অনৈতিক মুনাফা-মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে
বাংলাদেশে কিছু কিছু সময় আসে, যখন বাজারে
পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কিছুতেই রোধ করা যায় না। কখনো কখনো সৃষ্টি করা হয়
কৃত্রিম সংকট। এক শ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর কারসাজিতে বাজার হয়ে পড়ে
লাগামহীন।
সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়। দেশের বাজারে একটি
সিন্ডিকেট সক্রিয়- এমন কথা বরাবরই শোনা যায়। অদৃশ্য সেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে
লড়াই করা ভোক্তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারের ব্যবস্থাপনায় বিকল্প বাজার
ব্যবস্থার কথা বারবারই বলা হয়েছে। কিন্তু বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।
অন্যদিকে বাজার মনিটরিংয়ের অব্যবস্থাপনার সুযোগ নিয়ে অনৈতিকভাবে মুনাফা
লুটে নিচ্ছে অসৎ ব্যবসায়ীদের একটি চক্র।
আমদানি খরচের সঙ্গে আরো তিন ধরনের খরচ যোগ করে একটি পণ্যের বাজারদর ঠিক করে থাকে ট্যারিফ কমিশন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ট্যারিফ কমিশনের ঠিক করা কাঙ্ক্ষিত দামের সঙ্গে বাজার মূল্যের অনেক বেশি ফারাক। পণ্যভেদে এটি হয়ে পড়ে রীতিমতো ডাকাতির শামিল। ডাল ও মসলা জাতীয় পণ্যে অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা লক্ষণীয়। রমজান মাস সামনে রেখে ট্যারিক কমিশন যে হিসাব করেছে, তাতে বেশ কয়েকটি পণ্যে খুচরা পর্যায়ে অত্যধিক মুনাফা করা হচ্ছে। অথচ এই খুচরা পর্যায়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুর্বল। ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে কিছু আমদানি পণ্য যে দামে বিক্রি হওয়া উচিত, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছে রোজার মাস সামনে রেখে। বাংলাদেশের বাজারে বিশেষ করে রোজার মাসে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ে। অবশ্য রোজার মাস সামনে রেখে বেগুন, কাঁচামরিচ, শসা ও ধনেপাতা রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে এ মাসের শেষদিক থেকেই টিসিবি পণ্য বিপণনে বাজারে নামছে। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রুখতেই এ ব্যবস্থা।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। বাড়াতে হবে মনিটরিং। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে টিসিবিকে সক্রিয় করার পাশাপাশি মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। জোরদার মনিটরিং ব্যবস্থাই বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা আশা করব, রমজানের আগে থেকেই সরকার বাজার মনিটরিংয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
আমদানি খরচের সঙ্গে আরো তিন ধরনের খরচ যোগ করে একটি পণ্যের বাজারদর ঠিক করে থাকে ট্যারিফ কমিশন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ট্যারিফ কমিশনের ঠিক করা কাঙ্ক্ষিত দামের সঙ্গে বাজার মূল্যের অনেক বেশি ফারাক। পণ্যভেদে এটি হয়ে পড়ে রীতিমতো ডাকাতির শামিল। ডাল ও মসলা জাতীয় পণ্যে অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা লক্ষণীয়। রমজান মাস সামনে রেখে ট্যারিক কমিশন যে হিসাব করেছে, তাতে বেশ কয়েকটি পণ্যে খুচরা পর্যায়ে অত্যধিক মুনাফা করা হচ্ছে। অথচ এই খুচরা পর্যায়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুর্বল। ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে কিছু আমদানি পণ্য যে দামে বিক্রি হওয়া উচিত, তার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছে রোজার মাস সামনে রেখে। বাংলাদেশের বাজারে বিশেষ করে রোজার মাসে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ে। অবশ্য রোজার মাস সামনে রেখে বেগুন, কাঁচামরিচ, শসা ও ধনেপাতা রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে এ মাসের শেষদিক থেকেই টিসিবি পণ্য বিপণনে বাজারে নামছে। রোজার মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রুখতেই এ ব্যবস্থা।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। বাড়াতে হবে মনিটরিং। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে টিসিবিকে সক্রিয় করার পাশাপাশি মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। জোরদার মনিটরিং ব্যবস্থাই বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা আশা করব, রমজানের আগে থেকেই সরকার বাজার মনিটরিংয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
No comments