পবিত্র কোরআনের আলো-কাফেরদের ঢিলে দেওয়া হয়েছে যেন তাদের পাপের বোঝা ভারী করতে পারে
১৭৭. ইন্নাল্লাযীনা শ্তারাউল কুফরা বিলঈমানি লাইঁয়াদ্বুর্রুল্লা-হা শাইয়া-; ওয়ালাহুম 'আযা-বুন আলীম।
১৭৮. ওয়ালা ইয়াহ্ছাবান্নাল্লাযীনা কাফারূ আন্নামা- তুমলী লাহুম খাইরুন লিআনফুছিহিম; ইন্নামা নুমলী লাহুম লিইয়ায্দা-দূ ইছমান; ওয়ালাহুম 'আযা-বুম্ মুহীন।
১৭৮. ওয়ালা ইয়াহ্ছাবান্নাল্লাযীনা কাফারূ আন্নামা- তুমলী লাহুম খাইরুন লিআনফুছিহিম; ইন্নামা নুমলী লাহুম লিইয়ায্দা-দূ ইছমান; ওয়ালাহুম 'আযা-বুম্ মুহীন।
[সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৭৭-১৭৮]
অনুবাদ : ১৭৭. যারা ইমানের পরিবর্তে অবাধ্যতার পথ বেছে নিল তারা আল্লাহর কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারবে না, তাদের জন্য কঠোর শাস্তি রয়েছে।
১৭৮. যারা অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছে তারা যেন মনে না করে যে, আমি তাদের যে ঢিলে দিয়ে রেখেছি তা তাদের জন্য কল্যাণকর হবে। বরং আমি এদের শুধু এ জন্য ঢিলে দিয়ে রেখেছি, যেন তারা তাদের পাপের বোঝা আরো বাড়াতে পারে। তাদের জন্য লাঞ্ছনাময় শাস্তি রয়েছে।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় নাজিল হয়েছে। ১৭৭ নম্বর আয়াতে কিছুটা পুনরুক্তি করেই বলা হয়েছে, যারা ইমানের পরিবর্তে কুফরি বা অবাধ্যতার পথ বেছে নিয়েছে তারা আল্লাহর অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এর আগের ১৭৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, যারা কুফরি বা অবাধ্যতার পথে দ্রুত এগিয়ে যায়, তাদের কর্মকাণ্ড যেন রাসুল (সা.)-কে চিন্তিত না করে। কারণ এরা আল্লাহর বা তাঁর দ্বীনের বিন্দুমাত্র ক্ষতিও সাধন করতে পারবে না। এই আয়াতে বলা হচ্ছে, যারা তাদের সামনে ইমানের পথ উন্মুক্ত থাকতেও ইমানের পরিবর্তে কুফরকেও বেছে নেবে তারা আল্লাহর কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে।
১৭৮ নম্বর আয়াতের শানেনুজুল এ রকম : কাফেররা বলত, আমরা তো সুখে-শান্তিতে আছি, কই মুমিনদের অবস্থা তো আমাদের চেয়ে ভালো নয়। এতেই তো বুঝা যায়, আল্লাহ আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট নন। সুতরাং পরকাল বলে যদি কিছু থাকে, তবে সেখানেও আমরা ভালোই থাকব। তাদের এ ধরনের ভ্রান্ত মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতেই এই আয়াত নাজিল হয়। এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, আমি এদের ঢিলে দিয়ে রেখেছি, তবে তারা যেন মনে না করে এটা তাদের কল্যাণের জন্য। বরং এই ঢিলে দেওয়ার কারণ তারা যেন তাদের পাপের বোঝা আরো বাড়াতে পারে_এখানে কথাটা বলা হয়েছে বিদ্রূপাত্মকভাবে। আল্লাহ চান না মানুষ পাপের পথে থাক। কিন্তু ইমানের পথ সামনে খোলা থাকলেও যারা এর পরিবর্তে কুফরির পথে যায়, তারা জ্ঞানপাপী। তাদের পথ দেখানোতে কোনো লাভ নেই। তারা পাপের বোঝা ভারী করুক, তবেই পরিশেষে বুঝবে এর পরিণতি।
এই আয়াতে মর্মোপলব্ধি করলেই আমরা বুঝতে পারি এই দুনিয়াতে অবাধ্য পাপাচারী মানুষদের ক্ষমতা ও দাপটের কারণ কী। আল্লাহ পাপাচারীদের ঢিলে দেন। কারণ তাদের পথ দেখানো হলেও তারা সুপথে আসতে চায় না। বরং ঢিলে দিয়ে পাপের বোঝা ভারী করতে দিলে করুণ পরিণতির শিকার হয়ে এমন সময় তাদের সত্যজ্ঞানের উদয় হবে যখন তাদের আর করার কিছু থাকবে না। এটাই কাফেরদের শোচনীয় পরিণতি। কাফেররা এই দুনিয়াতে সাময়িকভাবে ভালো থাকে; তবে এই ভালো চূড়ান্ত ভালো নয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ১৭৭. যারা ইমানের পরিবর্তে অবাধ্যতার পথ বেছে নিল তারা আল্লাহর কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারবে না, তাদের জন্য কঠোর শাস্তি রয়েছে।
১৭৮. যারা অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছে তারা যেন মনে না করে যে, আমি তাদের যে ঢিলে দিয়ে রেখেছি তা তাদের জন্য কল্যাণকর হবে। বরং আমি এদের শুধু এ জন্য ঢিলে দিয়ে রেখেছি, যেন তারা তাদের পাপের বোঝা আরো বাড়াতে পারে। তাদের জন্য লাঞ্ছনাময় শাস্তি রয়েছে।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় নাজিল হয়েছে। ১৭৭ নম্বর আয়াতে কিছুটা পুনরুক্তি করেই বলা হয়েছে, যারা ইমানের পরিবর্তে কুফরি বা অবাধ্যতার পথ বেছে নিয়েছে তারা আল্লাহর অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এর আগের ১৭৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, যারা কুফরি বা অবাধ্যতার পথে দ্রুত এগিয়ে যায়, তাদের কর্মকাণ্ড যেন রাসুল (সা.)-কে চিন্তিত না করে। কারণ এরা আল্লাহর বা তাঁর দ্বীনের বিন্দুমাত্র ক্ষতিও সাধন করতে পারবে না। এই আয়াতে বলা হচ্ছে, যারা তাদের সামনে ইমানের পথ উন্মুক্ত থাকতেও ইমানের পরিবর্তে কুফরকেও বেছে নেবে তারা আল্লাহর কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে।
১৭৮ নম্বর আয়াতের শানেনুজুল এ রকম : কাফেররা বলত, আমরা তো সুখে-শান্তিতে আছি, কই মুমিনদের অবস্থা তো আমাদের চেয়ে ভালো নয়। এতেই তো বুঝা যায়, আল্লাহ আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট নন। সুতরাং পরকাল বলে যদি কিছু থাকে, তবে সেখানেও আমরা ভালোই থাকব। তাদের এ ধরনের ভ্রান্ত মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতেই এই আয়াত নাজিল হয়। এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, আমি এদের ঢিলে দিয়ে রেখেছি, তবে তারা যেন মনে না করে এটা তাদের কল্যাণের জন্য। বরং এই ঢিলে দেওয়ার কারণ তারা যেন তাদের পাপের বোঝা আরো বাড়াতে পারে_এখানে কথাটা বলা হয়েছে বিদ্রূপাত্মকভাবে। আল্লাহ চান না মানুষ পাপের পথে থাক। কিন্তু ইমানের পথ সামনে খোলা থাকলেও যারা এর পরিবর্তে কুফরির পথে যায়, তারা জ্ঞানপাপী। তাদের পথ দেখানোতে কোনো লাভ নেই। তারা পাপের বোঝা ভারী করুক, তবেই পরিশেষে বুঝবে এর পরিণতি।
এই আয়াতে মর্মোপলব্ধি করলেই আমরা বুঝতে পারি এই দুনিয়াতে অবাধ্য পাপাচারী মানুষদের ক্ষমতা ও দাপটের কারণ কী। আল্লাহ পাপাচারীদের ঢিলে দেন। কারণ তাদের পথ দেখানো হলেও তারা সুপথে আসতে চায় না। বরং ঢিলে দিয়ে পাপের বোঝা ভারী করতে দিলে করুণ পরিণতির শিকার হয়ে এমন সময় তাদের সত্যজ্ঞানের উদয় হবে যখন তাদের আর করার কিছু থাকবে না। এটাই কাফেরদের শোচনীয় পরিণতি। কাফেররা এই দুনিয়াতে সাময়িকভাবে ভালো থাকে; তবে এই ভালো চূড়ান্ত ভালো নয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments