বোর্ডের নিয়ম মানছে না সরকারি-বেসরকারি কোনো বিদ্যালয়ই- এসএসসির অতিরিক্ত ফি আদায় by নিজাম সিদ্দিকী
চট্টগ্রামে মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষার ফি আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি ও সিটি করপোরেশনভুক্ত বিদ্যালয়গুলো ইচ্ছেমতো ফি আদায় করছে। কোনো প্রতিষ্ঠানই বোর্ডের নিয়ম মানছে না।
বিষয় ভেদে বোর্ডের নির্ধারিত ফি এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। অথচ বিভিন্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোচিং, মডেল টেস্ট, বিদ্যালয়ের বেতন, বিভিন্ন খরচের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্র ও বোর্ড ফি মিলে বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য মোট ফি নির্ধারিত হয়েছে এক হাজার ২৪০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের জন্য এক হাজার ১৫০ টাকা।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পীযূষ দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেউ যদি বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করে, তার দায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী বোর্ডের নির্ধারিত ফির বাইরে মহানগর এলাকায় প্রতি বিষয়ে কোচিং ফি বাবদ ৩০০ টাকা, উপজেলা পর্যায়ে ১৫০ টাকা এবং জেলা পর্যায়ে ২০০ টাকা করে নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। সম্মতি ছাড়া কেউ কোনো কোচিং ফি আদায় করতে পারবেন না। এর বাইরে অতিরিক্ত ফি আদায় করা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী।
জানা যায়, চট্টগ্রামের নয়টি সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে কলেজিয়েট স্কুলে নিচ্ছে এক হাজার ২৯০ টাকা, সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি (বালক) উচ্চবিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এক হাজার ৭৫০ টাকা, হাজী মুহাম্মদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় দুই হাজার ৩৫০ টাকা, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এক হাজার ৪০০ টাকা, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এক হাজার ৩০০ টাকা আদায় করছে।
সরকারি বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ প্রধান শিক্ষকই বলেন, ‘আমরা বোর্ডের নির্ধারিত ফির বাইরে কোনো টাকা নিইনি।’ কিন্তু বোর্ডের ফি কত তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি। আবার কেউ কেউ বাড়তি ফি নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মডেল টেস্ট ও পরীক্ষার কাগজপত্র কেনার খরচের কথা বলেন।
অপর দিকে, সিটি করপোরেশনভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের ফির বাইরে অতিরিক্ত দুই হাজার ৪৭০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুই হাজার ৩৮০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে তিন মাসের বেতন দুই হাজার ২২৫ টাকা, সেশন ফি (করপোরেশনের উন্নয়ন ফি) ৭২৫ টাকা, মডেল টেস্টের জন্য ১৫০ টাকা, তিন মাসের কোচিং ফি এক হাজার ২০০ টাকা এবং বিবিধ ৫০ টাকা। এর সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের বেলায় আরও ১২০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩০ টাকা করে দিতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল আলম নিজামী বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো টাকাই নিচ্ছি না। কারণ তিন মাসের বেতন ও সেশন ফি চলে যাবে করপোরেশনের খাতে এবং বিবিধ খাতের ৫০ টাকা ফটোকপি করাসহ আনুষঙ্গিক খরচ মেটানোর পর বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় যেখানে প্রতিটি বিষয়ের কোচিংয়ের জন্য ৩০০ টাকা করে রাখার কথা সেখানে আমরা সব বিষয়ের জন্য চার শ টাকা করে নিয়েছি।’
এ ছাড়া বেসরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে সেন্ট স্কলাস্টিকা স্কুলে চার হাজার ৭৫০ টাকা, সেন্ট প্লাসিডে চার হাজার ৯৫০ টাকা, বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যে চার হাজার ৮৫০ টাকা, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দু হাজার ৭০০ টাকা, ইস্পাহানি স্কুলে চার হাজার টাকা, জে এম সেন উচ্চবিদ্যালয়ে চার হাজার ৯০ টাকা, অংকুর সোসাইটি স্কুলে চার হাজার ৯০০ টাকা, রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে এক হাজার ৮৪০ টাকা করে ফি আদায় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্র ও বোর্ড ফি মিলে বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য মোট ফি নির্ধারিত হয়েছে এক হাজার ২৪০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের জন্য এক হাজার ১৫০ টাকা।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পীযূষ দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘কেউ যদি বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করে, তার দায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী বোর্ডের নির্ধারিত ফির বাইরে মহানগর এলাকায় প্রতি বিষয়ে কোচিং ফি বাবদ ৩০০ টাকা, উপজেলা পর্যায়ে ১৫০ টাকা এবং জেলা পর্যায়ে ২০০ টাকা করে নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। সম্মতি ছাড়া কেউ কোনো কোচিং ফি আদায় করতে পারবেন না। এর বাইরে অতিরিক্ত ফি আদায় করা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী।
জানা যায়, চট্টগ্রামের নয়টি সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে কলেজিয়েট স্কুলে নিচ্ছে এক হাজার ২৯০ টাকা, সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি (বালক) উচ্চবিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এক হাজার ৭৫০ টাকা, হাজী মুহাম্মদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় দুই হাজার ৩৫০ টাকা, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এক হাজার ৪০০ টাকা, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এক হাজার ৩০০ টাকা আদায় করছে।
সরকারি বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ প্রধান শিক্ষকই বলেন, ‘আমরা বোর্ডের নির্ধারিত ফির বাইরে কোনো টাকা নিইনি।’ কিন্তু বোর্ডের ফি কত তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি। আবার কেউ কেউ বাড়তি ফি নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মডেল টেস্ট ও পরীক্ষার কাগজপত্র কেনার খরচের কথা বলেন।
অপর দিকে, সিটি করপোরেশনভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ডের ফির বাইরে অতিরিক্ত দুই হাজার ৪৭০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুই হাজার ৩৮০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে তিন মাসের বেতন দুই হাজার ২২৫ টাকা, সেশন ফি (করপোরেশনের উন্নয়ন ফি) ৭২৫ টাকা, মডেল টেস্টের জন্য ১৫০ টাকা, তিন মাসের কোচিং ফি এক হাজার ২০০ টাকা এবং বিবিধ ৫০ টাকা। এর সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের বেলায় আরও ১২০ টাকা এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩০ টাকা করে দিতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল আলম নিজামী বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো টাকাই নিচ্ছি না। কারণ তিন মাসের বেতন ও সেশন ফি চলে যাবে করপোরেশনের খাতে এবং বিবিধ খাতের ৫০ টাকা ফটোকপি করাসহ আনুষঙ্গিক খরচ মেটানোর পর বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় যেখানে প্রতিটি বিষয়ের কোচিংয়ের জন্য ৩০০ টাকা করে রাখার কথা সেখানে আমরা সব বিষয়ের জন্য চার শ টাকা করে নিয়েছি।’
এ ছাড়া বেসরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে সেন্ট স্কলাস্টিকা স্কুলে চার হাজার ৭৫০ টাকা, সেন্ট প্লাসিডে চার হাজার ৯৫০ টাকা, বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যে চার হাজার ৮৫০ টাকা, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে দু হাজার ৭০০ টাকা, ইস্পাহানি স্কুলে চার হাজার টাকা, জে এম সেন উচ্চবিদ্যালয়ে চার হাজার ৯০ টাকা, অংকুর সোসাইটি স্কুলে চার হাজার ৯০০ টাকা, রহমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে এক হাজার ৮৪০ টাকা করে ফি আদায় করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
No comments