জারদারির মামলা চালু-আদালত অবমাননার নোটিশ প্রত্যাহার
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননা-সংক্রান্ত নোটিশ প্রত্যাহার করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এ বছরের মাঝামাঝি জারি করা নোটিশটি গতকাল বুধবার প্রত্যাহার করা হয়।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চালুর বিষয়ে সুইজারল্যান্ডে চিঠি না পাঠালে প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার হুমকি দেওয়া হয়েছিল ওই নোটিশে।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ নোটিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। বিচারক আনোয়ার জহির জামালি বেঞ্চের নেতৃত্ব দেন। জারদারির মামলা চালুর প্রশ্নে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সুইজারল্যান্ডে চিঠি পাঠানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে- এ ব্যাপারে প্রমাণ দেখানোর পরই আদালত নোটিশ প্রত্যাহার করে নেন। আইনমন্ত্রী ফারুক নায়েক জানান, পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, সুইজারল্যান্ড সরকার গত ৯ নভেম্বর তা গ্রহণ করেছে। চিঠি গৃহীত হওয়ার রসিদ সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেন নায়েক।
নায়েক আরো জানান, পাকিস্তানি ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট জারদারি যে দায়মুক্তি ভোগ করছেন, সুইস কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। নোটিশ প্রত্যাহারের ঘটনাকে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জয় বলেও অভিহিত করেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডে চিঠি পাঠানোর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের টানাপড়েন শুরু হয়। সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের জারি করা দায়মুক্তি অধ্যাদেশের কারণে জারদারির দুর্নীতির মামলাগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট দায়মুক্তি ভোগ করেন_এই যুক্তিতে সুইজারল্যান্ডে চিঠি পাঠাতে রাজি না হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে গত জুনে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট। আশরাফ গিলানির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর তাঁকেও একই নির্দেশ দেন আদালত।
সূত্র : পিটিআই, ডন।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ নোটিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। বিচারক আনোয়ার জহির জামালি বেঞ্চের নেতৃত্ব দেন। জারদারির মামলা চালুর প্রশ্নে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সুইজারল্যান্ডে চিঠি পাঠানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে- এ ব্যাপারে প্রমাণ দেখানোর পরই আদালত নোটিশ প্রত্যাহার করে নেন। আইনমন্ত্রী ফারুক নায়েক জানান, পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, সুইজারল্যান্ড সরকার গত ৯ নভেম্বর তা গ্রহণ করেছে। চিঠি গৃহীত হওয়ার রসিদ সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেন নায়েক।
নায়েক আরো জানান, পাকিস্তানি ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট জারদারি যে দায়মুক্তি ভোগ করছেন, সুইস কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। নোটিশ প্রত্যাহারের ঘটনাকে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জয় বলেও অভিহিত করেন তিনি।
সুইজারল্যান্ডে চিঠি পাঠানোর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের টানাপড়েন শুরু হয়। সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফের জারি করা দায়মুক্তি অধ্যাদেশের কারণে জারদারির দুর্নীতির মামলাগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট দায়মুক্তি ভোগ করেন_এই যুক্তিতে সুইজারল্যান্ডে চিঠি পাঠাতে রাজি না হওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে গত জুনে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট। আশরাফ গিলানির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর তাঁকেও একই নির্দেশ দেন আদালত।
সূত্র : পিটিআই, ডন।
No comments