রেলের জায়গায় বহুতল ভবন
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেল বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে বিপণিবিতান। সৈয়দপুর শহীদ ডা. জিকরুল হক রোড এর ছবি l প্রথম আলো |
নীলফামারীর
সৈয়দপুরে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে এক ডজন বহুতল
বিপণিবিতান। এসব স্থাপনার নির্মাণ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ একাধিক মামলা করেছে,
জারি করা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তি। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায়
ভবনগুলোর কাজ চলায় কাজ বন্ধ করা যাচ্ছে না।
সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, রেলওয়ের জায়গায় গড়ে তোলা মনিহারিপট্টি ও পৌর ক্লথ মার্কেটের ২০০ অস্থায়ী দোকান গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি আগুনে পুড়ে যায়। এতে শতকোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। ওই জমি নিয়ে পৌরসভার সঙ্গে রেলওয়ের বিরোধ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রধান সড়ক শহীদ ডা. জিকরুল হক রোডে পাঁচটি, বিমানবন্দর সড়কে একটি ও শহীদ ডা. সামসুল হক রোডে ছয়টি বহুতল বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ চলছে। সবগুলোই রেলওয়ের জায়গায়।
জিকরুল হক রোডে নির্মাণাধীন ভবনের দোকান মালিক ও পুড়ে যাওয়া মার্কেটের মনিহারিপট্টির ব্যবসায়ী মোহন আলী বলেন, ‘আগুন আমাদের পথে বসিয়েছে। আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ধার করে সবাই মিলে আবার মার্কেট নির্মাণ করছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের উচ্ছেদ করবে না বলে বিশ্বাস করি।’
জিকরুল হক ও সামসুল হক রোডের মাঝামাঝি জায়গায় নির্মাণাধীন পৌর ক্লথ মার্কেটের অন্যতম মালিক জুবায়ের আলম বলেন, পুড়ে যাওয়ার ভয় থেকেই এবার স্থায়ী ভবন করা হচ্ছে। বিমানবন্দর সড়কে নির্মাণাধীন বিপণিবিতানের দোকান মালিক ও সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য শাহিন আক্তার বলেন, ‘রেলওয়ের জমিতে তো কত ভবনই হচ্ছে। তাই আমরাও নতুন পাকা মার্কেট বানাচ্ছি।’
রেলওয়ের সূত্রমতে, রেলওয়ের জমির বাণিজ্যিক ইজারা থাকলে সেখানে অস্থায়ী স্থাপনা করা যেতে পারে, স্থায়ী ভবন নির্মাণ বেআইনি। সৈয়দপুরের ব্যবসায়ীরা সেই বিধি লঙ্ঘন করায় ৮ মার্চ ৭০ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় আসামি হিসেবে সৈয়দপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, বিএনপির সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সদস্য শাহিন আক্তার ও শওকত হায়াতের নাম আছে। মূলত প্রভাবশালী একটি মহল ব্যবসায়ীদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে ভবনগুলো নির্মাণ করছে।
মামলার বাদী বাংলাদেশ রেলওয়ের ফিল্ড কানুনগো (বিজি) মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের মার্কেটে ৩০টিরও বেশি দোকান আছে। মানবিক কারণে পুড়ে যাওয়া দোকানদারদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে নমনীয় আচরণ দেখাচ্ছিল। কিন্তু এই সুযোগে ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। মামলা ছাড়াও এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে ৭২ জন ব্যবসায়ীকে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার এসব অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ ঠেকাতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) মোস্তাক আহমেদ ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে তিন দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। মোস্তাক আহমেদ বলেন, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) নূর আহমেদ হোসেন বলেন, ‘এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে আমরা বারবার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। তাঁরা আমাদের কথা আমলে নেননি। বিষয়টি ওপরে জানানো হয়েছে।’
সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, রেলওয়ের জায়গায় গড়ে তোলা মনিহারিপট্টি ও পৌর ক্লথ মার্কেটের ২০০ অস্থায়ী দোকান গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি আগুনে পুড়ে যায়। এতে শতকোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। ওই জমি নিয়ে পৌরসভার সঙ্গে রেলওয়ের বিরোধ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রধান সড়ক শহীদ ডা. জিকরুল হক রোডে পাঁচটি, বিমানবন্দর সড়কে একটি ও শহীদ ডা. সামসুল হক রোডে ছয়টি বহুতল বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ চলছে। সবগুলোই রেলওয়ের জায়গায়।
জিকরুল হক রোডে নির্মাণাধীন ভবনের দোকান মালিক ও পুড়ে যাওয়া মার্কেটের মনিহারিপট্টির ব্যবসায়ী মোহন আলী বলেন, ‘আগুন আমাদের পথে বসিয়েছে। আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ধার করে সবাই মিলে আবার মার্কেট নির্মাণ করছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের উচ্ছেদ করবে না বলে বিশ্বাস করি।’
জিকরুল হক ও সামসুল হক রোডের মাঝামাঝি জায়গায় নির্মাণাধীন পৌর ক্লথ মার্কেটের অন্যতম মালিক জুবায়ের আলম বলেন, পুড়ে যাওয়ার ভয় থেকেই এবার স্থায়ী ভবন করা হচ্ছে। বিমানবন্দর সড়কে নির্মাণাধীন বিপণিবিতানের দোকান মালিক ও সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য শাহিন আক্তার বলেন, ‘রেলওয়ের জমিতে তো কত ভবনই হচ্ছে। তাই আমরাও নতুন পাকা মার্কেট বানাচ্ছি।’
রেলওয়ের সূত্রমতে, রেলওয়ের জমির বাণিজ্যিক ইজারা থাকলে সেখানে অস্থায়ী স্থাপনা করা যেতে পারে, স্থায়ী ভবন নির্মাণ বেআইনি। সৈয়দপুরের ব্যবসায়ীরা সেই বিধি লঙ্ঘন করায় ৮ মার্চ ৭০ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় আসামি হিসেবে সৈয়দপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, বিএনপির সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সদস্য শাহিন আক্তার ও শওকত হায়াতের নাম আছে। মূলত প্রভাবশালী একটি মহল ব্যবসায়ীদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে ভবনগুলো নির্মাণ করছে।
মামলার বাদী বাংলাদেশ রেলওয়ের ফিল্ড কানুনগো (বিজি) মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের মার্কেটে ৩০টিরও বেশি দোকান আছে। মানবিক কারণে পুড়ে যাওয়া দোকানদারদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে নমনীয় আচরণ দেখাচ্ছিল। কিন্তু এই সুযোগে ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। মামলা ছাড়াও এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে ৭২ জন ব্যবসায়ীকে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার এসব অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ ঠেকাতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) মোস্তাক আহমেদ ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে তিন দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। মোস্তাক আহমেদ বলেন, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) নূর আহমেদ হোসেন বলেন, ‘এসব অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে আমরা বারবার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি। তাঁরা আমাদের কথা আমলে নেননি। বিষয়টি ওপরে জানানো হয়েছে।’
No comments