কারাদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান চাই- জনস্বাস্থ্যের জন্য যে প্রতারণা ভয়ংকর
পন্ডস, ডাভ, জিলেট, লরিয়েল, জনসনস—এ রকম বিশ্বখ্যাত ও দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনসামগ্রী যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের সাধারণ বিশ্বাস, এসব পণ্যের গুণগত মান বেশ ভালো। তাই বেশি পয়সা খরচ করে হলেও তাঁরা এসব পণ্য ব্যবহার করেন; তাঁরা নিজেদের শিশুদের জন্যও এসব ব্র্যান্ডের পণ্যসামগ্রীর ওপর আস্থা রাখেন।
কিন্তু কেউ কি ভাবতে পারেন, আমাদের দেশের বাজারে এসব ব্র্যান্ডের অনেক পণ্য বিক্রি হচ্ছে মান নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই? হ্যাঁ, ভ্রাম্যমাণ আদালত গত সোমবার রাজধানী ঢাকার কলাবাগানে জোন্স করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার এ রকম প্রসাধনী পণ্য জব্দ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি ওই সব নামীদামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ ইচ্ছামতো বসিয়ে, বিএসটিআইয়ের ভুয়া লোগো লাগিয়ে বাজারে সরবরাহ করে আসছে তিন বছর ধরে।
‘আগোরা’র মতো অভিজাত ‘সুপারস্টোর’ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এ রকম পণ্য। আগোরার কর্তৃপক্ষ স্বীকারও করেছে যে জোন্স নামের প্রতিষ্ঠানটি তাদের কাছে এসব পণ্য সরবরাহ করছে এক বছর ধরে। তারা টেরও পায়নি যে জোন্স তাদের বিএসটিআইয়ের ভুয়া অনুমোদনপত্র দেখিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা ভেজাল পণ্য সরবরাহ করে আসছে। বস্তুত তারা সে ব্যাপারে কোনো দায়িত্বও বোধ করেনি।
এটা এমন এক ভয়ংকর বিপজ্জনক প্রতারণা, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে জনস্বাস্থ্যের প্রশ্ন। বিশেষত, শিশুদের স্বাস্থ্য যে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে, তা আমরা জানতেই পারিনি। আমরা এখনো জানি না, বাংলাদেশের বাজারে জোন্স করপোরেশনের মতো প্রতারক প্রতিষ্ঠান আরও কত আছে, কত বছর ধরে কী ধরনের পণ্য তারা বিএসটিআইয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুমোদন ছাড়াই, ভুয়া তারিখ বসিয়ে বাজারে সরবরাহ করছে, সেটা জানা দরকার। এর বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান শুরু করা হোক এক্ষুনি।
জোন্স করপোরেশনের এই বিরাট প্রতারণার শাস্তি হয়েছে মাত্র দেড় লাখ টাকা জরিমানা। শিশুসহ জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক প্রতারণাপূর্ণ উপায়ে তারা যে বিপুল অঙ্কের ব্যবসা করে আসছে, তার শাস্তি যদি হয় কেবলই সামান্য অঙ্কের জরিমানা, তাহলে তারা তা আরও বেশি করে করার উৎসাহ পাবে। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে দীর্ঘ মেয়াদের কারাদণ্ড ও বিপুল অঙ্কের অর্থদণ্ডের বিধান করতে হবে।
‘আগোরা’র মতো অভিজাত ‘সুপারস্টোর’ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এ রকম পণ্য। আগোরার কর্তৃপক্ষ স্বীকারও করেছে যে জোন্স নামের প্রতিষ্ঠানটি তাদের কাছে এসব পণ্য সরবরাহ করছে এক বছর ধরে। তারা টেরও পায়নি যে জোন্স তাদের বিএসটিআইয়ের ভুয়া অনুমোদনপত্র দেখিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা ভেজাল পণ্য সরবরাহ করে আসছে। বস্তুত তারা সে ব্যাপারে কোনো দায়িত্বও বোধ করেনি।
এটা এমন এক ভয়ংকর বিপজ্জনক প্রতারণা, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে জনস্বাস্থ্যের প্রশ্ন। বিশেষত, শিশুদের স্বাস্থ্য যে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আছে, তা আমরা জানতেই পারিনি। আমরা এখনো জানি না, বাংলাদেশের বাজারে জোন্স করপোরেশনের মতো প্রতারক প্রতিষ্ঠান আরও কত আছে, কত বছর ধরে কী ধরনের পণ্য তারা বিএসটিআইয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অনুমোদন ছাড়াই, ভুয়া তারিখ বসিয়ে বাজারে সরবরাহ করছে, সেটা জানা দরকার। এর বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান শুরু করা হোক এক্ষুনি।
জোন্স করপোরেশনের এই বিরাট প্রতারণার শাস্তি হয়েছে মাত্র দেড় লাখ টাকা জরিমানা। শিশুসহ জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক প্রতারণাপূর্ণ উপায়ে তারা যে বিপুল অঙ্কের ব্যবসা করে আসছে, তার শাস্তি যদি হয় কেবলই সামান্য অঙ্কের জরিমানা, তাহলে তারা তা আরও বেশি করে করার উৎসাহ পাবে। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে দীর্ঘ মেয়াদের কারাদণ্ড ও বিপুল অঙ্কের অর্থদণ্ডের বিধান করতে হবে।
No comments