বিশ্লেষণ- আক্রমণাত্মক ওবামা, সতর্ক রমনি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় ও শেষ বিতর্কে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বারাক ওবামা ছিলেন আক্রমণাত্মক। বিপরীতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মিট রমনি ছিলেন বেশ সতর্ক। শেষ বিতর্কের বিষয় ছিল পররাষ্ট্রনীতি। পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে দুই প্রার্থীর অবস্থানের মধ্যে প্রকৃত অর্থে পার্থক্য খুবই কম।
জরিপে দেখা যায়, মার্কিন জনগণের কাছে পররাষ্ট্রনীতির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান।
শেষ বিতর্কে প্রথম বিতর্কের মতো আক্রমণাত্মক ছিলেন না রমনি। যেসব বিষয়ে কম অভিজ্ঞ, সেসব বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বেশ সতর্ক। তবে ওবামাকে ঘায়েল করার প্রতিটি সুযোগ চমৎকারভাবে কাজে লাগিয়েছেন। যদিও আক্রমণাত্মক হয়েই প্রথম বিতর্কে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। সেই জয়ের পর থেকেই বিভিন্ন জরিপে ওবামাকে ছাড়িয়ে যাওয়া শুরু করেন রমনি। গত সোমবার রয়টার্স ও ইপসসের যৌথ জরিপে অবশ্য দেখা যায়, ওবামা ও রমনির প্রতি সমান জনসমর্থন রয়েছে।
প্রথম বিতর্কে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিতর্কে ঘুরে দাঁড়ান ওবামা। দ্বিতীয় বিতর্কের তুলনায় শেষ বিতর্কে আরও আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তিনি। ওবামা অভিযোগ করেন, রমনির অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতি ভুল এবং বেপরোয়া। সঙ্গে ভোটারদের মনে করিয়ে দেন যে প্রেসিডেন্ট ডব্লিউ বুশের সময় থেকে মার্কিন অর্থনীতি পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছিল, সেই প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেছেন রমনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা, আফগানিস্তান, মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সিরিয়া থেকে দূরে রাখা, সন্ত্রাসীদের হত্যায় ড্রোনের (মানুষবিহীন বিমান) ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার মতো বিষয়গুলোতে ওবামা ও রমনির মতপার্থক্য খুব বেশি নেই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে রমনি প্রথম বিতর্কে যে ভূমিকায় ছিলেন, শেষ বিতর্কে ঠিক সেই ভূমিকা নেন ওবামা। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ব্রুস বুকানন বলেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে শেষ বিতর্ক আসলে এমন হয়েছে, যাতে দুই পক্ষই সাফল্য দাবি করতে পারে। রয়টার্স।
শেষ বিতর্কে প্রথম বিতর্কের মতো আক্রমণাত্মক ছিলেন না রমনি। যেসব বিষয়ে কম অভিজ্ঞ, সেসব বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন বেশ সতর্ক। তবে ওবামাকে ঘায়েল করার প্রতিটি সুযোগ চমৎকারভাবে কাজে লাগিয়েছেন। যদিও আক্রমণাত্মক হয়েই প্রথম বিতর্কে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। সেই জয়ের পর থেকেই বিভিন্ন জরিপে ওবামাকে ছাড়িয়ে যাওয়া শুরু করেন রমনি। গত সোমবার রয়টার্স ও ইপসসের যৌথ জরিপে অবশ্য দেখা যায়, ওবামা ও রমনির প্রতি সমান জনসমর্থন রয়েছে।
প্রথম বিতর্কে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিতর্কে ঘুরে দাঁড়ান ওবামা। দ্বিতীয় বিতর্কের তুলনায় শেষ বিতর্কে আরও আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তিনি। ওবামা অভিযোগ করেন, রমনির অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতি ভুল এবং বেপরোয়া। সঙ্গে ভোটারদের মনে করিয়ে দেন যে প্রেসিডেন্ট ডব্লিউ বুশের সময় থেকে মার্কিন অর্থনীতি পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছিল, সেই প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেছেন রমনি।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা, আফগানিস্তান, মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সিরিয়া থেকে দূরে রাখা, সন্ত্রাসীদের হত্যায় ড্রোনের (মানুষবিহীন বিমান) ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার মতো বিষয়গুলোতে ওবামা ও রমনির মতপার্থক্য খুব বেশি নেই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে রমনি প্রথম বিতর্কে যে ভূমিকায় ছিলেন, শেষ বিতর্কে ঠিক সেই ভূমিকা নেন ওবামা। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ব্রুস বুকানন বলেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে শেষ বিতর্ক আসলে এমন হয়েছে, যাতে দুই পক্ষই সাফল্য দাবি করতে পারে। রয়টার্স।
No comments