যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা-মোল্লা ওমরের ইশারার অপেক্ষায় হাক্কানি
পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্ক বলেছে, তালেবানপ্রধান মোল্লা ওমর অনুমতি দিলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এ কথা জানিয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে জাতিসংঘ হাক্কানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে। এর পরই তারা আলোচনায় বসার কথা জানাল।
আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি বড় হামলার পেছনে হাক্কানির জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বাহিনীর (আইএএসএফ) ওপর হামলা অন্যতম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অজ্ঞাত স্থান থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কমান্ডার জানান, এ অঞ্চল ছাড়তে বিদেশি বাহিনীকে তাঁরা চাপে রেখেছেন। ওয়াশিংটন জঙ্গিনেতাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, 'মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় শুরা পরিষদ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা সেই মতকে স্বাগত জানাই।' তবে যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে খুব একটা আন্তরিক নন বলে দলটির অন্য নেতারা অভিযোগ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় বারাক ওবামাকে স্বাগত জানিয়েছেন হাক্কানি কমান্ডার। ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। কিন্তু 'যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত' হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তাঁরা সেনা প্রত্যাহার করতে পারেন বলে ওই নেতা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'বাস্তবে যা ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে, সেনা প্রত্যাহারের জন্য ওবামা ২০১৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। তাঁরা মানবিক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। আরো বেশি ক্ষতি সহ্য করার মতো অবস্থায় তাঁদের নেই।'
হাক্কানির সঙ্গে এর আগে আলোচনায় না বসলেও চলতি বছরের শুরু দিকে কাতারে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি আলোচনা হয়। বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় বৈঠকে অচলাবস্থা দেখা দেয়। তবে আলোচনা যে শুরু হয়েছে, সে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মধ্যস্থতাকারীরা। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
চলতি মাসের প্রথম দিকে জাতিসংঘ হাক্কানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে। এর পরই তারা আলোচনায় বসার কথা জানাল।
আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি বড় হামলার পেছনে হাক্কানির জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বাহিনীর (আইএএসএফ) ওপর হামলা অন্যতম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অজ্ঞাত স্থান থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কমান্ডার জানান, এ অঞ্চল ছাড়তে বিদেশি বাহিনীকে তাঁরা চাপে রেখেছেন। ওয়াশিংটন জঙ্গিনেতাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, 'মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় শুরা পরিষদ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা সেই মতকে স্বাগত জানাই।' তবে যুক্তরাষ্ট্র হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে খুব একটা আন্তরিক নন বলে দলটির অন্য নেতারা অভিযোগ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় বারাক ওবামাকে স্বাগত জানিয়েছেন হাক্কানি কমান্ডার। ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। কিন্তু 'যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত' হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তাঁরা সেনা প্রত্যাহার করতে পারেন বলে ওই নেতা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, 'বাস্তবে যা ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে, সেনা প্রত্যাহারের জন্য ওবামা ২০১৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। তাঁরা মানবিক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। আরো বেশি ক্ষতি সহ্য করার মতো অবস্থায় তাঁদের নেই।'
হাক্কানির সঙ্গে এর আগে আলোচনায় না বসলেও চলতি বছরের শুরু দিকে কাতারে তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি আলোচনা হয়। বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় বৈঠকে অচলাবস্থা দেখা দেয়। তবে আলোচনা যে শুরু হয়েছে, সে বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মধ্যস্থতাকারীরা। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments