আশার আলো
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন কেটে যাওয়ার পথে। এমন আশা জেগেছে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পাদিত একটি চুক্তির পর। এই চুক্তি মোতাবেক সৌদি আরবে প্রতিমাসে গড়ে ১০ হাজার শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
সৌদি আরবের শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান 'সানারকম'-এর সঙ্গে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমিতি 'বায়রা'র এই চুক্তি হয়। চুক্তির আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে, সৌদি আরব তাদের চাহিদা পূরণ হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়োগ করতে থাকবে। প্রথম দফায় গৃহকর্মী নিয়োগ করা হলেও শিগগিরই তারা বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স প্রভৃতি পদেও লোক নিয়োগ করবে। ফলে বাংলাদেশের বহির্বিশ্বে শ্রমবাজারের যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, তা আপাতত কেটে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের শ্রমিক রপ্তানি বন্ধ থাকার পর এ চুক্তি বাংলাদেশের জন্য আশার আলো হিসেবে অবশ্যই গণ্য হতে পারে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাভাব চলার সময় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এ সুযোগ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিশ্চিতভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই চুক্তির ফলে গৃহকর্মের জন্য যে শ্রমিকরা সৌদি আরব যাবেন, তাঁদের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এতে প্রকৃত প্রার্থীরা সুবর্ণ সুযোগ পাবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কি বিদেশগামীদের এত সহজে ছেড়ে দেবে? নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সে ক্ষেত্রেও তারা নানা নামে অর্থ আদায় করবে। এমন উদাহরণ আগেও পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর জন্য নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি টাকা তারা আদায় করেছে। শুধু তা-ই নয়, সেখানে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করার পরও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টিও উল্লেখ করতে হবে। একবার ঘরবাড়ি বিক্রি করে যে গরিব মানুষটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে টাকা দিল, তার পক্ষে বিদেশ থেকে জমি বিক্রির পয়সাটা রোজগার করারও সুযোগ থাকে না। তার পরও দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের মানুষ শেষ সম্বল বিক্রি করে বিদেশে যায়।
সৌদি আরবগামী শ্রমিকদের আর যাতে কোনো হয়রানিতে না পড়তে হয় সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। আর চুক্তিতে উলি্লখিত বিষয়গুলো যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো সম্পর্কে যে অভিযোগ, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে সরকারকে। বিদেশে অবস্থানকারী শ্রমিকদের বিপদে যেন দূতাবাস সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
গৃহকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে যে শ্রমিক নিয়োগ করা হবে, দক্ষতার দিকটি নিশ্চিত করতে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। তা না হলে তারা বিদেশে গিয়ে অসুবিধায় পড়বে।
সৌদি আরবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের শ্রমিক রপ্তানি বন্ধ থাকার পর এ চুক্তি বাংলাদেশের জন্য আশার আলো হিসেবে অবশ্যই গণ্য হতে পারে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাভাব চলার সময় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এ সুযোগ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিশ্চিতভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই চুক্তির ফলে গৃহকর্মের জন্য যে শ্রমিকরা সৌদি আরব যাবেন, তাঁদের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এতে প্রকৃত প্রার্থীরা সুবর্ণ সুযোগ পাবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কি বিদেশগামীদের এত সহজে ছেড়ে দেবে? নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সে ক্ষেত্রেও তারা নানা নামে অর্থ আদায় করবে। এমন উদাহরণ আগেও পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর জন্য নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে অনেক বেশি টাকা তারা আদায় করেছে। শুধু তা-ই নয়, সেখানে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করার পরও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টিও উল্লেখ করতে হবে। একবার ঘরবাড়ি বিক্রি করে যে গরিব মানুষটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে টাকা দিল, তার পক্ষে বিদেশ থেকে জমি বিক্রির পয়সাটা রোজগার করারও সুযোগ থাকে না। তার পরও দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের মানুষ শেষ সম্বল বিক্রি করে বিদেশে যায়।
সৌদি আরবগামী শ্রমিকদের আর যাতে কোনো হয়রানিতে না পড়তে হয় সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। আর চুক্তিতে উলি্লখিত বিষয়গুলো যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো সম্পর্কে যে অভিযোগ, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে সরকারকে। বিদেশে অবস্থানকারী শ্রমিকদের বিপদে যেন দূতাবাস সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
গৃহকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে যে শ্রমিক নিয়োগ করা হবে, দক্ষতার দিকটি নিশ্চিত করতে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। তা না হলে তারা বিদেশে গিয়ে অসুবিধায় পড়বে।
No comments