সুরঞ্জিতের পদত্যাগ-এবার উন্মোচিত হোক রহস্য
একটু দেরিতে হলেও রাজনীতিক হিসেবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একটি সঠিক ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিপুল পরিমাণ টাকাসহ তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া হয়। দেশের সংবাদমাধ্যমে এক সপ্তাহ ধরেই বিষয়টি ছিল আলোচনার শীর্ষে।
রেলওয়ের নিয়োগ বাণিজ্য, রেলওয়ের দুই কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার খবর, পাশাপাশি এই নিয়োগ বাণিজ্যে অংশীদার হিসেবে রেলমন্ত্রীর এপিএসের আটক হওয়ার ঘটনা ব্যক্তিগতভাবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে যেমন একটি নাজুক অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছিল, তেমনি গণতন্ত্রও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। গতকাল দুপুরে রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যেমন সাহসিকতার পরিচয় দিলেন, তেমনি এই পদক্ষেপ তাঁর রাজনৈতিক ইমেজ রক্ষা করতে সহায়ক হবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এই সাহসী সিদ্ধান্ত সরকারকেও একটি সম্ভাব্য বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করল।
গত ৯ এপ্রিল ধানমণ্ডিতে বিজিবি আটক করে রেলমন্ত্রীর এপিএসকে। সঙ্গে ছিলেন রেলওয়ের একজন জিএম ও একজন কমান্ড্যান্ট। গাড়িতে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ টাকা। ওই টাকার উৎস এখনো অজ্ঞাত। বাংলাদেশ রেলওয়ে এরই মধ্যে ওই জিএম ও কমান্ড্যান্টকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। মন্ত্রীর এপিএসকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন থেকেই এ ঘটনা ছিল সারা দেশের আলোচনার বিষয়। বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর আটক ব্যক্তিরা বলেছিলেন, গাড়ির গন্তব্য ছিল মন্ত্রীর বাড়ি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে মন্ত্রীর ভূমিকা। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তখন বলেছিলেন, এ দায় তাঁর নয়। টাকার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু কয়েক দিন ধরেই প্রশ্নের তীর ছুটেছে তাঁরই দিকে। বিরোধী দল শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে নানা কথা বলেছে। দলের মধ্যেও সমালোচিত হয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশে এর আগে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিছুদিন আগেও এক মন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে রেলকে আলাদা করে কিছুদিন আগেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রেলওয়েকে গতিশীল করার চেষ্টা বর্তমান সরকার করেছে। রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রীসুলভ আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন। রেলওয়ে যে কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সময়ে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার টাকাসহ আটক হওয়ার ঘটনায় তিনিও বিতর্কিত একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। কোনো মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর এভাবে এত বিপুল পরিমাণ টাকাসহ আটক হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন সদ্য সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ঘটনার তদন্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করার পরও সেই তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে- এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই সিদ্ধান্তের কথাটিই জানিয়ে দিলেন।
রেল ভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তিনি এই সিদ্ধান্তকে তাঁর জীবনের একটি সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছেন। দল ও দলনেত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে- এই বিবেচনা থেকেও তিনি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দৃষ্টান্তই স্থাপন করলেন। মন্ত্রীর লোভনীয় পদ ছেড়ে দিলেন তিনি। তাঁর এই পদত্যাগে তদন্ত প্রভাবমুক্ত হবে- এমনটি এখন নিশ্চয় আশা করা যেতে পারে। একই সঙ্গে তদন্ত যেন দীর্ঘসূত্রতায় আটকে না থাকে, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। সত্য উদ্ঘাটন ও সঠিক তথ্য পেতে তদন্ত হতে হবে। আমরা আশা করব, তদন্ত থেকে টাকার উৎস যেমন বেরিয়ে আসবে, তেমনি জানা যাবে নেপথ্যের রহস্য।
গত ৯ এপ্রিল ধানমণ্ডিতে বিজিবি আটক করে রেলমন্ত্রীর এপিএসকে। সঙ্গে ছিলেন রেলওয়ের একজন জিএম ও একজন কমান্ড্যান্ট। গাড়িতে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ টাকা। ওই টাকার উৎস এখনো অজ্ঞাত। বাংলাদেশ রেলওয়ে এরই মধ্যে ওই জিএম ও কমান্ড্যান্টকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। মন্ত্রীর এপিএসকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন থেকেই এ ঘটনা ছিল সারা দেশের আলোচনার বিষয়। বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর আটক ব্যক্তিরা বলেছিলেন, গাড়ির গন্তব্য ছিল মন্ত্রীর বাড়ি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে মন্ত্রীর ভূমিকা। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তখন বলেছিলেন, এ দায় তাঁর নয়। টাকার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু কয়েক দিন ধরেই প্রশ্নের তীর ছুটেছে তাঁরই দিকে। বিরোধী দল শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে নানা কথা বলেছে। দলের মধ্যেও সমালোচিত হয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশে এর আগে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিছুদিন আগেও এক মন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে রেলকে আলাদা করে কিছুদিন আগেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রেলওয়েকে গতিশীল করার চেষ্টা বর্তমান সরকার করেছে। রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রীসুলভ আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন। রেলওয়ে যে কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সময়ে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার টাকাসহ আটক হওয়ার ঘটনায় তিনিও বিতর্কিত একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান। কোনো মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর এভাবে এত বিপুল পরিমাণ টাকাসহ আটক হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন সদ্য সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ঘটনার তদন্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করার পরও সেই তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে- এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই সিদ্ধান্তের কথাটিই জানিয়ে দিলেন।
রেল ভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তিনি এই সিদ্ধান্তকে তাঁর জীবনের একটি সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছেন। দল ও দলনেত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে- এই বিবেচনা থেকেও তিনি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দৃষ্টান্তই স্থাপন করলেন। মন্ত্রীর লোভনীয় পদ ছেড়ে দিলেন তিনি। তাঁর এই পদত্যাগে তদন্ত প্রভাবমুক্ত হবে- এমনটি এখন নিশ্চয় আশা করা যেতে পারে। একই সঙ্গে তদন্ত যেন দীর্ঘসূত্রতায় আটকে না থাকে, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। সত্য উদ্ঘাটন ও সঠিক তথ্য পেতে তদন্ত হতে হবে। আমরা আশা করব, তদন্ত থেকে টাকার উৎস যেমন বেরিয়ে আসবে, তেমনি জানা যাবে নেপথ্যের রহস্য।
No comments