বিশিষ্ট আইনজীবীদের মত-কম্পানির স্বাধীনতা নষ্ট হবে
'কম্পানি আইন সংশোধন করা হলে দেশের কম্পানিগুলোর স্বাধীনতা নষ্ট হবে। স্বাধীনভাবে কম্পানি মালিকরা ব্যবসা চালাতে পারবেন না'- এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা। যেকোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ রেখে ১৯৯৪ সালের কম্পানি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার কম্পানি আইন সংশোধনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তের পর এ ব্যাপারে বিশিষ্ট আইনজীবীদের অভিমত জানতে চাইলে তাঁরা কালের কণ্ঠের কাছে তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
১৯৯৪ সালের কম্পানি আইনের ২০২ ধারার সঙ্গে ২০২(ক) সংযোজন করে আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কম্পানি আইন বা বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, সরকার লিখিতভাবে কারণগুলো লিপিবদ্ধ করে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কম্পানি আইনে নিবন্ধিত কোনো কম্পানির পরিচালনা পর্ষদ রহিত করে এক বা একাধিক প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে, যদি সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কম্পানিটি এর পাওনাদার, শেয়ারহোল্ডার বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রতারণা বা অবৈধ উদ্দেশ্যে অথবা কোনো সদস্যকে হয়রানির উদ্দেশ্যে অথবা কম্পানিটি প্রতারণা বা অবৈধ উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কম্পানিটি গঠন বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ প্রতারণা, অবৈধ কাজ করা বা অন্য কোনো সদস্যের প্রতি অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত; অথবা জনস্বার্থে এবং শেয়ারহোল্ডার ও পাওনাদারদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়োজন।
ওপরের এই বিষয়গুলোর যেকোনো একটি অনিয়ম দেখলেই সরকার কোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আইনটি দেশের যেকোনো কম্পানিকে সরকারের করায়ত্ত করার চেষ্টা মাত্র। একটি কম্পানি থাকবে স্বাধীন, কিন্তু ওই স্বাধীনতা খর্ব হবে এই আইন কার্যকর হলে। কোনো ব্যবসায়ীর ওপর সরকার কোনো কারণে ক্ষিপ্ত হলে সহজেই ওই ব্যবসায়ীর কম্পানিকে সরকার করায়ত্তে নিতে পারবে। আইনের একটি ধারায় ফেলেই যেকোনো কম্পানি পরিচালনার ভার সরকার নিয়ে নেবে।
এ বিষয়ে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, 'এ ধরনের বিধান অন্যায়। সরকার ইচ্ছামতো প্রশাসক নিয়োগ দেবে, এটা ঠিক নয়। কম্পানি আইনে এ ধরনের ধারা সংযুক্ত হলেই আইনের মৌলিক বিধান লঙ্ঘিত হবে।'
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. এম জহির বলেন, বর্তমানে বলবৎ কম্পানি আইনেই ডেসটিনিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। শুধু ডেসটিনির কারণে কম্পানি আইন পরিবর্তন অগণতান্ত্রিক। এই আইনের ফলে যেকোনো সময় যেকোনো কম্পানিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। এতে কম্পানিগুলোর স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হবে। কম্পানির স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নষ্ট হবে।
আরেক বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, 'একটি কম্পানির সমস্যার জন্য যদি পুরো আইন পরিবর্তন করা হয়, তাহলে এ পরিবর্তনের কোনো শেষ বা সীমা থাকবে না। একটি কম্পানির বিষয়কে কেন্দ্র করে কম্পানি আইন পরিবর্তন অযৌক্তিক। কারো ব্যক্তিমালিকানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো অজুহাত দেখিয়ে যদি সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে বা হস্তক্ষেপ করে, তাহলে আমাদের সংবিধান প্রদত্ত সম্পত্তির অধিকার থাকবে না। সরকার ইচ্ছা করলে কারো সম্পত্তি কিনে নিতে পারে। কিন্তু এটা তো কিনে নেওয়া নয়। কম্পানি ব্যক্তির সম্পত্তি। ব্যক্তির সম্পত্তিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে সে প্রতিষ্ঠানের লোকসান ঘটাবে বা লাটে ওঠাবে- এটা তো মেনে নেওয়া যায় না।'
১৯৯৪ সালের কম্পানি আইনের ২০২ ধারার সঙ্গে ২০২(ক) সংযোজন করে আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কম্পানি আইন বা বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, সরকার লিখিতভাবে কারণগুলো লিপিবদ্ধ করে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কম্পানি আইনে নিবন্ধিত কোনো কম্পানির পরিচালনা পর্ষদ রহিত করে এক বা একাধিক প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে, যদি সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কম্পানিটি এর পাওনাদার, শেয়ারহোল্ডার বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রতারণা বা অবৈধ উদ্দেশ্যে অথবা কোনো সদস্যকে হয়রানির উদ্দেশ্যে অথবা কম্পানিটি প্রতারণা বা অবৈধ উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কম্পানিটি গঠন বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ প্রতারণা, অবৈধ কাজ করা বা অন্য কোনো সদস্যের প্রতি অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত; অথবা জনস্বার্থে এবং শেয়ারহোল্ডার ও পাওনাদারদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়োজন।
ওপরের এই বিষয়গুলোর যেকোনো একটি অনিয়ম দেখলেই সরকার কোনো কম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই আইনটি দেশের যেকোনো কম্পানিকে সরকারের করায়ত্ত করার চেষ্টা মাত্র। একটি কম্পানি থাকবে স্বাধীন, কিন্তু ওই স্বাধীনতা খর্ব হবে এই আইন কার্যকর হলে। কোনো ব্যবসায়ীর ওপর সরকার কোনো কারণে ক্ষিপ্ত হলে সহজেই ওই ব্যবসায়ীর কম্পানিকে সরকার করায়ত্তে নিতে পারবে। আইনের একটি ধারায় ফেলেই যেকোনো কম্পানি পরিচালনার ভার সরকার নিয়ে নেবে।
এ বিষয়ে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, 'এ ধরনের বিধান অন্যায়। সরকার ইচ্ছামতো প্রশাসক নিয়োগ দেবে, এটা ঠিক নয়। কম্পানি আইনে এ ধরনের ধারা সংযুক্ত হলেই আইনের মৌলিক বিধান লঙ্ঘিত হবে।'
বিশিষ্ট আইনজীবী ড. এম জহির বলেন, বর্তমানে বলবৎ কম্পানি আইনেই ডেসটিনিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। শুধু ডেসটিনির কারণে কম্পানি আইন পরিবর্তন অগণতান্ত্রিক। এই আইনের ফলে যেকোনো সময় যেকোনো কম্পানিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। এতে কম্পানিগুলোর স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হবে। কম্পানির স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ নষ্ট হবে।
আরেক বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, 'একটি কম্পানির সমস্যার জন্য যদি পুরো আইন পরিবর্তন করা হয়, তাহলে এ পরিবর্তনের কোনো শেষ বা সীমা থাকবে না। একটি কম্পানির বিষয়কে কেন্দ্র করে কম্পানি আইন পরিবর্তন অযৌক্তিক। কারো ব্যক্তিমালিকানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো অজুহাত দেখিয়ে যদি সরকার প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে বা হস্তক্ষেপ করে, তাহলে আমাদের সংবিধান প্রদত্ত সম্পত্তির অধিকার থাকবে না। সরকার ইচ্ছা করলে কারো সম্পত্তি কিনে নিতে পারে। কিন্তু এটা তো কিনে নেওয়া নয়। কম্পানি ব্যক্তির সম্পত্তি। ব্যক্তির সম্পত্তিতে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে সে প্রতিষ্ঠানের লোকসান ঘটাবে বা লাটে ওঠাবে- এটা তো মেনে নেওয়া যায় না।'
No comments