আওয়ামী লীগ কর্মীদের বাধায় নিউ ইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন ভণ্ডুল
এফবিআইকে
ঘুষ দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশী তরুণ গত শনিবার নিউ
ইয়র্কে একটি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের একদল
নেতা-কর্মীর অতর্কিত হামলার মুখে ভণ্ডুল হয়ে যায় সে সংবাদ সম্মেলন। শেষ
পর্যন্ত পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ওই তরুণকে। তবে হামলার আগে
সাংবাদিকদের হাতে লিখিত বক্তব্যের কপি বিতরণ করেন সামপ্রতিক সময়ের আলোচিত এ
তরুণ রিজভী আহমেদ সিজার। এ তরুণ বাংলাদেশের জনৈক রাজনীতিকের বিষয়ে গোপন
তথ্য সংগ্রহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের দুই
এজেন্টকে ঘুষ দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বছরখানেক আগে। সে মামলায় ঘুষ
প্রদানের অভিযোগ স্বীকার করে নেয়ার পর গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত
তাকে ৪২ মাসের কারাদণ্ড দেয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশে এবং যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সংবাদ মাধ্যমের খবরে
বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীপুত্রের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্যই এফবিআই
এজেন্টকে ঘুষ দিয়েছিলেন ওই তরুণ। এছাড়া এফবিআই এজেন্টদের মাধ্যমে
প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে অপহরণেরও চেষ্টা করা হয় বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে
খবর প্রকাশিত হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাসাস নেতার ছেলে শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ফুডকোর্ট রেস্তরাঁয় সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। এ খবর পেয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী ফুডকোর্ট রেস্তঁরা ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা প্রকাশ্যেই ঘোষণা দেন, আজ এখানে আমরা বাংলাদেশী স্টাইলে এ সংবাদ সম্মেলন প্রতিহত করবো। আওয়ামী লীগের এমন মারমুখী অবস্থানের খবর পেয়ে সংবাদ সম্মেলন দেড় ঘণ্টা বিলম্ব হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই তরুণ দুজন পুলিশ সদস্য বেষ্টিত হয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তার পিতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন আগে থেকেই সেখানে বসা ছিলেন। তবে স্থানীয় বিএনপির কোন নেতাকে সেখানে দেখা যায়নি।
লিখিত বক্তব্যে অভিযুক্ত তরুণ গণমাধ্যমে আসা তথ্যের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবতার মিল নেই বলে দাবি করেন। এতে তিনি তার নিজের অবস্থান ও ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
সিজার সংবাদ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করার পর সেখানে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রিজভী আহমেদ সিজার একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সে কোর্টের পারমিশন ছাড়া কিভাবে প্রেস কনফারেন্স করতে চায়? এ রকম একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আমরা সংবাদ সম্মেলন করার সুযোগ দিতে পারি না। সংবাদ সম্মেলন করতে হলে তাকে কোর্টের পারমিশন নিয়ে আসতে হবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাসাস নেতার ছেলে শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ফুডকোর্ট রেস্তরাঁয় সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। এ খবর পেয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী ফুডকোর্ট রেস্তঁরা ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা প্রকাশ্যেই ঘোষণা দেন, আজ এখানে আমরা বাংলাদেশী স্টাইলে এ সংবাদ সম্মেলন প্রতিহত করবো। আওয়ামী লীগের এমন মারমুখী অবস্থানের খবর পেয়ে সংবাদ সম্মেলন দেড় ঘণ্টা বিলম্ব হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই তরুণ দুজন পুলিশ সদস্য বেষ্টিত হয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তার পিতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন আগে থেকেই সেখানে বসা ছিলেন। তবে স্থানীয় বিএনপির কোন নেতাকে সেখানে দেখা যায়নি।
লিখিত বক্তব্যে অভিযুক্ত তরুণ গণমাধ্যমে আসা তথ্যের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবতার মিল নেই বলে দাবি করেন। এতে তিনি তার নিজের অবস্থান ও ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
সিজার সংবাদ সম্মেলনস্থল ত্যাগ করার পর সেখানে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রিজভী আহমেদ সিজার একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সে কোর্টের পারমিশন ছাড়া কিভাবে প্রেস কনফারেন্স করতে চায়? এ রকম একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আমরা সংবাদ সম্মেলন করার সুযোগ দিতে পারি না। সংবাদ সম্মেলন করতে হলে তাকে কোর্টের পারমিশন নিয়ে আসতে হবে।
No comments