গ্রহণ করবে। ওই চিঠির শেষে বলা হয়, শুধু বাংলাদেশ নয়। শ্রমিকের অধিকার টেকসইভাবে উন্নয়ন করার রোড ম্যাপের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্ত থাকার জন্য আরও অনেক কিছু করতে পারে তারা। অন্য দেশগুলোর জন্য গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট নির্ধারণের জন্য আমরা আহ্বান জানাই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। তবে আমরা জানি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এসব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবু আমরা এখনই কাজ শুরুর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে। এ চিঠিতে যেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সে বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের জন্য আমরা ইউরোপীয় কমিশনকে একটি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানাই।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের এখনও ক্ষতিপূরণ প্রয়োজন। ২০১৩ সালে ব্যবসায়, ট্রেড ইউনিয়ন ও এনজিওগুলো এক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে গঠন করে রানা প্লাজা অ্যারেঞ্জমেন্ট নামে একটি উদ্যোগ। আইএলও কনভেনশনের ১২১ ধারার অধীনে রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড এখনও কাঙ্ক্ষিত ৩ কোটি ডলারের তহবিলে ৯০ লাখ ডলার ঘাটতি রয়েছে। এই ফারাক পূরণে প্রয়োজন নেতৃত্ব। এই তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সদস্য রাষ্ট্র। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপিয়ান ব্রান্ডের কাপড় নিচ্ছে তারা, বাংলাদেশ সরকার ও বিজিএমইএ’কে তহবিলে অর্থ সহায়তা দিতে উৎসাহিত করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অধিক স্থায়ী ব্যবস্থার একটি নমুনা হতে পারে রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড। তৈরী পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা আহত হলে তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি ইন্স্যুরেন্স নামে একটি ইন্স্যুরেন্স চালু করার জন্য কাজ শুরু করেছে আইএলও। তাই বেসরকারি খাত, বাংলাদেশ সরকার ও বিজিএমইএ রানা প্লাজা ট্রাস্ট ফান্ড-এ অর্থ সহায়তা দিলে দীর্ঘমেয়াদে আইএলও’র প্রজেক্টের অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নও অবদান রাখতে পারে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, রেসপনসিবল ম্যানেজমেন্ট অব দ্য সাপ্লাই চেইনের জন্য ফ্লাগশিপ ইনিশিয়েটিভ নামে একটি পদক্ষেপ এ বছর চালু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অতীতে যেসব ব্যবসায় খাতে আচরণবিধি ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে তা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাই আমরা। শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সমন্বিত দর কষাকষির মাধ্যমে শিল্পখাতে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেটাই আইএলও ব্যবস্থার ভিত্তি। জাতিসংঘের ব্যবসা ও মানবাধিকারবিষয়ক নির্দেশনার মূলনীতি ও বহুজাতিক উদ্যোগের জন্য ওইসিডি গাইডলাইন সম্পৃক্ত। তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেখান থেকে তাদের সরবরাহ নিচ্ছে সেখানে শ্রম আইন লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে দেখার জন্য ইউরোপীয় ব্রান্ডগুলোকে দায়িত্ব দেয়া উচিত। যেমনটা হয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ব্রাজিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভোক্তা দেশগুলোতে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী বছরগুলোর জন্য করপোরেট সোশাল রেসপনসিবিলিটি পলিসি (সিএসআর) এ বছর পর্যালোচনা করছে ইউরোপিয়ান কমিশন। অতীতে সিএসআরগুলোর পলিসি থেকে এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠন ও অথবা কোম্পানিগুলোর জন্য কোন বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ না থাকায় তা কার্যকর হয় নি। তাই বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতে অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড সেফটি বিল্ডিং যে পরিবর্তন এনেছে তার ভিত্তিতে আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে ইউরোপীয় কমিশন শক্তিশালী সিএসআর নীতি গ্রহণ করবে। ওই চিঠির শেষে বলা হয়, শুধু বাংলাদেশ নয়। শ্রমিকের অধিকার টেকসইভাবে উন্নয়ন করার রোড ম্যাপের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্ত থাকার জন্য আরও অনেক কিছু করতে পারে তারা। অন্য দেশগুলোর জন্য গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট নির্ধারণের জন্য আমরা আহ্বান জানাই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। তবে আমরা জানি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এসব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবু আমরা এখনই কাজ শুরুর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে। এ চিঠিতে যেসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সে বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের জন্য আমরা ইউরোপীয় কমিশনকে একটি বৈঠক ডাকার আহ্বান জানাই।
No comments