সেচের জন্য নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ অনিশ্চিত
এ বছর বোরো ধান আবাদে সেচের জন্য নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া দুটি কারণে অনিশ্চিত। প্রথমত, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ-উৎপাদনের ঘাটতি। দ্বিতীয়ত, অধিকাংশ বিতরণ উপকেন্দ্র ও লাইন (ফিডার) ওভারলোডেড (ক্ষমতার চেয়েও বেশি বিতরণের ভারে নাজুক)।
আসন্ন সেচ মৌসুমে সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার জন্য গতকাল বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এই অনিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওই সভা হয়।
সভার সূত্রগুলো জানায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন সভায় বলেন, তাঁর সংস্থার কাছে সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য ২৭ হাজার ২৭৭টি নতুন আবেদন জমা পড়েছে। এগুলোসহ এ বছর সেচের জন্য আরইবির আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন দেড় হাজার মেগাওয়াট বাড়তি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে।
সভায় বলা হয়, আরইবি ছাড়াও ওজোপাডিকো ও পিডিবির বিতরণ অঞ্চল মিলে সেচের জন্য মোট প্রায় ৩০ হাজার নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগের আবেদন রয়েছে। এগুলোতে সংযোগ দেওয়া হলে এ বছর সেচের জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট।
প্রসঙ্গত, গত বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ।
সভায় এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সভা শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নতুন সংযোগ দেওয়া হবে কি না বা কতগুলো দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে। বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতার ওপর তা নির্ভর করবে।
তবে সেচের জন্য নতুন সংযোগ দেওয়া হোক বা না হোক, আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রায় চার মাস বিস্তৃত সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাপনা (লোড ম্যানেজমেন্ট) করা হবে গত বছরের মতোই। এর অংশ হিসেবে রাত আটটায় খাবার ও ওষুধ ছাড়া সব দোকান ও বিপণিবিতান বন্ধ করতে হবে। সন্ধ্যাকালীন সর্বোচ্চ চাহিদার সময় (সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) শিল্পকারখানা জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে না। ওই সময় পানির পাম্পসহ ভারী বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার দোকানপাট ও শিল্পকারখানায় ছুটি (হলিডে স্ট্যাগারিং) থাকবে। সেচযন্ত্র চালানো যাবে রাত ১১টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত। তবে ওই সময় কোনো ফিডারে বিশেষ কারণে কোনো দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে পরদিন দিনের বেলায় সেই নির্দিষ্ট ফিডারের গ্রাহকেরা সেচযন্ত্র চালাতে পারবেন।
পিডিবির চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহাব খান প্রথম আলোকে জানান, এ বছর তাঁদের সর্বোচ্চ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট। আর সর্বোচ্চ চাহিদা হবে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনায় বলা হয়, ২০১৩ সালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হবে সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াট।
গতকালের সভায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিদ্যুৎ খাতের সব সংস্থা, পেট্রোবাংলা, বিপিসি, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে আরেকটি সভা হবে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়।
সভার সূত্রগুলো জানায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন সভায় বলেন, তাঁর সংস্থার কাছে সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ-সংযোগের জন্য ২৭ হাজার ২৭৭টি নতুন আবেদন জমা পড়েছে। এগুলোসহ এ বছর সেচের জন্য আরইবির আওতাধীন এলাকায় প্রতিদিন দেড় হাজার মেগাওয়াট বাড়তি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে।
সভায় বলা হয়, আরইবি ছাড়াও ওজোপাডিকো ও পিডিবির বিতরণ অঞ্চল মিলে সেচের জন্য মোট প্রায় ৩০ হাজার নতুন বিদ্যুৎ-সংযোগের আবেদন রয়েছে। এগুলোতে সংযোগ দেওয়া হলে এ বছর সেচের জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট।
প্রসঙ্গত, গত বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রের সংখ্যা ছিল প্রায় তিন লাখ।
সভায় এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সভা শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নতুন সংযোগ দেওয়া হবে কি না বা কতগুলো দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে। বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতার ওপর তা নির্ভর করবে।
তবে সেচের জন্য নতুন সংযোগ দেওয়া হোক বা না হোক, আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রায় চার মাস বিস্তৃত সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাপনা (লোড ম্যানেজমেন্ট) করা হবে গত বছরের মতোই। এর অংশ হিসেবে রাত আটটায় খাবার ও ওষুধ ছাড়া সব দোকান ও বিপণিবিতান বন্ধ করতে হবে। সন্ধ্যাকালীন সর্বোচ্চ চাহিদার সময় (সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) শিল্পকারখানা জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে না। ওই সময় পানির পাম্পসহ ভারী বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার দোকানপাট ও শিল্পকারখানায় ছুটি (হলিডে স্ট্যাগারিং) থাকবে। সেচযন্ত্র চালানো যাবে রাত ১১টা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত। তবে ওই সময় কোনো ফিডারে বিশেষ কারণে কোনো দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে পরদিন দিনের বেলায় সেই নির্দিষ্ট ফিডারের গ্রাহকেরা সেচযন্ত্র চালাতে পারবেন।
পিডিবির চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহাব খান প্রথম আলোকে জানান, এ বছর তাঁদের সর্বোচ্চ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট। আর সর্বোচ্চ চাহিদা হবে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু বিদ্যুৎ খাত মহাপরিকল্পনায় বলা হয়, ২০১৩ সালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হবে সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াট।
গতকালের সভায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিদ্যুৎ খাতের সব সংস্থা, পেট্রোবাংলা, বিপিসি, কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে আরেকটি সভা হবে বলে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়।
No comments