হল-মার্কের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ- পুলিশসহ আহত তিন শতাধিক অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর
ঢাকার সাভারের তেঁতুলঝরা ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের নন্দখালি এলাকায় হল-মার্ক গ্রুপের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ পুলিশসহ তিন শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। শ্রমিকেরা অর্ধশতাধিক যানবাহনসহ একটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই শতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
শ্রমিকেরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করলে ওই সড়কে দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। আশপাশের এলাকা ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ পুরো হেমায়েতপুরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতা এড়াতে কর্তৃপক্ষ হল-মার্ক গ্রুপের সব কটি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ ছয় শতাধিক কর্মীর নামে মামলা করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত: কর্তৃপক্ষ ঘোষণা না দিয়েই সোমবার রাতে হল-মার্ক গ্রুপের সব কটি কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয়। এসব কারখানার ১০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক গতকাল সকাল আটটার দিকে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কারখানার মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকেরা ঈদের বোনাসসহ গত দুই মাসের অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিকের দাবিতে সকাল সোয়া আটটার দিকে কারখানাসংলগ্ন হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে এক প্লাটুন (৪০ জন) শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
নন্দখালি এলাকায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ: পুলিশ-শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে সকাল নয়টার দিকে পুলিশ পিছু হটে স্থানীয় মোন্তাজ উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পুলিশ ও বাড়ির মালিক মোন্তাজ উদ্দিন জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ বাড়ির ভেতর থেকে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে থাকে। গুলির মুখে শ্রমিকেরা ভেতরে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়ে পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর শ্রমিকেরা বাড়ির মূল ফটক ও ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পুলিশের ওপর হামলা চালান। শ্রমিকেরা পুলিশ সদস্যদের আঘাত করার পাশাপাশি বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ সময় সাভার ও আশুলিয়া থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর: নন্দখালি এলাকা থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে শ্রমিকেরা সকাল ১০টার দিকে হেমায়েতপুরের জোড়পুল এলাকায় লালন সিএনজি স্টেশনের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ ও র্যাব শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শ্রমিকেরা মহাসড়কে আটকে থাকা অর্ধশত যানবাহন ভাঙচুর করেন। পুলিশ জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তিন শতাধিক আহত: শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের লাঠির আঘাতে ও রাবার বুলেটে তিন শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শ্রমিকদের লাঠি ও ইটপাটকেলের আঘাতে কনস্টেবল রাফি, কামরুল, বেল্লাল, সরোয়ার, ইউনুসসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ আহত হয়েছে।
ছয় শতাধিক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা: পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গতকাল সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের ছয় শতাধিক শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে। সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ রোমন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের বক্তব্য: সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শ্রমিকেরা মারমুখী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে রাবারের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।
ঘটনার সূত্রপাত: কর্তৃপক্ষ ঘোষণা না দিয়েই সোমবার রাতে হল-মার্ক গ্রুপের সব কটি কারখানায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয়। এসব কারখানার ১০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক গতকাল সকাল আটটার দিকে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কারখানার মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকেরা ঈদের বোনাসসহ গত দুই মাসের অতিরিক্ত কাজের পারিশ্রমিকের দাবিতে সকাল সোয়া আটটার দিকে কারখানাসংলগ্ন হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে এক প্লাটুন (৪০ জন) শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
নন্দখালি এলাকায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ: পুলিশ-শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে সকাল নয়টার দিকে পুলিশ পিছু হটে স্থানীয় মোন্তাজ উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পুলিশ ও বাড়ির মালিক মোন্তাজ উদ্দিন জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ বাড়ির ভেতর থেকে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে থাকে। গুলির মুখে শ্রমিকেরা ভেতরে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়ে পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর শ্রমিকেরা বাড়ির মূল ফটক ও ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পুলিশের ওপর হামলা চালান। শ্রমিকেরা পুলিশ সদস্যদের আঘাত করার পাশাপাশি বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এ সময় সাভার ও আশুলিয়া থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর: নন্দখালি এলাকা থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে শ্রমিকেরা সকাল ১০টার দিকে হেমায়েতপুরের জোড়পুল এলাকায় লালন সিএনজি স্টেশনের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ ও র্যাব শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শ্রমিকেরা মহাসড়কে আটকে থাকা অর্ধশত যানবাহন ভাঙচুর করেন। পুলিশ জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তিন শতাধিক আহত: শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের লাঠির আঘাতে ও রাবার বুলেটে তিন শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শ্রমিকদের লাঠি ও ইটপাটকেলের আঘাতে কনস্টেবল রাফি, কামরুল, বেল্লাল, সরোয়ার, ইউনুসসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ আহত হয়েছে।
ছয় শতাধিক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা: পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গতকাল সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের ছয় শতাধিক শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে। সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ রোমন মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের বক্তব্য: সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শ্রমিকেরা মারমুখী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে রাবারের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।
No comments