প্রাথমিক সমাপনীতে বৃত্তি পেলো ৫৪ হাজার খুদে শিক্ষার্থী
প্রাথমিক
শিক্ষা সমাপনী-১৪’তে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে এবার ৫৪ হাজার ৪৮১ জন খুদে
শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে মেধাবৃত্তি ‘ট্যালেন্টপুলে’ ২১ হাজার
৯৮৩ এবং ‘সাধারণ’ কোটায় বৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছে ৩২ হাজার ৪৯৮ জন।
‘ট্যালেন্টপুলে’ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ হাজার ৯৫৫ এবং
ছাত্রী সংখ্যা ১১ হাজার ২৪। আর ‘সাধারণ’ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র
সংখ্যা ১৬ হাজার ২২৮ এবং ছাত্রী সংখ্যা ১৬ হাজার ২০৬ জন। গতকাল সচিবালয়ে এক
সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেন প্রাথমিক ও
গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা
অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এবার প্রাথমিক সমাপনী
পরীক্ষায় ২৬ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৪ লাখ ২৮
হাজার ৮৩ জন উত্তীর্ণ হয়। সে হিসেবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে এবার শতকরা
২ দশমিক ২ শতাংশ বৃত্তি পাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে সারা দেশে
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ৩০ ডিসেম্বর পরীক্ষার
ফল প্রকাশ করা হয়। গতকাল ওই ফলাফলের ভিত্তিতেই বৃত্তির ফল ঘোষণা করা হলো।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ‘মেধা কোটা’প্রাপ্তরা প্রত্যেকে প্রতি মাসে ২০০
টাকা এবং ‘সাধারণ’ কোটায় মাসে ১৫০ টাকা হারে পাবে। এছাড়া বৃত্তিপ্রাপ্ত
সবাই বছরে এককালীন ১৫০ টাকা করে পাবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট
িি.িফঢ়ব.মড়া.নফ এড়ড়মষব চষধু ঝঃড়ৎব থেকে চৎরসধৎু ঞবৎসরহধষ জবংঁষঃ লিখে
সার্চ দিলেই অ্যাপসটি পাওয়া যাবে।
সর্বোচ্চ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০টি বিদ্যালয়: সারা দেশে সর্বোচ্চ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রাজধানীর মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ১৪৫ জন বৃত্তি পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে- শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বৃত্তি পেয়েছে ৮৫ জন), আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৭৬), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (৬১), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৫৩), জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৫২), ময়মনসিংহ জিলা স্কুল (৫০), আহম্মদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল (৪৯), বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪৪) ও বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয় (৪৩)। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃত্তির নির্ধারিত সংখ্যা মানা হয়নি: বৃত্তির জন্য ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী নির্বাচনের কথা থাকলেও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নীতিমালা মানা হয়নি। ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে কম বৃত্তি দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা কমানো অব্যাহত রয়েছে। ৫ম শ্রেণীতে শুধু নির্বাচিত কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে সকল শিশুকে বৃত্তির আওতায় আনার পর এ ধরনের বৃত্তি প্রদান শুরু হয়েছে। প্রতি বছরই ৫৫ হাজার মেধাবীকে বৃত্তি দেয়ার কথা। কিন্তু শুরুর বছরই দেয়া হয় ৫০ হাজার ৫৩৫ জনকে অর্থাৎ ৪ হাজার ৪৬৫ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি। ২০১০ সালে ৫৪ হাজার ৬৭৩ জন, অর্থাৎ ৩২৭ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি ২০১১ সালে ৫৪ হাজার ৯১৮ জনকে, অর্থাৎ ৮২ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি। ২০১২ সালে ৫৪ হাজার ৫৩০ জন, অর্থাৎ ৪৭০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি। ২০১৩ সালে ৫৪ হাজার ৪১২ জন, অর্থাৎ ৫৮৮ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি এবং এ বছর ২০১৪ সালে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয় ৫৪ হাজার ৪৮১ জনকে, অর্থাৎ ৫১৯ জনকে এবারও বৃত্তি দেয়া হয়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া পরিসংখ্যান অনুসারে গত ৬ বছরে ৬ হাজার ৫৫১-কে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এদের জন্য বরাদ্দকৃত অব্যবহৃত টাকার পরিণতি কি এ ব্যাপারেও কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। এ ব্যাপারে গতকাল মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বৃত্তির নীতিমালার কারণে এমনটি হচ্ছে। এ বছর সম্পূরক দিয়ে কিছুটা কমানো হয়েছে। আগামীতে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। উল্লেখ্য, নীতিমালায় মেধাবী ও সাধারণ গ্রেডের শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মোট বৃত্তির সংখ্যা ভাগ (গু) সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীর মোট সংখ্যা (ক্ম) সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা। উপজেলা/থানার মোট বৃত্তি সংখ্যার ৫০% ছাত্র ও ৫০% ছাত্রীর মধ্যে বণ্টন করা হয়।
সর্বোচ্চ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০টি বিদ্যালয়: সারা দেশে সর্বোচ্চ বৃত্তিপ্রাপ্ত ১০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রাজধানীর মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ১৪৫ জন বৃত্তি পেয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে- শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বৃত্তি পেয়েছে ৮৫ জন), আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৭৬), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় (৬১), ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (৫৩), জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৫২), ময়মনসিংহ জিলা স্কুল (৫০), আহম্মদ উদ্দিন শাহ শিশু নিকেতন স্কুল (৪৯), বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (৪৪) ও বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয় (৪৩)। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃত্তির নির্ধারিত সংখ্যা মানা হয়নি: বৃত্তির জন্য ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী নির্বাচনের কথা থাকলেও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নীতিমালা মানা হয়নি। ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে কম বৃত্তি দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা কমানো অব্যাহত রয়েছে। ৫ম শ্রেণীতে শুধু নির্বাচিত কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে সকল শিশুকে বৃত্তির আওতায় আনার পর এ ধরনের বৃত্তি প্রদান শুরু হয়েছে। প্রতি বছরই ৫৫ হাজার মেধাবীকে বৃত্তি দেয়ার কথা। কিন্তু শুরুর বছরই দেয়া হয় ৫০ হাজার ৫৩৫ জনকে অর্থাৎ ৪ হাজার ৪৬৫ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি। ২০১০ সালে ৫৪ হাজার ৬৭৩ জন, অর্থাৎ ৩২৭ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি ২০১১ সালে ৫৪ হাজার ৯১৮ জনকে, অর্থাৎ ৮২ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি। ২০১২ সালে ৫৪ হাজার ৫৩০ জন, অর্থাৎ ৪৭০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি। ২০১৩ সালে ৫৪ হাজার ৪১২ জন, অর্থাৎ ৫৮৮ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়নি এবং এ বছর ২০১৪ সালে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয় ৫৪ হাজার ৪৮১ জনকে, অর্থাৎ ৫১৯ জনকে এবারও বৃত্তি দেয়া হয়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া পরিসংখ্যান অনুসারে গত ৬ বছরে ৬ হাজার ৫৫১-কে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এদের জন্য বরাদ্দকৃত অব্যবহৃত টাকার পরিণতি কি এ ব্যাপারেও কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। এ ব্যাপারে গতকাল মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বৃত্তির নীতিমালার কারণে এমনটি হচ্ছে। এ বছর সম্পূরক দিয়ে কিছুটা কমানো হয়েছে। আগামীতে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। উল্লেখ্য, নীতিমালায় মেধাবী ও সাধারণ গ্রেডের শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মোট বৃত্তির সংখ্যা ভাগ (গু) সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীর মোট সংখ্যা (ক্ম) সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানার সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা। উপজেলা/থানার মোট বৃত্তি সংখ্যার ৫০% ছাত্র ও ৫০% ছাত্রীর মধ্যে বণ্টন করা হয়।
No comments