ক্ষমতায়ন- আনুশেহ আনসারি প্রথম নারী মহাকাশ পর্যটক
মহাকাশে ভ্রমণের স্বপ্নটা আরও দশটা মানুষের মতো আনুশেহ আনসারিরও ছিল। কিন্তু চাইলেও তো এটি সম্ভব নয়। কল্পনার জগতে বাধা দেয় কঠোর বাস্তবতা। কেননা, মহাকাশ ভ্রমণের জন্য অনেক অর্থ এবং নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার।
তার পরও নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন আনুশেহ আনসারি। প্রথম নারী হিসেবে নিজস্ব অর্থায়নে মহাকাশ পর্যটক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন তিনি। আর মুসলিম দুনিয়ায় তিনিই প্রথম নারী মহাকাশচারী। তাঁর এই ভ্রমণে খরচ হয়েছিল প্রায় দুই কোটি ডলার।
২০০৬ সালের ১৮ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর—এই ১২ দিনের মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে হোমার হিক্যামের সঙ্গে যৌথভাবে আনুশেহ লিখেছেন মাই ড্রিমস অব স্টারস। বইটি ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া নিজের মহাকাশ ভ্রমণের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য রয়েছে আনুশেহ আনসারির ওয়েবসাইটে (www.anoushehansari.com)। আনুশেহ মহাকাশযান সয়্যুজে করে মহাকাশ স্টেশনে যান।
১৯৬৬ সালে ইরানে জন্ম আনুশেহর। তবে ১৯৮৪ সাল থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মূলত পেশায় তিনি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী। প্রোডিয়া সিস্টেম নামের একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন। মহাকাশের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকায় আনসারি পরিবারের উদ্যোগে ২০০৬ সালে চালু করা হয় ‘আনসারি এক্স প্রাইজ’ নামক মহাকাশবিষয়ক প্রতিযোগিতা। মহাকাশে তিনজন ব্যক্তিকে বহন করতে পারে, ১০০ কিলোমিটার ভ্রমণসহ ন্যূনতম দুই সপ্তাহ থাকা যাবে—এমন মহাকাশযান তৈরির জন্য এ প্রতিযোগিতা চালু করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় এক কোটি ডলার। এ আয়োজনের পুরো পৃষ্ঠপোষকতা করা আনুশেহ আনসারির সঙ্গে আছেন তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী আমির আনসারি।
নানা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আনুশেহ পেয়েছেন একাধিক উদ্যোক্তা পুরস্কার। ২০০১ সালে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফরচুন-এর শীর্ষ ৪০ জন নারী ব্যবসায়ীর মধ্যে নাম লিখিয়েছেন। এ ছাড়া মহাকাশবিষয়ক একাধিক পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
গ্রন্থনা: নুরুন্নবী চৌধুরী, তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট
২০০৬ সালের ১৮ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর—এই ১২ দিনের মহাকাশ ভ্রমণ নিয়ে হোমার হিক্যামের সঙ্গে যৌথভাবে আনুশেহ লিখেছেন মাই ড্রিমস অব স্টারস। বইটি ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া নিজের মহাকাশ ভ্রমণের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য রয়েছে আনুশেহ আনসারির ওয়েবসাইটে (www.anoushehansari.com)। আনুশেহ মহাকাশযান সয়্যুজে করে মহাকাশ স্টেশনে যান।
১৯৬৬ সালে ইরানে জন্ম আনুশেহর। তবে ১৯৮৪ সাল থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। তিনি তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে জর্জ ম্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মূলত পেশায় তিনি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী। প্রোডিয়া সিস্টেম নামের একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন। মহাকাশের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকায় আনসারি পরিবারের উদ্যোগে ২০০৬ সালে চালু করা হয় ‘আনসারি এক্স প্রাইজ’ নামক মহাকাশবিষয়ক প্রতিযোগিতা। মহাকাশে তিনজন ব্যক্তিকে বহন করতে পারে, ১০০ কিলোমিটার ভ্রমণসহ ন্যূনতম দুই সপ্তাহ থাকা যাবে—এমন মহাকাশযান তৈরির জন্য এ প্রতিযোগিতা চালু করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় এক কোটি ডলার। এ আয়োজনের পুরো পৃষ্ঠপোষকতা করা আনুশেহ আনসারির সঙ্গে আছেন তাঁর ব্যবসায়িক সহযোগী আমির আনসারি।
নানা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আনুশেহ পেয়েছেন একাধিক উদ্যোক্তা পুরস্কার। ২০০১ সালে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফরচুন-এর শীর্ষ ৪০ জন নারী ব্যবসায়ীর মধ্যে নাম লিখিয়েছেন। এ ছাড়া মহাকাশবিষয়ক একাধিক পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
গ্রন্থনা: নুরুন্নবী চৌধুরী, তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট
No comments