মেহেরপুর ও মাগুরায় ছাত্রলীগের তাণ্ডব- কলেজ ও পাসপোর্ট অফিস ভাঙচুর
মাগুরা পাসপোর্ট কার্যালয় ও মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজে গতকাল ছাত্রলীগের কর্মীরা ভাঙচুর চালান। মাগুরায় ক্ষতিগ্রস্ত টেবিলেই কাজ করছেন এক কর্মকর্তা (বাঁয়ে) l ছবি: প্রথম আলো |
মেহেরপুরে
গতকাল রোববার ছাত্রলীগ ও তরুণ লীগের মধ্যে কয়েক দফা সশস্ত্র সংঘর্ষ
হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও
শহর তরুণ লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ধারালো
অস্ত্রের আঘাতে ও আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে তিনজন আহত হন। পরে শটগানের গুলি
ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। একই দিন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা
মাগুরা পাসপোর্ট কার্যালয়ে ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধর করেছেন বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছাত্রলীগের তিন
নেতা-কর্মীকে মারধর করেন। পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। মেহেরপুরে
গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ রানা ও অটোরিকশাচালক জুয়েল রানা (১৮) এবং
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মেহেরপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফিজুর রহমান
ওরফে পোলেন আহত হন। তাঁদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ও স্থানীয় ক্লিনিকে
ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, তরুণ লীগ ও
ছাত্রলীগের উভয় দলের কর্মীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, তাঁরা সবাই পুলিশের
চেনামুখ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী টেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র মোখলেছুর রহমান বলেন, টেকনিক্যাল কলেজ এবং সরকারি কলেজ শহরের প্রধান সড়কে মুখোমুখি স্থানে অবস্থিত। টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজের বিভিন্ন কক্ষের জানালার কাচ, দরজা ও আসবাব ভাঙচুর করেন। এ সময় শহর তরুণ লীগের কিছু কর্মী টেকনিক্যাল কলেজের পক্ষ নিলে ছাত্রলীগের কর্মীরা শহরের কলেজ মোড়ে তরুণ লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে যায় তরুণ লীগ। একপর্যায়ে দুই সংগঠনের কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল-রিভলবার উঁচিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে।
টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কয়েক দিন আগে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের একটি দাওয়াতপত্র তাঁকে দেওয়া হয়। দাওয়াতপত্রে টেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই ছিল। সেখানে সম্মতি ছাড়াই তাঁকে প্রধান অতিথি করা হয়। অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় গতকাল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা টেকনিক্যাল কলেজে ভাঙচুর চালায়।
এদিকে মাগুরার পাসপোর্ট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন ওরফে সবুজ চার-পাঁচজন কর্মী নিয়ে শহরের কলেজপাড়ায় অবস্থিত পাসপোর্ট কার্যালয়ে যান। তাঁরা ঢাকায় অবস্থান করা আসাদ নামের এক ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর কাগজপত্র জমা রেখে পাসপোর্ট করে দিতে বলেন। কার্যালয়ের উপপরিচালক সাজ্জাদ হোসেন কাজটি করতে অস্বীকার করেন। এতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাজ্জাদ হোসেন ও রেকর্ড কিপার কবির হোসেনকে মারধর করেন। এ সময় চেয়ার দিয়ে উপপরিচালকের টেবিলের কাচ ও কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুরও করেন তাঁরা। এ খবর কার্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে সোহরাব এবং রানা ও তানভীর নামের ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে আটকে মারধর করেন।
বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই তিনজনকে উদ্ধার করে। ছাত্রলীগের আরও কিছু নেতা-কর্মী তখন সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুদর্শন রায় ও মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিষয়টি ছাত্রলীগের নয়। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ অপরাধ করলে সংগঠন তার দায় নেবে না।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী টেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র মোখলেছুর রহমান বলেন, টেকনিক্যাল কলেজ এবং সরকারি কলেজ শহরের প্রধান সড়কে মুখোমুখি স্থানে অবস্থিত। টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজের বিভিন্ন কক্ষের জানালার কাচ, দরজা ও আসবাব ভাঙচুর করেন। এ সময় শহর তরুণ লীগের কিছু কর্মী টেকনিক্যাল কলেজের পক্ষ নিলে ছাত্রলীগের কর্মীরা শহরের কলেজ মোড়ে তরুণ লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে যায় তরুণ লীগ। একপর্যায়ে দুই সংগঠনের কর্মীরা ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল-রিভলবার উঁচিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে।
টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কয়েক দিন আগে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের একটি দাওয়াতপত্র তাঁকে দেওয়া হয়। দাওয়াতপত্রে টেকনিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই ছিল। সেখানে সম্মতি ছাড়াই তাঁকে প্রধান অতিথি করা হয়। অনুষ্ঠানের জন্য তাঁর কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় গতকাল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা টেকনিক্যাল কলেজে ভাঙচুর চালায়।
এদিকে মাগুরার পাসপোর্ট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন ওরফে সবুজ চার-পাঁচজন কর্মী নিয়ে শহরের কলেজপাড়ায় অবস্থিত পাসপোর্ট কার্যালয়ে যান। তাঁরা ঢাকায় অবস্থান করা আসাদ নামের এক ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর কাগজপত্র জমা রেখে পাসপোর্ট করে দিতে বলেন। কার্যালয়ের উপপরিচালক সাজ্জাদ হোসেন কাজটি করতে অস্বীকার করেন। এতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাজ্জাদ হোসেন ও রেকর্ড কিপার কবির হোসেনকে মারধর করেন। এ সময় চেয়ার দিয়ে উপপরিচালকের টেবিলের কাচ ও কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুরও করেন তাঁরা। এ খবর কার্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে সোহরাব এবং রানা ও তানভীর নামের ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে আটকে মারধর করেন।
বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই তিনজনকে উদ্ধার করে। ছাত্রলীগের আরও কিছু নেতা-কর্মী তখন সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুদর্শন রায় ও মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিষয়টি ছাত্রলীগের নয়। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ অপরাধ করলে সংগঠন তার দায় নেবে না।’
No comments