দিন গুনে যত্ন by শর্মিলা সিনড্রেলা
সামনেই হয়তো বোনের বিয়ে, তাই নিয়ে কত প্রস্তুতি। কিংবা কয়েক দিন পরই বন্ধুর জন্মদিন। সবার মধ্যে সাজ সাজ রব। কিন্তু আয়নার দিকে তাকিয়েই মনটা চুপসে গেল। নিজেকে যে গুছিয়ে নেওয়া হয়নি। তাতে কী! হাতে মাত্র কয়েক দিন থাকতেই ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে গুছিয়ে নিন না নিজেকে! রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানার কিছু পরামর্শ রইল আপনারই জন্য।
এই সময়ে রোদটা একটু বেশিই থাকে। ত্বকের অবস্থা হয় বেহাল। তাই এ সময় মুখের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে ঘাড়, পিঠ, হাত ও পায়ের। সঙ্গে পানি খেতে হবে ঠিকমতো, যাতে শরীরে পানির ঘাটতি না দেখা দেয়।
হাতে সময় যদি কম থাকে, তবে ত্বকের ধরন বুঝে কিছু প্যাক প্রতিদিন নেওয়া যায়, তাহলে বিশেষ দিনটিতে নিজের কাছেই নিজেকে লাগবে অন্য রকম। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা একটা ডিমের সাদা অংশ, আধা চা-চামচ মধু, আধা চা-চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আবার যাঁদের শুষ্ক ত্বক তাঁরা ডিমের কুসুম, এক টেবিল-চামচ ময়দা, আধা চা-চামচ গ্লিসারিন এবং আধা চা-চামচ তিলের তেল মিশিয়ে একটা পেস্ট করে লাগাতে পারেন মুখে। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর এক চা-চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ মিশিয়ে হালকা মালিশ করে নিতে পারেন। টোনিংটা হয়ে যাবে ভালোই।
যাঁদের ত্বক মিশ্র ও স্বাভাবিক, তাঁরা এক চা-চামচ মধু, ২ টেবিল-চামচ দুধ, তিন টেবিল চামচ গাজরের রস, এক চা-চামচের চার ভাগের এক ভাগ লেবুর রস, তিলের তেল এক টেবিল চামচ, মসুর ডালের বেসন দুই টেবিল চামচ এবং ময়দা দুই টেবিল চামচ মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করুন। যদি হলুদে অ্যালার্জি না থাকে, তাহলে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন একটু হলুদবাটা। ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা জল দিয়ে।
যাঁদের স্পর্শকাতর ত্বক তাঁরা এক টেবিল-চামচ দুধ, আধা চা-চামচ মধু, এক টেবিল-চামচ কাঠবাদামের পেস্ট এবং কাঠবাদামের তেল যদি না পাওয়া যায়, তবে বেবি অয়েল দিয়েও পেস্ট বানিয়ে মুখে দেওয়া যায়।
এ তো গেল প্রতিদিন টুকটাক করে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু এসব ছাড়া আরও কাজ আছে। সেগুলো করতে পারেন এভাবে। চুলটা কেটে আসুন প্রথম দিনই। যদি চুলটা আগেই কাটিয়ে আসেন, তবে চার দিন পর বিশেষ দিনটিতে দেখবেন, চুলটা আপনার কাঙ্ক্ষিত আকারে চলে এসেছে।
শরীরে অবাঞ্ছিত লোমগুলো থাকলে বড় গলার ব্লাউজ বা হাতকাটা জামা মোটেও মানাবে না। তাই দ্বিতীয় দিনই করে নিন এসব পরিষ্কার করার কাজ। ভুরু প্লাক করাটা না-হয় হয়ে যাক এদিনই। অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে বা অনেক সময় ভুরু প্লাক করতে গিয়ে কেটে যায়। তাই অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে এসব করাই ভালো। আর তৃতীয় দিনটা কাজে লাগুক পুরোই হাত ও পায়ের যত্নে। পেডিকিউর ও ম্যানিকিউর করতে পারেন এদিন।
চাইলে হাত ও পায়ের জন্য ঘরেই বানাতে পারেন স্ক্রাব। দুই টেবিল চামচ করে চালের গুঁড়া, শসা ও গাজরের রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ তেল (তিল/নারকেল/জলপাই তেল) মিশিয়ে হাত-পায়ে লাগান। নখে লেবু ঘষে পরিষ্কার করুন। পরে ধুয়ে ফেলে সমপরিমাণ গ্লিসারিন, জলপাই/নারকেল/তিলের তেল এবং গোলাপজল মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজ করুন। পরের দিন শরীরে ক্লান্তির ছাপ না রাখতে অনুষ্ঠানের আগের দিন নিতে পারেন যেকোনো মালিশ। করে নিতে পারেন ফেসিয়ালও। আলতা, মেহেদি বা শরীরে আলপনা করার পরিকল্পনা থাকলে সেরে নিন আগের রাতেই। এই কদিন তিন টেবিল-চামচ ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) রসের সঙ্গে এক চা-চামচ মধু এবং পানি ব্লেন্ডারে মিশিয়ে খেতে পারেন। ভেতর থেকে আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখবে অ্যালোভেরার এই রস।
এবার অনুষ্ঠানের আগের দিন রাতে আর একবার আয়নার সামনে যান। কী মনে হবে, জানেন? হালকা মেকআপ আর জমকালো পোশাক পরার কাজটুকু ছাড়াই আপনি এখন অনন্যা।
হাতে সময় যদি কম থাকে, তবে ত্বকের ধরন বুঝে কিছু প্যাক প্রতিদিন নেওয়া যায়, তাহলে বিশেষ দিনটিতে নিজের কাছেই নিজেকে লাগবে অন্য রকম। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা একটা ডিমের সাদা অংশ, আধা চা-চামচ মধু, আধা চা-চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আবার যাঁদের শুষ্ক ত্বক তাঁরা ডিমের কুসুম, এক টেবিল-চামচ ময়দা, আধা চা-চামচ গ্লিসারিন এবং আধা চা-চামচ তিলের তেল মিশিয়ে একটা পেস্ট করে লাগাতে পারেন মুখে। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর এক চা-চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ মিশিয়ে হালকা মালিশ করে নিতে পারেন। টোনিংটা হয়ে যাবে ভালোই।
যাঁদের ত্বক মিশ্র ও স্বাভাবিক, তাঁরা এক চা-চামচ মধু, ২ টেবিল-চামচ দুধ, তিন টেবিল চামচ গাজরের রস, এক চা-চামচের চার ভাগের এক ভাগ লেবুর রস, তিলের তেল এক টেবিল চামচ, মসুর ডালের বেসন দুই টেবিল চামচ এবং ময়দা দুই টেবিল চামচ মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করুন। যদি হলুদে অ্যালার্জি না থাকে, তাহলে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন একটু হলুদবাটা। ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা জল দিয়ে।
যাঁদের স্পর্শকাতর ত্বক তাঁরা এক টেবিল-চামচ দুধ, আধা চা-চামচ মধু, এক টেবিল-চামচ কাঠবাদামের পেস্ট এবং কাঠবাদামের তেল যদি না পাওয়া যায়, তবে বেবি অয়েল দিয়েও পেস্ট বানিয়ে মুখে দেওয়া যায়।
এ তো গেল প্রতিদিন টুকটাক করে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু এসব ছাড়া আরও কাজ আছে। সেগুলো করতে পারেন এভাবে। চুলটা কেটে আসুন প্রথম দিনই। যদি চুলটা আগেই কাটিয়ে আসেন, তবে চার দিন পর বিশেষ দিনটিতে দেখবেন, চুলটা আপনার কাঙ্ক্ষিত আকারে চলে এসেছে।
শরীরে অবাঞ্ছিত লোমগুলো থাকলে বড় গলার ব্লাউজ বা হাতকাটা জামা মোটেও মানাবে না। তাই দ্বিতীয় দিনই করে নিন এসব পরিষ্কার করার কাজ। ভুরু প্লাক করাটা না-হয় হয়ে যাক এদিনই। অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে বা অনেক সময় ভুরু প্লাক করতে গিয়ে কেটে যায়। তাই অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে এসব করাই ভালো। আর তৃতীয় দিনটা কাজে লাগুক পুরোই হাত ও পায়ের যত্নে। পেডিকিউর ও ম্যানিকিউর করতে পারেন এদিন।
চাইলে হাত ও পায়ের জন্য ঘরেই বানাতে পারেন স্ক্রাব। দুই টেবিল চামচ করে চালের গুঁড়া, শসা ও গাজরের রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ তেল (তিল/নারকেল/জলপাই তেল) মিশিয়ে হাত-পায়ে লাগান। নখে লেবু ঘষে পরিষ্কার করুন। পরে ধুয়ে ফেলে সমপরিমাণ গ্লিসারিন, জলপাই/নারকেল/তিলের তেল এবং গোলাপজল মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজ করুন। পরের দিন শরীরে ক্লান্তির ছাপ না রাখতে অনুষ্ঠানের আগের দিন নিতে পারেন যেকোনো মালিশ। করে নিতে পারেন ফেসিয়ালও। আলতা, মেহেদি বা শরীরে আলপনা করার পরিকল্পনা থাকলে সেরে নিন আগের রাতেই। এই কদিন তিন টেবিল-চামচ ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) রসের সঙ্গে এক চা-চামচ মধু এবং পানি ব্লেন্ডারে মিশিয়ে খেতে পারেন। ভেতর থেকে আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখবে অ্যালোভেরার এই রস।
এবার অনুষ্ঠানের আগের দিন রাতে আর একবার আয়নার সামনে যান। কী মনে হবে, জানেন? হালকা মেকআপ আর জমকালো পোশাক পরার কাজটুকু ছাড়াই আপনি এখন অনন্যা।
No comments