আইএমএফের ঋণ-শর্তের বেড়াজালে দেশ
দেখেশুনে মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের শর্তের বেড়াজালে আটকে যাচ্ছে দেশ। বর্তমান সরকারকে প্রথম দিকে আইএমএফের শর্তের ধরনের কারণে ঋণ গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। খোদ অর্থমন্ত্রীই বলেছিলেন, 'আমাদের ব্যালান্স অব পেমেন্ট ভালো আছে।
সুতরাং আইএমএফের ঋণের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।' কিন্তু সেই সরকারই আইএমএফের কাছ থেকে ৯৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ঋণ গ্রহণ করছে অত্যন্ত কঠিন ও বাস্তবতাবিবর্জিত সব শর্ত মেনে। ১১ এপ্রিল আইএমএফ এই ঋণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এসব শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য ব্যবস্থা চালু করতে হবে, মূল্য সংযোজন কর আইন সংশোধন ও পরিমার্জন করে জাতীয় সংসদে পাস করতে হবে। ঋণ পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে সরকারকে আরো যেসব শর্ত পালন করতে হবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অ-আর্থিক খাতে গতিশীলতা আনতে হবে, সম্পদের সংগ্রহ বাড়াতে হবে, সামাজিক ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে, বিদ্যুৎ ঘাটতি কমিয়ে আনতে হবে, অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে, রপ্তানিমুখী বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য কয়েকটি খাতে সংস্কার করতে হবে।
আইএমএফের শর্তের অধিকাংশই ভালো কথা। দেশের নাগরিকরাও তেমনটিই চায়। কিন্তু এসব ভালো কথা যখন বাধ্যতামূলক শর্ত হয়ে আসে, তখন দেখা দেয় বিড়ম্বনা। একটি দেশের প্রশংসিত একটি সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী একটির পর একটি কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে। কিন্তু এ অগ্রাধিকার চাপিয়ে দেওয়া হলে সরকারের কাজে ছন্দঃপতন হতে পারে। সে কারণেই অনেকে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নটি উত্থাপন করে থাকেন। দ্বিতীয়ত, সরকার যথেষ্ট পরিমাণ ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছে। এখন আইএমএফের কাছ থেকে অর্থ ছাড় করে সে অর্থ যদি পুরোপুরি কাজে লাগানো না যায় তাহলে আগামী দিনে এ ঋণের বোঝা একটি চাপ হয়ে দেখা দিতে পারে। আবার আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির হার ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এটি বাস্তবতাবিবর্জিত। যে দেশে ১০-১১ শতাংশ হারে মুদ্রাস্ফীতি হতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যে ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে হলে সরকারকে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা অবশ্যই জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করবে। সুতরাং সরকার যখন সব শর্তে রাজি হয়ে এই ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েছে, তখন মনে রাখতে হবে এই অর্থের একটি টাকাও যেন জলে না পড়ে। এই অর্থ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেষ্টা করলে তা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক ফল বয়ে
আনতে পারে।
আইএমএফের শর্তের অধিকাংশই ভালো কথা। দেশের নাগরিকরাও তেমনটিই চায়। কিন্তু এসব ভালো কথা যখন বাধ্যতামূলক শর্ত হয়ে আসে, তখন দেখা দেয় বিড়ম্বনা। একটি দেশের প্রশংসিত একটি সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী একটির পর একটি কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে। কিন্তু এ অগ্রাধিকার চাপিয়ে দেওয়া হলে সরকারের কাজে ছন্দঃপতন হতে পারে। সে কারণেই অনেকে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নটি উত্থাপন করে থাকেন। দ্বিতীয়ত, সরকার যথেষ্ট পরিমাণ ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছে। এখন আইএমএফের কাছ থেকে অর্থ ছাড় করে সে অর্থ যদি পুরোপুরি কাজে লাগানো না যায় তাহলে আগামী দিনে এ ঋণের বোঝা একটি চাপ হয়ে দেখা দিতে পারে। আবার আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির হার ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এটি বাস্তবতাবিবর্জিত। যে দেশে ১০-১১ শতাংশ হারে মুদ্রাস্ফীতি হতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যে ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে হলে সরকারকে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা অবশ্যই জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করবে। সুতরাং সরকার যখন সব শর্তে রাজি হয়ে এই ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েছে, তখন মনে রাখতে হবে এই অর্থের একটি টাকাও যেন জলে না পড়ে। এই অর্থ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেষ্টা করলে তা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক ফল বয়ে
আনতে পারে।
No comments