ধর্মীয় বিভেদের নদীতে ভালোবাসার সেতু রোহিন-আমিনা!
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের দাবাং উদ্বাস্তু শিবিরে নামাজ পড়ছেন রোহিন মুল্লা। রাজ্যের রাজধানী সিতিউয়ের বাইরের জরাজীর্ণ এ শিবিরে তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী আমিনা ও তিন সন্তান। তবে ৩৭ বছরের আজকের এই সাচ্চা মুসলমান রোহিন ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
ভালোবাসার টানে ধর্মান্তরিত হন তিনি। রোহিন-আমিনার বিয়ে ১০ বছর হয়েছে।
রোহিনের আগের নাম ছিল খিউ তুন অং। বছর চারেক তিনি ভিক্ষুও ছিলেন। তবে প্রতিবেশী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমিন নারী আমিনার প্রেমে পড়েন তিনি। বিয়ের পর থেকে বাবা-মা, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাঁর। মিয়ানমারে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন বৌদ্ধদের সঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বৈরিতা দীর্ঘদিনের।
রোহিন বলেন, 'আমি ধর্মান্তরিত হওয়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করল। মা আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কেন আমি মুসলমান হতে যাচ্ছি। আমি বললাম, এটা আমার জন্য সঠিক ধর্ম না।' ৩০ বছরের আমিনা বলেন, তাঁর স্বামী একজন ভালো মুসলমান।
পেশায় নির্মাণ শ্রমিক রোহিন সবাইকে নিয়ে ভালোই ছিলেন। কিন্তু গত জুনের ভয়াবহ জাতিগত দাঙ্গায় তাঁদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। রোহিন জানান, যে কয়টি বাড়িতে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়, এর একটি তাঁদের। এর কারণ হিসেবে রোহিন বলেন, 'ভিক্ষুরা সবাই আমাকে মনে রেখেছে। তাই তারা আমার পরিবারের ওপর চড়াও হয়। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়।' দেশটির এ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ মিটমাটের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে রোহিন ও আমিনা মনে করেন না, তাঁরা একসঙ্গে ঘর বেঁধে ভুল করেছেন। তাঁদের আশা, একদিন তাঁরা ঠিকই নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন। সূত্র : এএফপি।
রোহিনের আগের নাম ছিল খিউ তুন অং। বছর চারেক তিনি ভিক্ষুও ছিলেন। তবে প্রতিবেশী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমিন নারী আমিনার প্রেমে পড়েন তিনি। বিয়ের পর থেকে বাবা-মা, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাঁর। মিয়ানমারে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন বৌদ্ধদের সঙ্গে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বৈরিতা দীর্ঘদিনের।
রোহিন বলেন, 'আমি ধর্মান্তরিত হওয়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করল। মা আমাকে জিজ্ঞেস করেন, কেন আমি মুসলমান হতে যাচ্ছি। আমি বললাম, এটা আমার জন্য সঠিক ধর্ম না।' ৩০ বছরের আমিনা বলেন, তাঁর স্বামী একজন ভালো মুসলমান।
পেশায় নির্মাণ শ্রমিক রোহিন সবাইকে নিয়ে ভালোই ছিলেন। কিন্তু গত জুনের ভয়াবহ জাতিগত দাঙ্গায় তাঁদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। রোহিন জানান, যে কয়টি বাড়িতে প্রথমে আগুন দেওয়া হয়, এর একটি তাঁদের। এর কারণ হিসেবে রোহিন বলেন, 'ভিক্ষুরা সবাই আমাকে মনে রেখেছে। তাই তারা আমার পরিবারের ওপর চড়াও হয়। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়।' দেশটির এ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ মিটমাটের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে রোহিন ও আমিনা মনে করেন না, তাঁরা একসঙ্গে ঘর বেঁধে ভুল করেছেন। তাঁদের আশা, একদিন তাঁরা ঠিকই নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন। সূত্র : এএফপি।
No comments