চরাচর-নবান্ন উৎসব by শাহরিয়ার সালাম
বছর ঘুরে আবার নবান্ন এসে দুয়ারে কড়া নাড়ছে। বছরের সবচেয়ে আনন্দ-উল্লাস ও উৎসবের বার্তা নিয়ে এই সময়ে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল আসে, সোনালি ফসলে ভরে ওঠে কৃষকের গোলা, ঘরে ঘরে খুশির আমেজ আর সেই খুশির বহিঃপ্রকাশ ঘটে নবান্ন উৎসবের মাধ্যমে।
কৃষকের সেই উৎসব প্রকারান্তরে সব মানুষের উৎসবে পরিণত হয়। কেননা সেই সোনালি ফসলের অন্নই আমাদের প্রত্যেকের ক্ষুধা মেটায়। মাছে-ভাতে বাঙালি বা গোয়ালভরা গরু, গোলাভরা ধান- এসব এখন প্রায় প্রবাদে পরিণত হলেও বাঙালি তো বটেই, বাংলাদেশে বসবাসরত সব সম্প্রদায়েরই খাদ্য আসে সেই সোনালি ফসল থেকে। কৃষক বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত তাঁর ন্যায্য মজুরি, ন্যায্য অধিকার, ভূমির ন্যায্য হিস্যা আর উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে। তবুও বাংলার কৃষক থেমে নেই, ফসল ফলানোর জন্য তাঁর সে কী প্রাণান্তকর চেষ্টা! সেই কৃষকের ঘরের উনুন না জ্বললেও দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে প্রতিনিয়ত তাঁর হাড়ভাঙা পরিশ্রমের সেই সোনালি ফসলের বদৌলতে।
নবান্ন উৎসবের ব্যাপক আন্তর্জাতিক রূপ সম্পর্কে অনেকেই জ্ঞাত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা থেকে শুরু করে জাপান, চীন, রাশিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ দেশেই নবান্ন উৎসব নিজ নিজ দেশীয় ঐতিহ্যে ও আচারের মাধ্যমে উদ্যাপিত হয়। অনেক দেশে রাষ্ট্রীয় ছুটি দিয়ে নবান্ন উৎসব উদ্যাপন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিচর্চা যদি মুখ থুবড়ে পড়ে, তাহলে সামাজিক মূল্যবোধও ভূলুণ্ঠিত হতে বাধ্য। বাড়ে হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা; বাড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব- সভ্যতার শুরু থেকে যার যাত্রা শুরু, যা সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক, সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী, সবচেয়ে প্রাচীন ও মাটির সঙ্গে চির বন্ধনযুক্ত উৎসব। এই দিনে রাষ্ট্রীয় ছুটি বা রাষ্ট্রীয়ভাবে নবান্ন উৎসব আয়োজন হওয়া এবং ১ অগ্রহায়ণকে জাতীয় নবান্ন উৎসব দিবস ঘোষণা খুবই জরুরি।
জাতীয় নবান্নোৎসব উদ্যাপন পর্ষদ বিগত প্রায় ১৫ বছর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সারা দেশে সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব উদ্যাপনের। এখানে বেশ কিছুটা সার্থকতাও এসেছে। গত কয়েক বছর লক্ষ করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন জেলা, এমনকি উপজেলা পর্যায়েও আবার আনুষ্ঠানিক নবান্ন উৎসব উদ্যাপন শুরু হয়েছে। এ বছরও ১ অগ্রহায়ণ (১৫ নভেম্বর) রমনা বটমূলে নবান্ন উৎসব ১৪১৯ উদ্যাপিত হচ্ছে। এবারের এই জাতীয় নবান্নোৎসবের উদ্বোধক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। আসা করা যায়, প্রায় হারিয়ে যাওয়া গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নবান্ন উৎসব আবার বাংলার সর্বত্র সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হবে।
শাহরিয়ার সালাম
নবান্ন উৎসবের ব্যাপক আন্তর্জাতিক রূপ সম্পর্কে অনেকেই জ্ঞাত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা থেকে শুরু করে জাপান, চীন, রাশিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ দেশেই নবান্ন উৎসব নিজ নিজ দেশীয় ঐতিহ্যে ও আচারের মাধ্যমে উদ্যাপিত হয়। অনেক দেশে রাষ্ট্রীয় ছুটি দিয়ে নবান্ন উৎসব উদ্যাপন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিচর্চা যদি মুখ থুবড়ে পড়ে, তাহলে সামাজিক মূল্যবোধও ভূলুণ্ঠিত হতে বাধ্য। বাড়ে হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা; বাড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব- সভ্যতার শুরু থেকে যার যাত্রা শুরু, যা সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক, সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী, সবচেয়ে প্রাচীন ও মাটির সঙ্গে চির বন্ধনযুক্ত উৎসব। এই দিনে রাষ্ট্রীয় ছুটি বা রাষ্ট্রীয়ভাবে নবান্ন উৎসব আয়োজন হওয়া এবং ১ অগ্রহায়ণকে জাতীয় নবান্ন উৎসব দিবস ঘোষণা খুবই জরুরি।
জাতীয় নবান্নোৎসব উদ্যাপন পর্ষদ বিগত প্রায় ১৫ বছর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সারা দেশে সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব উদ্যাপনের। এখানে বেশ কিছুটা সার্থকতাও এসেছে। গত কয়েক বছর লক্ষ করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন জেলা, এমনকি উপজেলা পর্যায়েও আবার আনুষ্ঠানিক নবান্ন উৎসব উদ্যাপন শুরু হয়েছে। এ বছরও ১ অগ্রহায়ণ (১৫ নভেম্বর) রমনা বটমূলে নবান্ন উৎসব ১৪১৯ উদ্যাপিত হচ্ছে। এবারের এই জাতীয় নবান্নোৎসবের উদ্বোধক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। আসা করা যায়, প্রায় হারিয়ে যাওয়া গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নবান্ন উৎসব আবার বাংলার সর্বত্র সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হবে।
শাহরিয়ার সালাম
No comments