ছাঁচ পুরনো কথা নতুন
কিছু কঠিন কঠিন শব্দ ও শব্দগুচ্ছ নিয়ে আজ কথা বলব। : কঠিন বিষয়, কঠিন সমস্যা_এগুলোকে আমি সব সময় ভয় করি। : তার পরও আপনার কাছে কয়েকটা বিষয় জানতে চাইব। কিছু কিছু লোক তাদের কথায় আর বক্তৃতায়, বিবৃতিতে ফ্যাসিবাদ, আদিপত্যবাদ ইত্যাদি শব্দ খুব ব্যবহার করে।
: করে। আমিও লক্ষ করেছি এবং অনেক দিন ধরে কৌতুকের সঙ্গে লক্ষ করছি।
: তারা এই শব্দগুলো দিয়ে কী বোঝাতে চায়?
: কী যে বোঝাতে চায়, তাদের অনেকেই জানে না। শব্দ দুটির অর্থও তাদের জানা নেই। বানান করতে দিন, ইংরেজি দূরে থাক, বাংলাও পারবে না। যেমন_কয়েক দিন আগে ভয়াবহ এক যুদ্ধাপরাধীকে সমর্থন করতে গিয়ে তাদের পৃষ্ঠপোষণকারীদের কয়েকজন বলেছে, আমাদের এই নেতাটি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আধিপত্যবাদী শক্তির টার্গেট হয়েছেন। আধিপত্যবাদ, আগ্রাসী শক্তি_এসব কি খাওয়ার বিষয়, না গায়ে দেওয়ার, তাও তারা বোঝে কি না আমার সন্দেহ হয়। ঘোর সন্দেহ। কারণ তাদের লেখাপড়ার স্ট্যান্ডার্ড ও শিক্ষার মান সম্পর্কে আমার স্বচ্ছ ধারণা আছে।
ওদের লেখাপড়ার মান আমার মনে দু-চার ছবি ভাসিয়ে তোলে। শহরে এসে এক বালক নতুন কিছু শব্দ পেল এবং 'কতিপয়' শব্দটি তার খুব ভালো লেগে গেল।
সে ভাবল, বাবার কাছে চিঠি লেখার সময় এই শব্দটি সে ব্যবহার করবে, যাতে তিনি ইমপ্রেসড হন এবং মনের আনন্দে টাকা পাঠান।
ব্যবহার করবি তো কর, শুরুতেই কর। 'বালক'টি চিঠির শুরুতেই লিখল_কতিপয় পিতা, সালাম গ্রহণ করিবেন।
পত্রপাঠ কী অবস্থা হয়েছিল, তার বাবার, আমরা বুঝে নিলেই পারি। অথবা সেই বাক্যগুলোই বা কেমন, আমরা ভাবতে পারি। 'সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের সলিল সমাধি', 'জনদরদী মহাসংগ্রামী ও এশিয়ার বিতর্কিত নেতা' এবং 'মরহুম অমুক মিঞা বলছি।'
: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, ওদের লেখাপড়া ও জ্ঞানগম্যির মান খুব খারাপ এবং ওদের অনেকেই অর্থ না বুঝেই শব্দের ব্যবহার করে।
: হ্যাঁ, আমি তাই বলতে চাচ্ছি। এবং বলতে চাচ্ছি আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে। আমি আরো একটা জিনিস বলতে চাচ্ছি। আপনি জিজ্ঞেস না করলেও আমি তা বলব এবং বেশ জোরের সঙ্গেই বলব। মানুষ হিসেবেও ওরা খুব খারাপ। ওদের কোয়ালিটি খুব নিম্নমানের। ওরা সব কিছুই জন্মপরিচয়ের পার্থক্য বিচারে বিবেচনা করে। ওরা সাব-হিউম্যানের মতো।
: ক্রোধের বশে বলছেন এসব কথা?
: না, মোটেই নয়। বলছি বাস্তবতার নিরিখে।
: বাস্তবতার নিরিখে বলছেন যখন, আরো কিছু বলুন। এই নষ্ট সম্প্রদায় নষ্ট কেন?
: কারণ ওরা মানুষকে মানুষ মানে না। স্বাধীনতাকে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাসকে ইতিহাস ও গৌরবকে গৌরব মানে না। ওরা সৌরভে সৌরভ দেখে না। ওরা সুযোগের সন্ধান চিন্তায় মগ্ন থাকে এবং তা ধরার জন্য প্রচুর শ্রম করে ও আন্তরিকতা ঢালে।
: যখন সে সুযোগ পেয়ে যায়, তখন কী করে?
: বিশ্বভুবন তছনছ করে। কোন বিশ্বভুবন? কিসের বিশ্বভুবন?
: আমাদের দেশের 'বিশ্বভুবন'। আমাদের সমাজের, সংস্কৃতির শিক্ষার, সুরুচির, সংস্কৃতির, সংগ্রামে, সাহিত্যের এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্যের 'বিশ্বভুবন'।
: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন_এর কোনটিই ওদের হাতে নিরাপদ নয়?
: তেমন বলতে পারলে তো ভালোই লাগত। আমি বলতে চাইছি_যা কিছু আমার জন্য ভালো ও শুভ_তার সবই ওদের হাতে বিপদগ্রস্ত, সবই ওদের হাতে সংকটাপন্ন। ওরা, ওদের অনুগৃহীতজনেরা ও ওদের শিরের পরে ছত্রছায়া বিস্তারকারীরা মানবতা, মুক্তিযুদ্ধ, আধুনিকতা, সততা, শুভবুদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িকতার নামে সংসারে যত কিছু আছে, সব দলে দেবে, সব পিষে মারবে। স্নিগ্ধ ও সুবাসিত যত কিছু আছে, নিরপেক্ষ যত কিছু আছে_তার কোনোটিকেই তারা শান্তি দেবে না। কোনোটিকেই তারা আনডিস্টার্বড রাখবে না।
: তাদের অস্তিত্বে সবই কি নেগেটিভ? পজিটিভ কি কিছুই নাই?
: থাকবে না কেন! থাকতেই হবে। সেই তরুণের মতো_যার সব কিছুই ছিল নেগেটিভ। শরীর, স্বাস্থ্য, দৃষ্টিভঙ্গি, অন্তরলিপি_সব কিছুই। একটি বিষয় ছিল তার বেলায় প্রবলভাবে পজিটিভ। 'এইচআইভি'। সত্য হনন, মানবদলন, ধর্মপীড়ন, অন্তরছেদন ইত্যাদির বেলায় ওদের অন্তর্জালিকা অসামান্য পজিটিভ।
: 'ধর্ম পীড়ন' মানে? ধর্মকে পীড়ন করা?
: না। ধর্ম দ্বারা পীড়ন করা। 'তৃতীয়া তৎপুরুষ'।
: অন্তর্জালিকা মানে?
: অন্তরের জালিকা, সাধারণত যা জটিলাতিজটিল হয়। 'ষষ্ঠী তৎপুরুষ'। ওদের সম্পর্কে, আপনার অনুভবের বর্ণ কী রকম?
: বিস্ময়ে সর্বাদ্র। ওরা খুব ডিসিপ্লিনড, ওরা শৃঙ্খলবদ্ধ অবস্থায় শৃঙ্খলাবদ্ধ, ওরা পরিশ্রমী, ওরা বিনয়ী, ওরা ছন্দবেশপ্রিয়।
: 'ছন্দবেশপ্রিয়' মানে?
: ছন্দবেশ যার প্রিয়। 'মধ্যপদলোপী কর্মধারায়'।
: আর কী আছে ওদের মধ্যে?
: তালিকাপ্রীতি ও বিজ্ঞানপ্রীতি। বিজ্ঞানের দেওয়া স্মৃতিযন্ত্রের ভেতর, ডেটা বেইজের ভেতর ও মেমোরি ব্যাংকের অন্দর সুচিন্তিত এবং সুগ্রথিত তালিকা ওরা সংরক্ষণ করতে ভালোবাসে। কখনো অদৃশ্য ভবনের যন্ত্রে, কখনো অদৃশ্যাতি অদৃশ্য ঠিকানায়। অভাবনীয় মেশিনে অকল্পনীয় তরিকায়।
: এত পরিশ্রমে এমন সংগ্রহ করতে হবে কেন!!
: সময়মতো কাজে লাগাবার জন্য!
: তাহলে তো ভয়ের কথা!
: আমি কি বলেছি, আনন্দের কথা? বলেছি কি কখনো উল্লাসের কথা?
: বলেছেন বলে বলছি না। তাহলে এখন কী করতে হবে?
: যা করতে হবে, তা তো কেউ করছি না।
: কী করছি না, যা করতে হবে? শুধু শুধু 'আরোপ' লাগাবেন না!
: আপনার কি মনে থাকে যে আপনার একটা মাইনাস পয়েন্ট, ওর একটা প্লাস পয়েন্ট? আপনাদের একটা ক্ষতি, ওদের তিনটা ক্যাপিটাল, আপনার একটা বিচ্যুতি, ওদের জন্য দুটি আনন্দবারতা_এসব কি আপনি সবসময় মনে রাখেন?
: কখনো কখনো পারি না।
: কখনো কখনো না পারা মানে, সব সময়ের জন্য বিপদ ডাকা। অ্যানি থিঙ নট গুড অ্যানি হোয়্যার, ইজ অ্যা পোটেনশিয়াল থ্রেট টু গুড এভরি হোয়্যার।
: কথাটা কি আপনার?
: না। কথাটা অন্য প্রসঙ্গে অন্য ছাঁচে অন্যজনের। আমি মহাবিখ্যাত সেই ব্যক্তির ছাঁচটা ব্যবহার করে তার ভেতর বাস্তবতার নিরিখে ও সময়ের নিরিখে লাগসই এবং প্রয়োজনীয় কিছু শব্দ ঢালাই করলাম।
: কথার ছাঁচটি কার?
: মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে নোবেল (শান্তি) পুরস্কার পাওয়া ড. মার্টিন লুথার কিংয়ের। এই মানুষটিকেও অকালে, অসময়ে, অজ্ঞানের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
লেখক : রম্য লেখক ও কথাসাহিত্যিক
: তারা এই শব্দগুলো দিয়ে কী বোঝাতে চায়?
: কী যে বোঝাতে চায়, তাদের অনেকেই জানে না। শব্দ দুটির অর্থও তাদের জানা নেই। বানান করতে দিন, ইংরেজি দূরে থাক, বাংলাও পারবে না। যেমন_কয়েক দিন আগে ভয়াবহ এক যুদ্ধাপরাধীকে সমর্থন করতে গিয়ে তাদের পৃষ্ঠপোষণকারীদের কয়েকজন বলেছে, আমাদের এই নেতাটি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আধিপত্যবাদী শক্তির টার্গেট হয়েছেন। আধিপত্যবাদ, আগ্রাসী শক্তি_এসব কি খাওয়ার বিষয়, না গায়ে দেওয়ার, তাও তারা বোঝে কি না আমার সন্দেহ হয়। ঘোর সন্দেহ। কারণ তাদের লেখাপড়ার স্ট্যান্ডার্ড ও শিক্ষার মান সম্পর্কে আমার স্বচ্ছ ধারণা আছে।
ওদের লেখাপড়ার মান আমার মনে দু-চার ছবি ভাসিয়ে তোলে। শহরে এসে এক বালক নতুন কিছু শব্দ পেল এবং 'কতিপয়' শব্দটি তার খুব ভালো লেগে গেল।
সে ভাবল, বাবার কাছে চিঠি লেখার সময় এই শব্দটি সে ব্যবহার করবে, যাতে তিনি ইমপ্রেসড হন এবং মনের আনন্দে টাকা পাঠান।
ব্যবহার করবি তো কর, শুরুতেই কর। 'বালক'টি চিঠির শুরুতেই লিখল_কতিপয় পিতা, সালাম গ্রহণ করিবেন।
পত্রপাঠ কী অবস্থা হয়েছিল, তার বাবার, আমরা বুঝে নিলেই পারি। অথবা সেই বাক্যগুলোই বা কেমন, আমরা ভাবতে পারি। 'সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের সলিল সমাধি', 'জনদরদী মহাসংগ্রামী ও এশিয়ার বিতর্কিত নেতা' এবং 'মরহুম অমুক মিঞা বলছি।'
: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, ওদের লেখাপড়া ও জ্ঞানগম্যির মান খুব খারাপ এবং ওদের অনেকেই অর্থ না বুঝেই শব্দের ব্যবহার করে।
: হ্যাঁ, আমি তাই বলতে চাচ্ছি। এবং বলতে চাচ্ছি আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে। আমি আরো একটা জিনিস বলতে চাচ্ছি। আপনি জিজ্ঞেস না করলেও আমি তা বলব এবং বেশ জোরের সঙ্গেই বলব। মানুষ হিসেবেও ওরা খুব খারাপ। ওদের কোয়ালিটি খুব নিম্নমানের। ওরা সব কিছুই জন্মপরিচয়ের পার্থক্য বিচারে বিবেচনা করে। ওরা সাব-হিউম্যানের মতো।
: ক্রোধের বশে বলছেন এসব কথা?
: না, মোটেই নয়। বলছি বাস্তবতার নিরিখে।
: বাস্তবতার নিরিখে বলছেন যখন, আরো কিছু বলুন। এই নষ্ট সম্প্রদায় নষ্ট কেন?
: কারণ ওরা মানুষকে মানুষ মানে না। স্বাধীনতাকে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাসকে ইতিহাস ও গৌরবকে গৌরব মানে না। ওরা সৌরভে সৌরভ দেখে না। ওরা সুযোগের সন্ধান চিন্তায় মগ্ন থাকে এবং তা ধরার জন্য প্রচুর শ্রম করে ও আন্তরিকতা ঢালে।
: যখন সে সুযোগ পেয়ে যায়, তখন কী করে?
: বিশ্বভুবন তছনছ করে। কোন বিশ্বভুবন? কিসের বিশ্বভুবন?
: আমাদের দেশের 'বিশ্বভুবন'। আমাদের সমাজের, সংস্কৃতির শিক্ষার, সুরুচির, সংস্কৃতির, সংগ্রামে, সাহিত্যের এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্যের 'বিশ্বভুবন'।
: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন_এর কোনটিই ওদের হাতে নিরাপদ নয়?
: তেমন বলতে পারলে তো ভালোই লাগত। আমি বলতে চাইছি_যা কিছু আমার জন্য ভালো ও শুভ_তার সবই ওদের হাতে বিপদগ্রস্ত, সবই ওদের হাতে সংকটাপন্ন। ওরা, ওদের অনুগৃহীতজনেরা ও ওদের শিরের পরে ছত্রছায়া বিস্তারকারীরা মানবতা, মুক্তিযুদ্ধ, আধুনিকতা, সততা, শুভবুদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িকতার নামে সংসারে যত কিছু আছে, সব দলে দেবে, সব পিষে মারবে। স্নিগ্ধ ও সুবাসিত যত কিছু আছে, নিরপেক্ষ যত কিছু আছে_তার কোনোটিকেই তারা শান্তি দেবে না। কোনোটিকেই তারা আনডিস্টার্বড রাখবে না।
: তাদের অস্তিত্বে সবই কি নেগেটিভ? পজিটিভ কি কিছুই নাই?
: থাকবে না কেন! থাকতেই হবে। সেই তরুণের মতো_যার সব কিছুই ছিল নেগেটিভ। শরীর, স্বাস্থ্য, দৃষ্টিভঙ্গি, অন্তরলিপি_সব কিছুই। একটি বিষয় ছিল তার বেলায় প্রবলভাবে পজিটিভ। 'এইচআইভি'। সত্য হনন, মানবদলন, ধর্মপীড়ন, অন্তরছেদন ইত্যাদির বেলায় ওদের অন্তর্জালিকা অসামান্য পজিটিভ।
: 'ধর্ম পীড়ন' মানে? ধর্মকে পীড়ন করা?
: না। ধর্ম দ্বারা পীড়ন করা। 'তৃতীয়া তৎপুরুষ'।
: অন্তর্জালিকা মানে?
: অন্তরের জালিকা, সাধারণত যা জটিলাতিজটিল হয়। 'ষষ্ঠী তৎপুরুষ'। ওদের সম্পর্কে, আপনার অনুভবের বর্ণ কী রকম?
: বিস্ময়ে সর্বাদ্র। ওরা খুব ডিসিপ্লিনড, ওরা শৃঙ্খলবদ্ধ অবস্থায় শৃঙ্খলাবদ্ধ, ওরা পরিশ্রমী, ওরা বিনয়ী, ওরা ছন্দবেশপ্রিয়।
: 'ছন্দবেশপ্রিয়' মানে?
: ছন্দবেশ যার প্রিয়। 'মধ্যপদলোপী কর্মধারায়'।
: আর কী আছে ওদের মধ্যে?
: তালিকাপ্রীতি ও বিজ্ঞানপ্রীতি। বিজ্ঞানের দেওয়া স্মৃতিযন্ত্রের ভেতর, ডেটা বেইজের ভেতর ও মেমোরি ব্যাংকের অন্দর সুচিন্তিত এবং সুগ্রথিত তালিকা ওরা সংরক্ষণ করতে ভালোবাসে। কখনো অদৃশ্য ভবনের যন্ত্রে, কখনো অদৃশ্যাতি অদৃশ্য ঠিকানায়। অভাবনীয় মেশিনে অকল্পনীয় তরিকায়।
: এত পরিশ্রমে এমন সংগ্রহ করতে হবে কেন!!
: সময়মতো কাজে লাগাবার জন্য!
: তাহলে তো ভয়ের কথা!
: আমি কি বলেছি, আনন্দের কথা? বলেছি কি কখনো উল্লাসের কথা?
: বলেছেন বলে বলছি না। তাহলে এখন কী করতে হবে?
: যা করতে হবে, তা তো কেউ করছি না।
: কী করছি না, যা করতে হবে? শুধু শুধু 'আরোপ' লাগাবেন না!
: আপনার কি মনে থাকে যে আপনার একটা মাইনাস পয়েন্ট, ওর একটা প্লাস পয়েন্ট? আপনাদের একটা ক্ষতি, ওদের তিনটা ক্যাপিটাল, আপনার একটা বিচ্যুতি, ওদের জন্য দুটি আনন্দবারতা_এসব কি আপনি সবসময় মনে রাখেন?
: কখনো কখনো পারি না।
: কখনো কখনো না পারা মানে, সব সময়ের জন্য বিপদ ডাকা। অ্যানি থিঙ নট গুড অ্যানি হোয়্যার, ইজ অ্যা পোটেনশিয়াল থ্রেট টু গুড এভরি হোয়্যার।
: কথাটা কি আপনার?
: না। কথাটা অন্য প্রসঙ্গে অন্য ছাঁচে অন্যজনের। আমি মহাবিখ্যাত সেই ব্যক্তির ছাঁচটা ব্যবহার করে তার ভেতর বাস্তবতার নিরিখে ও সময়ের নিরিখে লাগসই এবং প্রয়োজনীয় কিছু শব্দ ঢালাই করলাম।
: কথার ছাঁচটি কার?
: মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে নোবেল (শান্তি) পুরস্কার পাওয়া ড. মার্টিন লুথার কিংয়ের। এই মানুষটিকেও অকালে, অসময়ে, অজ্ঞানের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল।
লেখক : রম্য লেখক ও কথাসাহিত্যিক
No comments