কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারকে আরও যত্নবান হতে হবে-নবজাতকের মৃত্যুহার
নবজাতকের জীবন বাঁচানো সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার ক্রমাগতভাবে কমছে। তবে বর্তমানে এ হার যে জায়গায় নামিয়ে আনা গেছে, সেটাও অনেক বেশি।
পরিসংখ্যান মতে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সহস্রাব্দ
পরিসংখ্যান মতে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সহস্রাব্দ
উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সফলভাবে এগোচ্ছে। যদিও দেশে যত শিশু মারা যাচ্ছে, তার বড় একটি অংশ ২৮ দিন বয়স হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, নবজাতকের মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগ তেমন কাজে আসছে না।
শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এলেও সর্বত্রগামী হয়নি। দেশের বিভিন্ন জায়গার চিত্র এক নয়। গ্রামীণ পরিবেশে যেখানে স্বাস্থ্যসেবার স্বল্পতা কিংবা সম্পদের ঘাটতি রয়েছে, সেখানে গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ অন্যান্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। গ্রাম ও শহরে, পাহাড়ে ও সমতলে এই পার্থক্য পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান। শিশুর যত্ন ও রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের বিস্তৃতি ঘটিয়ে এসব ভৌগোলিক পার্থক্য ঘোচাতে হবে।
শিশুরোগ এবং মা-শিশুর অপুষ্টি নবজাতকের মৃত্যুর প্রধান কারণ। সময়মতো টিকা দিলে তা এড়ানো যায়। এ জন্য টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে হবে। প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন না করে টিকা দেওয়ার ফলে সম্প্রতি কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হওয়ার খবর এসেছে। এ ধরনের ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। তা ছাড়া টিকাদানের মাধ্যমে রোগ নিরাময় একটি চলমান প্রক্রিয়া। সফলভাবে এটি চালু রাখার জন্য সারা দেশের সব গর্ভবতী মা ও শিশুকে এর আওতায় আনা, কর্মসূচির তদারক, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং এ-সম্পর্কিত সম্পদের ব্যবস্থাপনার দিক গুরুত্বপূর্ণ।
গত এক দশকে দেশে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বেড়েছে এবং তার বিস্তারও ঘটেছে। তবে রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে অসুবিধা তেমন দূর হয়নি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকেরা যেতে চান না। সারা দেশে বিস্তৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি তৎপরতার ঘাটতিও লক্ষণীয়। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। নবজাতক শিশুর যত্নের প্রতি অধিকতর দৃষ্টি দিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এখনো শিশু জন্মের দিনটি এ দেশে মা ও শিশুর জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দিন হয়ে রয়েছে। অথচ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মা ও নবজাতক স্বাস্থ্যবান ও সমৃদ্ধ সমাজের ভিত্তি। এ জন্য মা ও নবজাতকের যে স্বাস্থ্যগত চাহিদা আছে, তা মেটাতে উদ্যোগী হতে হবে রাষ্ট্রকেই। বেসরকারি সংস্থা এ কাজে শরিক হতে পারে। সবচেয়ে নাজুক যারা, তাদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এলেও সর্বত্রগামী হয়নি। দেশের বিভিন্ন জায়গার চিত্র এক নয়। গ্রামীণ পরিবেশে যেখানে স্বাস্থ্যসেবার স্বল্পতা কিংবা সম্পদের ঘাটতি রয়েছে, সেখানে গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যগত চ্যালেঞ্জ অন্যান্য এলাকা থেকে অনেক বেশি। গ্রাম ও শহরে, পাহাড়ে ও সমতলে এই পার্থক্য পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান। শিশুর যত্ন ও রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের বিস্তৃতি ঘটিয়ে এসব ভৌগোলিক পার্থক্য ঘোচাতে হবে।
শিশুরোগ এবং মা-শিশুর অপুষ্টি নবজাতকের মৃত্যুর প্রধান কারণ। সময়মতো টিকা দিলে তা এড়ানো যায়। এ জন্য টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে হবে। প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন না করে টিকা দেওয়ার ফলে সম্প্রতি কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হওয়ার খবর এসেছে। এ ধরনের ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। তা ছাড়া টিকাদানের মাধ্যমে রোগ নিরাময় একটি চলমান প্রক্রিয়া। সফলভাবে এটি চালু রাখার জন্য সারা দেশের সব গর্ভবতী মা ও শিশুকে এর আওতায় আনা, কর্মসূচির তদারক, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং এ-সম্পর্কিত সম্পদের ব্যবস্থাপনার দিক গুরুত্বপূর্ণ।
গত এক দশকে দেশে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বেড়েছে এবং তার বিস্তারও ঘটেছে। তবে রোগনির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে অসুবিধা তেমন দূর হয়নি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকেরা যেতে চান না। সারা দেশে বিস্তৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি তৎপরতার ঘাটতিও লক্ষণীয়। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। নবজাতক শিশুর যত্নের প্রতি অধিকতর দৃষ্টি দিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এখনো শিশু জন্মের দিনটি এ দেশে মা ও শিশুর জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দিন হয়ে রয়েছে। অথচ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মা ও নবজাতক স্বাস্থ্যবান ও সমৃদ্ধ সমাজের ভিত্তি। এ জন্য মা ও নবজাতকের যে স্বাস্থ্যগত চাহিদা আছে, তা মেটাতে উদ্যোগী হতে হবে রাষ্ট্রকেই। বেসরকারি সংস্থা এ কাজে শরিক হতে পারে। সবচেয়ে নাজুক যারা, তাদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
No comments