চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা
চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন খতিবের হাট এলাকায় এক মা ও তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে কুপিয়ে এবং জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত তিনজন হলো মা ডলি (৩০), তাঁর ছেলে আলবি (১০) ও মেয়ে পায়েল (৫)।
ডলির স্বামী আনোয়ার হোসেন আবুধাবিতে থাকেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি রাউজান উপজেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ভবনের নিরাপত্তাকর্মী আবুল হোসেনকে (৩৫) আটক করা হয়েছে। তিনজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার মনজুর মোরশেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মা-মণি ভিলা নামের একটি ভবনের পঞ্চম তলার একটি বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ সেখানে যায়। নগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যান।
সিএমপির উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানা গেছে লাশ তিনটি মা, মেয়ে ও ছেলের।' সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে বলে তাঁরা প্রাথমিক তদন্তে জেনেছেন।
নিহত ডলির ভাই বাবুল ও তাঁদের আত্মীয় সাইফুল সাংবাদিকদের জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ছেলে আলবির সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের ফোনে কথা হয়েছিল। আলবি তাঁকে বলেছে, সে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ছে।
আনোয়ার এক বছর আগে একবার দেশে এসেছিলেন এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই জানিয়ে বাবলু বলেন, তাঁর বোন ডলি ওই দিন রাউজানের বাড়ি গিয়ে কোরবানির পশু কিনতে টাকা দিয়ে এসেছিলেন। তিনি জানান, লাশের পাশে ঘাতকদের ব্যবহৃত দা ও ছুরি পাওয়া গেছে। দরজার নিচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে বাইরে চলে এসেছে।
ঘরের কিছু খোয়া গেছে কি না এখনো জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা জানায়, পড়ার টেবিলের বই-পুস্তক তছনছ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মনজুর মোরশেদ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে এবং পরীক্ষার জন্য আলামত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ভবনের নিরাপত্তাকর্মী আবুল হোসেনকে (৩৫) আটক করা হয়েছে। তিনজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার মনজুর মোরশেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মা-মণি ভিলা নামের একটি ভবনের পঞ্চম তলার একটি বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ সেখানে যায়। নগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যান।
সিএমপির উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানা গেছে লাশ তিনটি মা, মেয়ে ও ছেলের।' সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে বলে তাঁরা প্রাথমিক তদন্তে জেনেছেন।
নিহত ডলির ভাই বাবুল ও তাঁদের আত্মীয় সাইফুল সাংবাদিকদের জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ছেলে আলবির সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের ফোনে কথা হয়েছিল। আলবি তাঁকে বলেছে, সে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ছে।
আনোয়ার এক বছর আগে একবার দেশে এসেছিলেন এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই জানিয়ে বাবলু বলেন, তাঁর বোন ডলি ওই দিন রাউজানের বাড়ি গিয়ে কোরবানির পশু কিনতে টাকা দিয়ে এসেছিলেন। তিনি জানান, লাশের পাশে ঘাতকদের ব্যবহৃত দা ও ছুরি পাওয়া গেছে। দরজার নিচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে বাইরে চলে এসেছে।
ঘরের কিছু খোয়া গেছে কি না এখনো জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা জানায়, পড়ার টেবিলের বই-পুস্তক তছনছ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মনজুর মোরশেদ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে এবং পরীক্ষার জন্য আলামত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
No comments