আবারও আসবে-আবার এসেছে পাঠক সংখ্যা
নাহ, আপনারা পারেনও! আপনাদের মতো নিরলস, পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান পাঠকদের জন্যই পৃথিবী এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার যাবতীয় রম্য ম্যাগাজিন এখনো টিকে আছে। সত্যি কথা কী জানেন? এই আপনারা ছাড়া কেউ আমাদের কথা শোনে না।
স্কুলজীবনের মজার ঘটনা নিয়ে লেখা পাঠাতে বললাম, সঙ্গে সঙ্গে আপনারা কলম, কিবোর্ড হাতে তুলে নিলেন। গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের অভাব থাকলেও আপনাদের উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো অভাব নেই। দৈনন্দিন জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও স্কুলজীবনের মজার ঘটনাগুলো লিখে পাঠিয়ে দিলেন আমাদের ঠিকানায়। মানুষ লেখাপড়া করতে স্কুলে যায়। তবে সেখানে গিয়ে কতটা লেখাপড়া করেন এবং করতেন, তা আপনাদের লেখা পড়েই খুব বুঝতে পেরেছি। জাতি যে শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, তাতে আপনাদের অবদানও কম নয়। তবে আপনারা তো লিখেই খালাস। এদিকে আমাদের বস্তা কিনতে যেতে হলো বাজারে। বস্তাকে যতটা সস্তা ভেবেছিলাম, ততটা সস্তা নয়। বিক্রেতার সঙ্গে একরকম ধস্তাধস্তিই হলো। ভেবেছিলাম বিশ্বকাপের মৌসুম চলছে। শান্তিমতো খেলা দেখতে পারব। তা আর হলো কই। চারটা কোয়ার্টার ফাইনাল শেষ, তবু লেখা বাছাই শেষ হয় না। আমরা নিশ্চিত, পাঠকদের লেখা নির্বাচন করতে গিয়ে আমাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা এখন জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারব। তবে জানি, নির্বাচক হিসেবে আমাদের নির্বাচন করা হবে না। এ দেশে প্রকৃত প্রতিভার দাম কেউ দেয় না। অতএব এবার যাঁদের লেখা নির্বাচিত হয়নি, তাঁরা একদমই মন খারাপ করবেন না। এটাই এই নিষ্ঠুর জগতের নিয়ম। তবে এই পাঠক সংখ্যাই শেষ নয়, আরও পাঠক সংখ্যা আছে। আগামী পাঠক সংখ্যার বিষয় রম্য গল্প। আপনারা এখনই কলম, কিবোর্ড হাতে তুলে নিন। যে কোন বিষয়ে রম্য গল্প লিখে পাঠিয়ে দিন ১৮ এপ্রিলের মধ্যে। আশা করি, আপনাদের সুজলা-সুফলা লেখায় আবার ভরে উঠবে খালি হয়ে যাওয়া বস্তাগুলো। সেবা নিন, ভালো থাকুন। বিদায়।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
রম্য গল্প
রস+আলো, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
e-mail : ra@prothom-alo.info
No comments