বেসামরিক শ্রীলঙ্কানদের রক্ষায় 'ব্যর্থ' জাতিসংঘ!
বেসামরিক শ্রীলঙ্কানদের রক্ষায় 'ব্যর্থ' জাতিসংঘ!শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের শেষদিকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল জাতিসংঘ। এমনকি নির্যাতনের হাত থেকেও তাদের বাঁচাতে পারেনি সংস্থাটি।
জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের কঠোর সমালোচনাও করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে এর সারসংক্ষেপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেছে। এ নিয়ে জাতিসংঘ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
শ্রীলঙ্কায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০০৯ সালের মে মাসে। গৃহযুদ্ধের শেষ কয়েক মাসে কমপক্ষে এক লাখ লোক মারা যায়। শ্রীলঙ্কা সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল গেরিলা_উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তবে যুদ্ধের শেষ মাসে কত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল, এর নির্দিষ্ট সংখ্যা এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের শেষ পাঁচ মাসে ৪০ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছিল।
ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধের শেষপর্যায়ে জাতিসংঘ সেখানকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি। তদন্তে দেখা গেছে, শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকটি এলাকায় জাতিসংঘ বেসমারিক নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে 'পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ' হয়েছে। এ জন্য প্রতিবেদনে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা কাঠামোর ত্রুটিকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষকে বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা এক তামিল বলেন, 'যুদ্ধাঞ্চল ছেড়ে না যাওয়ার জন্য আমরা তাঁদের (জাতিসংঘ কর্মকর্তা) অনেক অনুনয়-বিনয় করেছি। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথায় কান দেননি।'
প্রতিবেদনে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে পর্যাপ্ত নীতিগত ও রাজনৈতিক সমর্থন না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্যানেলের প্রধান চার্লস পেট্রি বিবিসিকে জানান, তদন্ত থেকে যেসব বিষয় পাওয়া গেছে তা-ই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি শিগগির জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে জমা দেওয়া হবে।
এদিকে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদন নিয়ে শ্রীলঙ্কা সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
প্রতিবেদনটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে এর সারসংক্ষেপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেছে। এ নিয়ে জাতিসংঘ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
শ্রীলঙ্কায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০০৯ সালের মে মাসে। গৃহযুদ্ধের শেষ কয়েক মাসে কমপক্ষে এক লাখ লোক মারা যায়। শ্রীলঙ্কা সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল গেরিলা_উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তবে যুদ্ধের শেষ মাসে কত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল, এর নির্দিষ্ট সংখ্যা এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের শেষ পাঁচ মাসে ৪০ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছিল।
ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধের শেষপর্যায়ে জাতিসংঘ সেখানকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি। তদন্তে দেখা গেছে, শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকটি এলাকায় জাতিসংঘ বেসমারিক নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে 'পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ' হয়েছে। এ জন্য প্রতিবেদনে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা কাঠামোর ত্রুটিকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষকে বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা এক তামিল বলেন, 'যুদ্ধাঞ্চল ছেড়ে না যাওয়ার জন্য আমরা তাঁদের (জাতিসংঘ কর্মকর্তা) অনেক অনুনয়-বিনয় করেছি। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথায় কান দেননি।'
প্রতিবেদনে ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে পর্যাপ্ত নীতিগত ও রাজনৈতিক সমর্থন না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্যানেলের প্রধান চার্লস পেট্রি বিবিসিকে জানান, তদন্ত থেকে যেসব বিষয় পাওয়া গেছে তা-ই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি শিগগির জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের কাছে জমা দেওয়া হবে।
এদিকে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদন নিয়ে শ্রীলঙ্কা সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments