'সাধারণ ক্ষমা' ঘোষণা আসাদের
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ঈদ উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সংঘটিত সব ধরনের অপরাধ এই ক্ষমার আওতায় আসবে। তবে 'সন্ত্রাসী'দের ক্ষমা করা হবে না। আসাদের দৃষ্টিতে সরকারবিরোধী বিদ্রোহীরাই সন্ত্রাসী।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে দেশটিতে প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতি কার্যকরের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। আসাদ ও তাঁর বিরোধীরা অস্ত্রবিরতিকে স্বাগত জানালেও তা কার্যকর করতে বাস্তবভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি অনুকূল হলে জাতিসংঘ সিরিয়ায় শান্তিরক্ষী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গতকাল জানায়, 'প্রেসিডেন্ট এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ২৩ অক্টোবরের পূর্ববর্তী সব অপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে।' আসাদ প্রশাসন বিদ্রোহীদের সম্বোধনে এই শব্দটিই ব্যবহার করে। টেলিভিশনে বলা হয়, শুধু আত্মসমর্পণকারীদের জন্যই এই অধ্যাদেশ প্রযোজ্য হবে। তবে কারাবন্দিরাও ক্ষমার আওতায় আসবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে সিরিয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘ-আরব লিগের নিয়োগকৃত দূত লাখদার ব্রাহিমি সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে চার দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দেন। আগামী শুক্রবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আবদেল রাহমান বলেন, 'বিদ্রোহী বা সরকার_কেউই অস্ত্রবিরতি চায় না। সংঘর্ষে রোজ শতাধিক লোক নিহত হচ্ছে।' শুরুতে দুই পক্ষই এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। তবে এর বাস্তবায়নে কারো কোনো পরিকল্পনা নেই। আরব লীগও গত সোমবার অস্ত্রবিরতির সম্ভাবনা কম বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে।
অপরদিকে, সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ। সংস্থার শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রধান হার্ভে ল্যাডসুস বলেন, 'সিরিয়ায় কোনো রাজনৈতিক সমাধান, অন্তত একটি অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলেও কী করা যেতে পারে_তা নিয়ে ভাবছি আমরা।' তবে কত শান্তিরক্ষী পাঠানো হতে পারে, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। টিভি চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে, তিন হাজার সদস্য মোতায়েন করা হতে পারে।
বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। সিরিয়া প্রসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদ অবশ্য বহু দিন থেকেই দ্বিধাবিভক্ত। এরই মধ্যে সিরিয়ার বিরুদ্ধে আনা দুটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, লেবাননে সিরীয় উদ্বাস্তুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গতকাল জানায়, 'প্রেসিডেন্ট এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ২৩ অক্টোবরের পূর্ববর্তী সব অপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে সন্ত্রাসীদের বাদ দিয়ে।' আসাদ প্রশাসন বিদ্রোহীদের সম্বোধনে এই শব্দটিই ব্যবহার করে। টেলিভিশনে বলা হয়, শুধু আত্মসমর্পণকারীদের জন্যই এই অধ্যাদেশ প্রযোজ্য হবে। তবে কারাবন্দিরাও ক্ষমার আওতায় আসবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে সিরিয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘ-আরব লিগের নিয়োগকৃত দূত লাখদার ব্রাহিমি সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে চার দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দেন। আগামী শুক্রবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আবদেল রাহমান বলেন, 'বিদ্রোহী বা সরকার_কেউই অস্ত্রবিরতি চায় না। সংঘর্ষে রোজ শতাধিক লোক নিহত হচ্ছে।' শুরুতে দুই পক্ষই এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। তবে এর বাস্তবায়নে কারো কোনো পরিকল্পনা নেই। আরব লীগও গত সোমবার অস্ত্রবিরতির সম্ভাবনা কম বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে।
অপরদিকে, সিরিয়ায় অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ। সংস্থার শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রধান হার্ভে ল্যাডসুস বলেন, 'সিরিয়ায় কোনো রাজনৈতিক সমাধান, অন্তত একটি অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলেও কী করা যেতে পারে_তা নিয়ে ভাবছি আমরা।' তবে কত শান্তিরক্ষী পাঠানো হতে পারে, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। টিভি চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে, তিন হাজার সদস্য মোতায়েন করা হতে পারে।
বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। সিরিয়া প্রসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদ অবশ্য বহু দিন থেকেই দ্বিধাবিভক্ত। এরই মধ্যে সিরিয়ার বিরুদ্ধে আনা দুটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, লেবাননে সিরীয় উদ্বাস্তুর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments