আবাসিক এলাকায় আ.লীগ নেতার গরুর হাট! by সাইফুর রহমান
বরিশালে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গরুর হাট স্থাপন করেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় একজন নেতা। আবাসিক এলাকায় অবৈধ গরুর হাট বসানোর কারণে সেখানকার বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের রূপাতলী হাউজিংয়ের মধ্যে আবাসিক এলাকায় গরুর হাট বসিয়েছেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা। বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন এলাকায় করপোরেশন স্থায়ী তিনটি এবং অস্থায়ী দুটি গরুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে।
রূপাতলী হাউজিং কার্যালয় সূত্র জানায়, হাউজিং এলাকায় প্রায় এক হাজার পরিবার বসবাস করছে। এ এলাকায় রয়েছে র্যা ব-৮-এর কার্যালয়।
হাউজিং এলাকার বাসিন্দা জিয়াউদ্দিন সিকদার, আবদুল কুদ্দুস খান, শাহনাজ পারভীনসহ কয়েকজন বলেন, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গরুর হাট বসানোর কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপাতলী এলাকার হাট পরিচালনাকারী ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা বলেন, ‘আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর পাশের হাট আমরা সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়েছি। কিন্তু মহাসড়কের পাশে হাট বসানো নিষেধ থাকায় এবং জায়গাসংকটের কারণে সেখান থেকে হাট হাউজিং এলাকায় আনা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এবং হাউজিং কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই হাট বসানো হয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাটবাজার ইজারা শাখার প্রধান এস এম আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা কোনো আবাসিক এলাকায় গরুর হাট বসানোর অনুমতি দিইনি। অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন অভিযান চালাবে।’
অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে রূপাতলী হাউজিং এলাকা দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলী মোর্শেদ আলম বলেন, ‘সেভাবে অনুমতি নেওয়া হয়নি।’
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘গরুর হাট দেখাশোনার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে হাট বসানো উচিত। হাসপাতাল বা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বসালে তা পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে।’
রূপাতলী হাউজিং কার্যালয় সূত্র জানায়, হাউজিং এলাকায় প্রায় এক হাজার পরিবার বসবাস করছে। এ এলাকায় রয়েছে র্যা ব-৮-এর কার্যালয়।
হাউজিং এলাকার বাসিন্দা জিয়াউদ্দিন সিকদার, আবদুল কুদ্দুস খান, শাহনাজ পারভীনসহ কয়েকজন বলেন, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গরুর হাট বসানোর কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপাতলী এলাকার হাট পরিচালনাকারী ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা বলেন, ‘আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর পাশের হাট আমরা সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়েছি। কিন্তু মহাসড়কের পাশে হাট বসানো নিষেধ থাকায় এবং জায়গাসংকটের কারণে সেখান থেকে হাট হাউজিং এলাকায় আনা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এবং হাউজিং কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই হাট বসানো হয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাটবাজার ইজারা শাখার প্রধান এস এম আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা কোনো আবাসিক এলাকায় গরুর হাট বসানোর অনুমতি দিইনি। অবৈধ হাটের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন অভিযান চালাবে।’
অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে রূপাতলী হাউজিং এলাকা দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলী মোর্শেদ আলম বলেন, ‘সেভাবে অনুমতি নেওয়া হয়নি।’
পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘গরুর হাট দেখাশোনার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে হাট বসানো উচিত। হাসপাতাল বা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বসালে তা পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে।’
No comments