১৬ আফগান হত্যা-সামরিক আদালতে বেলসের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড দাবি
আফগানিস্তানে ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সেনা রবার্ট বেলসের সামরিক আদালতে বিচার ও মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সিয়াটলের কাছে যৌথ সামরিক ঘাঁটি লুইস ম্যাককর্ডে স্থাপিত আদালতে শুনানিকালে গত মঙ্গলবার এ দাবি জানান তাঁরা।
বেলসের আইনজীবী বলেছেন, আদালতে হাজির করা সাক্ষ্যপ্রমাণ তাকে বিচারের মুখোমুখি করার পক্ষে পর্যাপ্ত নয়।
আদালতে প্রাথমিক শুনানিতে আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন করেছেন_এমন কয়েকজন সেনা সদস্য জানিয়েছেন, ঘটনার পর বেলস যখন সেনাঘাঁটিতে ফিরে আসে তখন তার শরীরে রক্ত লেগে ছিল।
গত ১১ মার্চ রাতে স্টাফ সার্জেন্ট বেলস কান্দাহারের ন্যাটোর ঘাঁটি থেকে বের হয়ে পাশের দুটি গ্রামের ঘুমন্ত মানুষের ওপর গুলি চালায়। এতে নারী ও শিশুসহ ১৬ জন নিহত হয়। বেলসের বিরুদ্ধে ১৬টি পূর্বপরিকল্পিত হত্যা ও ছয়টি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্প্রতি এই অভিযোগের প্রথমবারের মতো শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে কান্দাহারের গ্রামবাসীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৩৯ বছর বয়সী বেলসের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে বিচার হবে কি না। ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি চলবে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্নেল লি ডেনেকি চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ জেনারেলদের কাছে তাঁর সুপারিশ পেশ করবেন। এতে বেলসের বিচার পূর্ণ সামরিক আদালতে হবে কি না, সে ব্যাপারে মতামত দেওয়া হবে। জেনারেলরা ওই সুপারিশের ভিত্তিতেই বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
সেনা আইনজীবী মেজর রব স্টিল মঙ্গলবার আদালতে বলেন, "অপরাধের নৃশংসতার ধরনের ওপর ভিত্তি করে আমাদের সুপারিশ হচ্ছে, সাধারণ কোর্ট মার্শালে মামলার বিচার করা হোক। কারণ অপরাধের 'ঘৃণ্য, নৃশংস ও সুসংবদ্ধ' প্রকৃতির কারণেই বিচার কর্তৃপক্ষের তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে।"
এদিন ভিডিও লিংকে দেওয়া সাক্ষ্যে সাত বছরের এক মেয়ে জানিয়েছে, কিভাবে তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর সে জীবন বাঁচাতে বাবার লাশের পেছনে লুকিয়েছিল। মেজর স্টিল জানান, ঘটনার পরপর বেলস সেনাঘাঁটিতে এসে যে বক্তব্য দেন তাতে স্পষ্টতই মনে হয় তিনি সুস্থ ছিলেন। কী ঘটেছিল, সে ব্যাপারে তিনি পূর্ণ সচেতন ছিলেন।
বেলসের আইনজীবীরা বরাবরই দাবি করে এসেছেন, বেলস মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। মঙ্গলবার তার আইনজীবী এমা স্ক্যানলান আদালতে জানান, বেলসের বিরুদ্ধে যেসব প্রমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছে, তা সামরিক আদালতে বিচার করার পক্ষে পর্যাপ্ত নয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
আদালতে প্রাথমিক শুনানিতে আফগানিস্তানে দায়িত্ব পালন করেছেন_এমন কয়েকজন সেনা সদস্য জানিয়েছেন, ঘটনার পর বেলস যখন সেনাঘাঁটিতে ফিরে আসে তখন তার শরীরে রক্ত লেগে ছিল।
গত ১১ মার্চ রাতে স্টাফ সার্জেন্ট বেলস কান্দাহারের ন্যাটোর ঘাঁটি থেকে বের হয়ে পাশের দুটি গ্রামের ঘুমন্ত মানুষের ওপর গুলি চালায়। এতে নারী ও শিশুসহ ১৬ জন নিহত হয়। বেলসের বিরুদ্ধে ১৬টি পূর্বপরিকল্পিত হত্যা ও ছয়টি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্প্রতি এই অভিযোগের প্রথমবারের মতো শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে কান্দাহারের গ্রামবাসীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৩৯ বছর বয়সী বেলসের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে বিচার হবে কি না। ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি চলবে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্নেল লি ডেনেকি চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ জেনারেলদের কাছে তাঁর সুপারিশ পেশ করবেন। এতে বেলসের বিচার পূর্ণ সামরিক আদালতে হবে কি না, সে ব্যাপারে মতামত দেওয়া হবে। জেনারেলরা ওই সুপারিশের ভিত্তিতেই বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
সেনা আইনজীবী মেজর রব স্টিল মঙ্গলবার আদালতে বলেন, "অপরাধের নৃশংসতার ধরনের ওপর ভিত্তি করে আমাদের সুপারিশ হচ্ছে, সাধারণ কোর্ট মার্শালে মামলার বিচার করা হোক। কারণ অপরাধের 'ঘৃণ্য, নৃশংস ও সুসংবদ্ধ' প্রকৃতির কারণেই বিচার কর্তৃপক্ষের তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার পূর্ণ অধিকার আছে।"
এদিন ভিডিও লিংকে দেওয়া সাক্ষ্যে সাত বছরের এক মেয়ে জানিয়েছে, কিভাবে তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর সে জীবন বাঁচাতে বাবার লাশের পেছনে লুকিয়েছিল। মেজর স্টিল জানান, ঘটনার পরপর বেলস সেনাঘাঁটিতে এসে যে বক্তব্য দেন তাতে স্পষ্টতই মনে হয় তিনি সুস্থ ছিলেন। কী ঘটেছিল, সে ব্যাপারে তিনি পূর্ণ সচেতন ছিলেন।
বেলসের আইনজীবীরা বরাবরই দাবি করে এসেছেন, বেলস মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। মঙ্গলবার তার আইনজীবী এমা স্ক্যানলান আদালতে জানান, বেলসের বিরুদ্ধে যেসব প্রমাণ আদালতে হাজির করা হয়েছে, তা সামরিক আদালতে বিচার করার পক্ষে পর্যাপ্ত নয়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments