হিলারি ম্যাডামের 'ব্লেক বোমা'

শৈশবে একজন মিস্টার হিলারির নাম শুনে শিহরিত হয়েছিলাম। পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতচূড়াটি একজন বাঙালি রাধাবাবু আবিষ্কার করলেও ব্রিটিশ 'ছিনতাই-সভ্যতা' ওটি জনৈক এভারেস্ট সাহেবের নামে চির পরিচিতি দিয়ে দিয়েছে। ওই এভারেস্ট চূড়াটিতে ১৯৫৩ সালে নিউজিল্যান্ডের (এটিরও মূল নাম 'আর্টেরিও',


ছিনতাই করেছে ব্রিটিশরাই) হিলারি এবং নেপালি শেরপা তেনজিং যুগপৎ আরোহণ করেছেন বিজয়ী বীর হিসেবে।
বালাই ষাট প্রবীণদশায় এসে একজন ম্যাডাম হিলারির মুখোমুখি হলাম, যিনি কিনা 'কূটনৈতিক অশিষ্টাচারের' সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণ করলেন সেদিন। ১৯৭১ সালে প্রায় সমবয়সী হিলারি মেয়েটি কী করছিলেন, কোথায় পড়ছিলেন, ইন্টারনেট খুঁজে সে খবর জেনে নেওয়ার ধৈর্য নেই। সুদূর বাংলাদেশে মূলত একদল সাধারণ কিষান_হাজারে হাজারে কিভাবে মুহূর্তে জাতিসত্তা রক্ষার প্রয়োজনে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হয়েছিল সে সময়কালে, তার দৃশ্যরূপ হিলারির দেখার সুযোগ হয়নি। প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ_এই শব্দজুটি তখন বাংলাদেশ প্রান্তরে সর্বোচ্চ আলো বিকিরণ করেছিল। বাঙালি মাথা উঁচু করে স্বাধীন স্বভূমির মানচিত্র নির্মাণ করেছিল। লোনা রক্ত, লোনা অশ্রু, অসীম বীরত্ব, অতুলনীয় আত্মদান_সব মিলিয়ে জন্ম নিল এক নতুন দেশঘর। আত্মমর্যাদার জমিন। হিলারি ম্যাডাম, এই ২০১১ সালে, জন্মের ৪০ বছরের মাথায় আপনি ওই আত্মমর্যাদারই আত্মা-কুটিরে একটি প্রবল আঘাত হানলেন একটি 'ব্লেক-বোমা' দিয়ে।
সত্যি বলছি_খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, যেদিন স্বদলীয় মনোনয়ন (মন ও নয়ন) থেকে বিস্ময়করভাবে আপনি বঞ্চিত হলেন, এত কিছুর বড়াই করে যে পরাশক্তির দেশ, সেখানে কোনো নারী আজও প্রেসিডেন্ট হতে পারেনি। আমরা যারা পৃথিবীজুড়ে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে কম-বেশি নিয়োজিত, তারা নারীর ক্ষমতায়নে 'পদায়ন' ব্যাপারটিকেও বড় করে দেখি। আজও মনে হয়, আপনাদের দেশের বড় দুটি দলেরই 'পুরুষতান্ত্রিকতা' আপনাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায়নি। সেই আপনাকে অবশেষে দলীয় ঐক্যের প্রয়োজনে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে 'পররাষ্ট্রমন্ত্রী' করা হয়। এমন আপনিই এমন কষ্ট দেবেন ভাবতে পারিনি।
আমাদের দেশের একজন অতীব সম্মানী ব্যক্তির 'মর্যাদা' রক্ষার জন্য আপনি এতটা 'ব্যাকুল' হয়ে পড়লেন কেন, বুঝতে পারিনি। সেই সম্মানী ব্যক্তি 'ক্ষুদ্রঋণ' নামক আর্থিক ব্যাপারটিকে বিশ্বব্যাপী বিফল-পরিচিতি দিয়ে 'নোবেল' নামক এভারেস্ট-পদক পেয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথ মালিকানায় কাজ করে আসছিল। সেই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনাপ্রশ্নে সরকারের সঙ্গে খটমট বেধে গিয়েছিল। ক্ষুদ্রঋণ বিষয়টি নিয়ে দেশে-বিদেশে পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্ক। কেউ বলেন, এমন 'দারুণ' হয় না। কেউ বলেন, এমন 'নিদারুণ' হয় না। এই বাংলাদেশে এই কলম-বাগীশকে অবশ্য ক্ষুদ্রঋণ-ব্যবস্থা থেকে বেশ লাভবান হওয়ার এবং নিঃশেষে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অগণিতজনকে দেখেছি। ওই সম্মানী ব্যক্তিকে কেউ কেউ বলেন অসাধারণ সৃজনশীল, গভীর আবেগি এবং অদম্য স্বপ্নবাজ। প্রবাসী-অনাবাসী বাঙালিদের কাছে তো অতিপূজনীয় দেবতুল্য। তিনিই যে বিদেশের মাটিতে বাঙালিদের 'পরিচিতি' এবং 'সম্মান' এনে দিয়েছেন! কারো কারো কাছে অবশ্য তিনি অসাধারণ বিপণন-কুশলী, অনন্য প্রচারবিদ এবং জাদুকরী সম্মোহন-শিল্পী এবং তিনি বিশ্ব পুঁজিবাদের আইকন-প্রতিনিধি হিসেবে উন্নয়নশীল বিশ্বের হ্যামিলনের সুনিপুণ বংশীবাদক।
'মহাযোগ্য' ব্যক্তিদের নিয়ে এমন বিতর্ক থাকেই, থাকবেই। এ ক্ষেত্রে পক্ষ-বিপক্ষের শিবিরে নানা জমায়েত থাকবেই। অর্থনীতিবিদ হলেও, আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত থাকলেও তিনি নোবেল পুরস্কার পেলেন 'শান্তি' বিষয়ে। বাংলাদেশের প্রায় সবাই খুশি হলেন, তিনি নিজেই সেই খুশি প্রকাশ করলেন শতগুণে। বললেন_এই নোবেল পুরস্কারে সব বাঙালির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বুঝি ১০ হাত হয়ে গেছে। নোবেল পুরস্কারের সাফল্যে নব-বাংলাদেশের রূপকল্পের নব নব স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেনও কী প্রবল উৎসাহ সহকারে।
অদম্য স্বপ্নবাজ ওই সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁকে ঘিরে গড়ে উঠল দেশ-বিদেশের একদল স্বপ্নপোষণের ব্যক্তিবর্গ। হিলারি ম্যাডাম, আপনারা যুগে যুগে দেশে দেশে সামরিক শিখণ্ডী বসিয়ে সেসব জায়গায় একদল 'ক্ষমতা-পদলেহনকারী' গোষ্ঠী তৈরি করে দিয়েছেন ওপর থেকে। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন-উত্তর যুগে আপনাদের আর তেমন একটা 'জেনারেল' পোষার প্রয়োজন রইল না। তবে কৌশল বদলালেন একেক দেশে একেকভাবে। মিডিয়া, সুশীল, পেশা_নানা স্থানের 'উঁকুজ' একত্র হয়ে স্বপ্ন দেখল 'টাইকুন' হওয়ার। ওই সম্মানীয় ব্যক্তিকে সামনে রেখে জাতীয় আন্তর্জাতিক বিশাল ছক হলো। শুনেছি, হিলারি আপনাদের রাজধানী শহরেও তখন কাশিমপুরের একালের কুঠি গড়ে উঠেছিল। আমাদের সামরিক কর্তাদের পেছনে রেখে সুশীল কর্তাদের সামনে রেখে এক ভয়ংকর নকশা তৈরি করা হলো। একজন শীর্ষ-আলোকিত চকচকে সম্পাদক, একজন ধকধক শাসনতন্ত্র-প্রতিবেদক এবং হালের 'সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী-জঙ্গি' মঞ্চের ঝকঝক প্রবীণ কলামিস্টকে দেখলাম জরুরি অবস্থাকালীন একই সময়ে একই শিরোনামে ফ্যাসিবাদী প্রতিবেদন লিখতে। শিরোনামটি ছিল এরূপ : 'দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে অবশ্যই সরে দাঁড়াতে হবে।' সুস্থ গণতন্ত্রের মহান আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ সিডর-এলাকা ঘুরে এসে বললেন_কই, সেখানে তো কাউকে দুই নেত্রীর মুক্তির কথা বলতে শুনিনি। সিডর-বিপর্যস্ত নিরীহ মানবকুলের প্রতি এ কী পরিহাস। জীবনের অস্তিত্ব রক্ষার আদিম সংগ্রামের ওই সময়ে এমন কথাই বলেছেন ওই আইনি মহাপণ্ডিত।
যখন জরুরি অবস্থা কায়েম হলো, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদটি ওই সম্মানীয় ব্যক্তিকেই উপহার দেওয়া হলো। আলোকিত সম্পাদক, পেছনের জেনারেল শাসককে তখন বারবার ওই আর্থিক ব্যাংকটির সদর দপ্তরে আসা-যাওয়া করতে দেখা গেল। কিন্তু অতি সম্মানীয় ব্যক্তি ওই সাধারণ টোপ গিললেন না। তিনি বললেন, দুই বছরের সামান্য সময়ের একজন আমি হব না, আমি হব রাজনীতির এক নম্বর ব্যক্তি, দল গড়ব, দুই নেত্রীকে সরাব, শূনস্থান পূরণ করব এই আমি। ক্ষুদ্রঋণের অনেক ব্যবস্থাপনা করেছি, এবার রাষ্ট্র-ব্যবস্থাপনায় বাকি জীবন ব্যয় করব। সালরিক দুর্গের 'মদদে' আমি হব 'জনদরদী' মহানায়ক।
অতঃপর ডিজিটাল-ইলেকট্রনিক কায়দায় নব নব চমকে দল শুরু করলেন তিনি আংশিক সরকারি মালিকানার সেই দপ্তরে বসেই। নির্বাহী প্রধানের দায়িত্বে থেকেই। রাজনীতির মূল নেতৃত্বকে টানাহেঁচড়া-অপমান করে কারাগারে পাঠিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম-কানুনকে 'বুড়ো আঙ্গুল' দেখিয়ে তিনি হতে চাইলেন রাজনীতির একক নবনায়ক। না; বেশিদিন যায়নি। দুদিনেই বুঝে নিলেন, যার কাজ তাকে সাজে। ক্ষুদ্রঋণের 'সফল' নায়ক রাজনীতির বিশাল অঙ্গনের 'বিফল' ব্যক্তিত্বে পরিণত হলেন। হিলারি ম্যাডাম, নিজেদের ছক নিজেরাই বদলে নিলেন ওয়াশিংটনী আপনারা এবং আরো অনেকে।
হিলারি ম্যাডাম, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় এল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রধান দলটি। সময় বহিয়া যায়। অতিসম্মানীয় ব্যক্তিরও বয়স গড়াইয়া যায়। কতকাল, কতকাল তিনি সর্বোচ্চ ক্ষমতার দাবিতে সমাসীন থাকবেন! এমন কথা যখন তাঁর বিপক্ষের নানা লোকেরা বলতে ও ভাবতে শুরু করল, ঠিক তখনই ওই নোবেল-তীর্থভূমি নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ডকুমেন্টারি বোমাটি এমন করে ফাটল, যা নতুন করে সম্মানীয় ব্যক্তিকে বিতর্কে নিয়ে এল। দুর্নীতি হোক না হোক, তিনি একান্ত অনিয়ম করেছেন তহবিল নিয়ে। প্রামাণ্যচিত্র তা দেখাল প্রমাণসহ। এমন মোক্ষম সুযোগ পৃথিবীতে কোনো প্রতিপক্ষই কোনো দিন ছাড়েনি, যাকে টেনেহিঁচড়ে কারাগারে পাঠিয়ে ক্ষমতার মহানায়ক হবে ভেবেছিলেন সম্মানীয় ব্যক্তি, এ সুযোগে সরকার থেকে তদন্ত তথা 'পর্যালোচনা কমিটি' তৈরি করে সম্মানীয় ব্যক্তিটির 'সম্মান' সহকারে সরে যাওয়ার পথ খুলে দেওয়া হলো।
কিন্তু তিনিও তো আজন্ম যোদ্ধা লড়াকু। তাঁর প্রতিষ্ঠানের সূচনামিত্র এখন দেশের অর্থমন্ত্রী। কয়েক মাস ধরে দেন-দরবার হলো। সম্মানীয় ব্যক্তি সমঝোতায় এলেন না। তিনি তাঁর বিদেশের 'বিশাল' ভাবমূর্তি ব্যবহার করলেন। ইউরোপ, আমেরিকায় তাঁর 'বন্ধু গোষ্ঠী' গড়ে উঠল, ম্যাডাম হিলারি আপনিও মাঠে নামলেন। বাংলাদেশের সরকার যখন একটি ব্যবস্থা নিল 'ব্যবস্থাপনা পরিচালক' পদটিতে, সেটা নিয়ে তখন হায় হায়, সব গেল, এমন মানী লোকের মানহানি যারা ঘটায় তাদের মতো 'মন্দ' আর কেউ নেই! সরকারের অ্যাকশনের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক উঠুক, কিন্তু যত বড় সম্মানীয় ব্যক্তিই হোন না কেন, কার্যকর থাকা পর্যন্ত তিনিই প্রধান নির্বাহী থাকবেন, রাষ্ট্রের আর কোনো প্রতিষ্ঠানে এমন নিয়ম আছে কি? 'সাংগঠনিক উত্তরাধিকার' ব্যাপারটি কি কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য নয়?
সেসব তো ভিন্ন কথা ম্যাডাম হিলারি, মাঠে নেমে গেলেন আপনিও। সম্মানীয় ব্যক্তি গেলেন আদালতে। আপনি জানালেন, সম্মানীয় ব্যক্তির সঙ্গে সুরাহা না হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। সম্মানীয় ব্যক্তি উড়াল দিয়ে আপনার কাছে দেখা করতে আপনার দেশে যাবেন বলে কথা শোনা গেল। পরে তিনি গেলেন না। বদলে আপনার একজন সহকারী এলেন। তিনি ফাটালেন একটি বিকট বোমা। যার নাম দেওয়া যায় 'ব্লেক বোমা'। একজন সম্মানীয় ব্যক্তির মর্যাদা রক্ষার জন্য খোদ বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির মর্যাদার ওপর আঘাত হানল ওই ব্লেক বোমা। বলা হলো, সম্মানীয় ব্যক্তির 'সম্মান-পদায়ন' ফিরিয়ে না দিলে ম্যাডাম হিলারি, আপনি নাকি আপনার বাংলাদেশ সফর বাতিল করে দেবেন এবং আড়ালে বলা হলো, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নাকি আপনাদের দেশে গেলে আপনাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাবেন না। স্বাধীনতার ঠিক ৪০ বছরের বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির মর্যাদার ওপর এমন প্রকাশ্য 'বোমা' নিক্ষেপ আর কেউ করেনি। একটি সার্বিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা রক্ষা করে কিভাবে সরকারের সঙ্গে সংকট সুরাহা করা যায়, এমনটা নিয়ে যখন দেশের সাব্যস্ত মহল থেকেই নানামুখী তৎপরতা চলছিল, তখন ওই অতিসম্মানীয় ব্যক্তির মর্যাদা রক্ষার্থে এই অশিষ্ট, অশালীন, অশ্রদ্ধাপূর্ণ 'ব্লেক বোমা' ছুড়ে কী বোঝালেন আপনারা?
ওই সম্মানীয় ব্যক্তিকে ঘিরে যারা বারংবার রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার শর্টকাট পদ্ধতিতেও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াবিহীন ঘোঁট পাকাবে, এই ব্লেক বোমায় তাদের বেশ সুখী সুখী দেখাচ্ছে। তবে সম্মানী ব্যক্তির সম্মানহানিতে আহত আন্তরিক ভক্তকুলের অনেকেও রাষ্ট্রের মর্যাদা হানিকর এই ব্লেক বোমায় যে স্বস্তি পাচ্ছেন না, সেটাও নানাভাবেই শোনা যাচ্ছে। হিলারি ম্যাডাম, পৃথিবীর তেলসম্পদের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে তো আকাশ থেকে কম বোমা মারেননি, মারছেন না। একক পরাশক্তির মহাদাবি তো দেখছি। তবে এই খুচরা পিছলে 'ব্লেক বোমা' বরং আপনার পররাষ্ট্রনীতির 'ছিঁচকে দেউলেপনাই' প্রকাশ্য করে দিল। আপনি নারী, তাই প্রেসিডেন্ট হতে আপনাকে দেওয়া হয়নি ভেবে একদিন কষ্ট পেয়েছিলাম। আজ ভাবছি আপনি নারীও নন, পুরুষও নন, আপনি পরাশক্তির ক্ষুদ্রমাপের এক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্র। ওই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই হলে বুঝি আপনি অতিসম্মানীয় ব্যক্তিটির 'মর্যাদা' রক্ষার স্বার্থে ভারত মহাসাগর থেকে বিমান 'উড়িয়ে' এসে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানস্থল 'গুঁড়িয়ে'ই দিতেন! কেননা 'রাষ্ট্রের চেয়ে ব্যক্তি বড়'_এমন প্রবাদবাক্যকে সত্যি প্রমাণ করার জন্যই বুঝি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির হাল ধরেছেন আপনি, ব্লেক এখানে আজ্ঞাবাহী কর্মচারী মাত্র।
লেখক : রম্য লেখক

No comments

Powered by Blogger.