অপহরণ নিয়ে ধূম্রজাল by ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী

পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে নানা সময় নানা খবর সৃষ্টি হয়। তখন সেসব খবর নিয়ে নানা ধরনের হইচইও সৃষ্টি হয়। কখনো তিনি কোন যোগ্যতায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হলেন, কখনো বা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হন কিভাবেÑ এসব নিয়ে নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। সেই জয়কে অপহরণের কোথায় নাকি কী এক ষড়যন্ত্র হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কোনো এক জাসাস নেতার ছেলে নাকি এক এফবিআই এজেন্টকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে তাকে অপহরণ করানোর চেষ্টা করেছেন। এমন সব রসালো গল্প এখন বাজারে চালু। এই গল্প প্রথমে চালু হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সে পর্যন্ত ব্যাপারটাকে কেউ খুব একটা সিরিয়াসলি নেয়নি। কিন্তু বিষয়টা নিয়ে যখন বর্তমান পার্লামেন্টে তুমুল আলোচনা হলো, তখন বোঝা গেল যে, ব্যাপারটা হেব্বি সিরিয়াস। আওয়ামী রাজনীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। সমাজে যা কিছু ঘটুক, তার মধ্যে সব সময়ই তারা একটা ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করার চেষ্টা করে। নিউ ইয়র্কের এক আদালতে সরকারি কর্মচারীকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব করায় দুই ব্যক্তির সাজা হয়েছে। কিন্তু যে ব্যক্তিকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল, সেই ব্যক্তির সাজা হবে কি হবে না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। আগামী ৩০ এপ্রিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। এই গোটা প্রক্রিয়ার সাথে কোথাও সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম উল্লেখ নেই। অথচ বাংলাদেশের ধুন্ধুমার মিডিয়া সরকারি ঢাকে বগল বাজিয়ে বোল দিলো। বলা হলো যে, এক জাসাস নেতার ছেলে এফবিআইয়ের মাধ্যমে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ বা হত্যার জন্য কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন।
কিন্তু সংবাদপত্রের তো এ রকম হওয়ার কথা ছিল না। সংবাদপত্র বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছ থেকে এ রকম দায়িত্বহীন আচরণ কেউ আশা করে না। এ কাজের ফলে সমাজে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। আমরা বশংবদ মিডিয়া সব সময় সে দিকে খেয়াল রাখতে পারি না। এসব ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ও তার ঢাকবাদকদের কোনো কর্মকাণ্ডই আখেরে ধরা দেয় না। সাম্প্রতিক ইতিহাসে আমরা দেখি, ১৯৭৯ সালে এত বড় ক্ষমতাধর ইরানের শাহের পতন ঘটিয়েছিল মাত্র কিছুসংখ্যক সামরিক প্রশিক্ষণার্থী। আর ১৯৫২ সালে কিউবার জনধিকৃত কার্লোস সরকারের পতন ঘটিয়েছিল কিছু অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা মাত্র ৭৭ মিনিটের মধ্যে। সুতরাং কখন যে কোথায় কিভাবে কী হবে, সেটি নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না। আর তাই স্বৈরশাসকেরা সব সময়ই খুব অস্থির থাকেন। তার ফলে সাময়িকভাবে তা হয়ে ওঠে গোলযোগপূর্ণ, দীর্ঘমেয়াদে হয় বিপর্যয়কর।
তেমনি একটা নজির আমরা দেখলাম বাংলাদেশের বর্তমান বহু বিতর্কিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে। একশ্রেণীর দায়িত্বহীন সরকারের দালাল মিডিয়া পূর্বাপর বিবেচনা না করেই, চিলে সত্যি সত্যি কান নিয়েছে কি না না দেখেই একেবারে শোরগোল করে ফেলল যে, যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক জাসাস (জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা) নেতার ছেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। কিন্তু এই সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দায়িত্বহীন। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগে ফের ষড়যন্ত্রতত্ত্বের আবির্ভাব। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলাদেশে এখন সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ বা হত্যার ষড়যন্ত্র নিয়ে যে শোরগোল হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। বাংলাদেশের সংসদে যা হলো তা-ও সম্পূর্ণ অমূলকÑ চিলে কান নিয়েছে ধরনের। যে সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টে গলা থরথর করে কাঁপিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন, তারাও সংবাদটির উৎস খুঁজে দেখতে চাননি। এভাবে গালিগালাজ করলে হয়তো প্রধানমন্ত্রী খুশি হন, সে কারণে তারা গালিগালাজ করেই গেছেন। কেউ তলিয়ে দেখেননি।
গত ৪ মার্চ দক্ষিণ নিউ ইয়র্ক ডিস্ট্রিক্টের বিচারক ভিনসেন্ট বিক্কেট্টি এক মামলায় রায় দিয়েছেন। সে মামলার রায় নিয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো দায়িত্বহীন মিডিয়া এমন সব গপ্পো প্রচার করে বসেছে যে, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্রে ধরা খেয়েছেন। এই প্রচারণাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে ওই মামলাটির ছিল দু’টি দিক। প্রথমত, একজন এফবিআই এজেন্টের অর্থের বিনিময়ে কিছু অপ্রকাশিতব্য অতি গোপনীয় দলিল অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করা। যারা এফবিআইকে এভাবে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে তারা অপরাধী বলে বিবেচিত হয়। আর যে এভাবে প্রলুব্ধ বা প্ররোচিত হয় সেই এফবিআই এজেন্টও মার্কিন আইনে অপরাধী সাব্যস্ত হয়। এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের কাছে তৃতীয় পক্ষ ঘুষের বিনিময়ে যা দাবি করেছিল তা সরবরাহ করা হয়নি এবং যে ঘুষ দেয়ার চুক্তি হয়েছিল সে অর্থও এফবিআই এজেন্টকে দেয়া হয়নি। কিন্তু দেয়া হোক বা না হোক, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে তা সমান অপরাধ।
আদালতের বিবেচনায় লাস্টিক পাঁচ ধরনের অপরাধ করেছেন। ঘুষসংক্রান্ত ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ঘুষ গ্রহণে রাজি হয়েছেন, মার্কিন নাগরিক ও এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, সরকারি গোপন দলিল চুরিতে রাজি হয়েছেন এবং কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে অননুমোদিতভাবে তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয়েছেন। এ কারণে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের সংশ্লিষ্ট আদালত রায় দেবেন ৩০ এপ্রিল। আমরা অপেক্ষা করতে পারি সে রায়ে কী দাঁড়ায়।
তবে মামলায় ইতোমধ্যে যারা সাজা পেয়েছেন তারা হলেন কানেকটিকাটের রিজভী আহমেদ সিজার এবং নিউ ফেয়ার ফিল্ডের জোহানেস থ্যালর। তাদের দু’জনকে যথাক্রমে ৪২ মাস ও ৩০ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে। কারণ, তারা ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। রিজভী আহমেদ থ্যালরকে ব্যবহার করে এবং ঘুষ দিয়ে এফবিআইয়ের একটি গোপন রিপোর্ট বের করতে চেয়েছিলেন। এগুলো মার্কিন আইনে অপরাধ। তা নিয়েই তুলকালাম। দুর্ভাগ্য হলো এই যে, মূল যে ব্যক্তি যাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, তার মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। তিনি এফবিআইয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একজন বন্ধু মাত্র। রিজভী থ্যালরের মাধ্যমে লাস্টিকের কাছ থেকে ঘুষদানবিষয়ক এফবিআইয়ের এক রিপোর্ট সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মূল আসামি এখনো কোনো শাস্তির মুখোমুখি হয়নি। যে দু’জনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে, তাদের অপরাধ হলো তারা কেন অন্যায়ভাবে একটি গোপন দলিলের কপি সংগ্রহ করার চেষ্টা করলেন।
এ ঘটনার পর বাংলাদেশে যে প্রচার-প্রপাগান্ডা চলল, তার মূল হলো, কারা যেন সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সাপ্তাহিক হলিডে তাদের তদন্তে দেখতে পেয়েছে, এফবিআইয়ের ওই ইনভেস্টিগেশন রিপোর্টে এমন একজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন, যিনি বাংলাদেশের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এক ব্যক্তির অতি ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও মার্কিন নাগরিক। এ ক্ষেত্রে আকস্মিকভাবে আবির্র্ভূত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গত ৯ মার্চ তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, তিনি নিজে এই ষড়যন্ত্রের একজন ভুক্তভোগী এবং রিজভী আহমেদ জাসাসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে। কিন্তু আদালতের বিবেচনায় এর কোনো কিছুই অন্তর্ভুক্ত ছিল না। রিজভী আহমেদ যখন তার প্রথম পথে সাফল্য পাচ্ছিলেন না, তখন তিনি দ্বিতীয় পথ অবলম্বন করেন। এফবিআই এজেন্ট লাস্টিকের অন্য এক বন্ধুর সাহায্য নেয়ার চেষ্টা করেন। তখন রাগ হয়ে লাস্টিক থ্যালরকে একটা ই-মেইল পাঠান। তাতে তিনি বলেন, ‘আহমেদকে বলো যে, আমি অভিযুক্তের নাম্বার পেয়েছি। দরকার হলে পেচ্ছাব করে দেবো। আহমেদরা যা করছে তা অভিযুক্তের কাছে বিক্রি করে দেবো। সুতরাং তাকে পয়সা দিতে হবে। নইলে তাকে চিপড়ে ছাড়ব।’
এ থেকে বোঝা যায় যে, লাস্টিক রিজভী আহমেদকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছিল। কারণ, রিজভী অন্য সূত্রও কাজে লাগাচ্ছিল। রিজভী আহমেদের লক্ষ্য ছিল, এফবিআইয়ের অন্য কারো মাধ্যমে ওই দলিল হস্তগত করা। কিন্তু তা পছন্দ করেনি লাস্টিক। লাস্টিক দলিলও দিলেন না। ব্ল্যাকমেইলও করলেন। রাগান্বিত লাস্টিক এক বার্তা দিলেন যে, কোথাও কেউ এক ‘বাংলাদেশী রাজনীতিককে হত্যা’ করতে চাচ্ছে এবং এই বার্তা অভিযুক্তের কাছে পৌঁছে দেবে সে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, এফবিআই এজেন্ট লাস্টিক তার সাথে যোগাযোগকারীর বিরুদ্ধে বড় বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছিলেন। এর সাথে এলো হত্যার হুমকির ঘটনা। এফবিআই এজেন্ট ব্ল্যাকমেইল করার জন্য যা বললেন, সেটাই এখন হু হু ভাবে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে জাসাস নেতার ছেলে কী করতে চেয়েছিলেন বা চাননি, এগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করতে চেয়েছেন এমন কথা জয়ই প্রকাশ করলেন। কেউ তো বলেনি যে, গোটা বিষয়টির সাথে জয় জড়িত আছেন। কিন্তু ৯ মার্চ জয় অকারণেই তার ফেসবুকে বলে বসলেন, নিউ ইয়র্কের আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করেছে। কোথায় একটি গোপন দলিল সংগ্রহের চেষ্টা, আর কোথায় জয়কে হত্যার চেষ্টাÑ ধুলায় অন্ধকার। জয় সেখানে আরো আবিষ্কার করলেন, বিএনপি তাকে হত্যা করতে চায়, অপহরণ করতে চায়, খুন করতে চায়। আজব! আসলে রিজভী আহমেদ কী দলিলের জন্য এফবিআইকে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন তা এখনো প্রকাশ হয়নি।
কিন্তু সাপ্তাহিক হলিডের রিপোর্টে দেখা যায়, জনাব আহমেদ যে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিলেন তার সাথে জয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। ঘটনাটি পরিষ্কারভাবে এই যে, এক ব্যক্তি এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দিয়ে একটি গোপন দলিল সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছে। এর বাইরে আর কিছু নেই। তাহলে জনাব জয় কেন আগবাড়িয়ে বলতে গেলেন, দলিল সংগ্রহের চেষ্টাকারী তাকে হত্যা করতে চায়?
তবে সঙ্গত কারণেই সবার মনে প্রশ্ন, কী আছে ওই গোপন দলিলে? বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী এক সাপ্তাহিক অনুসন্ধান করে দেখেছে, দলিলটি মার্কিন তেল কোম্পানি শেভরনকে নিয়ে। ২০০৯ সালে উৎপাদন বণ্টন চুক্তির অধীনে পাঁচ কোটি ২৭ লাখ ডলারের একটি কন্ট্রাক্ট পেতে শেভরন বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনীতিকদের ঘুষ দিয়েছে। অন্যান্য তথ্যের মধ্যে এফবিআই জানতে পারে, যাদের ঘুষ দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী একজন ক্ষমতাশালী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। শেভরনের সাথে আরো নানা ধরনের জটিলতার কারণে বিষয়গুলো মীমাংসার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শেভরন এবং ওই প্রভাবশালী বাংলাদেশী রাজনীতিকের সাথে বৈঠক করেন।
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে আরো তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় ইন্সপেক্টর জেনারেলের বিচারিক অফিস। সে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এমিলি রায়ে উডকে। কিন্তু এই সূত্র ও অন্যান্য প্রচারমাধ্যমের খবর দেখে এফবিআই চাতুর্যের সাথে শেভরন ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিশ্বস্ত সূত্রের উল্লেখ করে ঢাকার সাপ্তাহিকটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী ওই বাংলাদেশী রাজনীতিকের বেশ কিছু কোম্পানিতে ৩০ কোটি ডলার সন্দেহজনক জমা হয়েছে।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, গোপন তথ্য পেতে কোনো ঘুষের লেনদেন হয়নি। কিন্তু মার্কিন আইন অনুযায়ী ঘুষ দেয়া-নেয়ার চেষ্টাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে ঘুষ দিয়ে গোপন দলিল সংগ্রহের চেষ্টার দায়ে দুই ব্যক্তির সাজা হয়েছে। তার সাথে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ বা খুন কিংবা জাসাস নেতার সংশ্লিষ্টতার কোনো উল্লেখ কোথাও নেই। কেউ কলা খায় কি খায় না, তা-ও কেউ জানতে চায়নি। তাহলে জায়গায় বইসা আওয়াজ দিচ্ছেন কেন?
আমাদের গণমাধ্যম বা সংসদের শেষ পর্যন্ত বোধোদয় হবে কি?
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.