হেমন্তগোধূলি by কাইয়ুম চৌধুরী
হেমন্তের ছায়া ক্রমশ দীর্ঘায়িত হয়।
সর্ষে খেতের এলানো হলুদ
এখন কিছুটা ক্ষয়।
সর্ষে খেতের এলানো হলুদ
এখন কিছুটা ক্ষয়।
লালপেড়ে নীলশাড়ি কিশোরীর ছুটে চলা
ছাগশিশু কোলে
আলপথ বেয়ে গৃহমুখী।
আকাশের সবুজ সীমানায় পাখিদের
ওড়াউড়ি। কোলাহলে ক্লান্ত।
ঘরে ফেরা।
মধুফুলের গুঞ্জন আবছা আঁধারে
অপস্রিয়মাণ।
সোনালি জলে ভেসে আসে
অনেক দিনের খণ্ডিত ছবি
ইমনের বেদনাবিধুর তান।
নীশিথ যাম।
মৃদুলণ্ঠন দোলে, আড়কাঠি ঘিরে
স্রোতধ্বনি যেখানে জায়মান।
শ্রাবণের রুপালি ধারায় ছায়াছায়া
জলযান টাবুরে।
ভাতের গন্ধে ভেসে আসা কাঁথামুড়ি ওম।
নদীজলে নাওয়া আর ভাটিগাঙে গান
প্রতিধ্বনি নিয়ে ফেরে ওপারের গ্রাম।
উজান নদীতে জাহাজের ভোঁ দ্বিপ্রহরে—
চিলের ক্লান্তডাক কর্ণকুহরে।
সেইদিন
আজও অমলিন।
নিশিভোরে সোনালি মাঠে
রঙের গভীরে স্নান!
বর্ণিল দিন-রাত উদ্দাম উচ্ছল
আনন্দ প্রপাতে মেলে সব কোলাহল।
জলকণা করে নির্মাণ রঙের দেয়াল—
জীবনের কী বিপুল সাজ,
প্রস্ফুটিত হেমন্তগোধূলিতে
ফিরে দেখি আজ।
ছাগশিশু কোলে
আলপথ বেয়ে গৃহমুখী।
আকাশের সবুজ সীমানায় পাখিদের
ওড়াউড়ি। কোলাহলে ক্লান্ত।
ঘরে ফেরা।
মধুফুলের গুঞ্জন আবছা আঁধারে
অপস্রিয়মাণ।
সোনালি জলে ভেসে আসে
অনেক দিনের খণ্ডিত ছবি
ইমনের বেদনাবিধুর তান।
নীশিথ যাম।
মৃদুলণ্ঠন দোলে, আড়কাঠি ঘিরে
স্রোতধ্বনি যেখানে জায়মান।
শ্রাবণের রুপালি ধারায় ছায়াছায়া
জলযান টাবুরে।
ভাতের গন্ধে ভেসে আসা কাঁথামুড়ি ওম।
নদীজলে নাওয়া আর ভাটিগাঙে গান
প্রতিধ্বনি নিয়ে ফেরে ওপারের গ্রাম।
উজান নদীতে জাহাজের ভোঁ দ্বিপ্রহরে—
চিলের ক্লান্তডাক কর্ণকুহরে।
সেইদিন
আজও অমলিন।
নিশিভোরে সোনালি মাঠে
রঙের গভীরে স্নান!
বর্ণিল দিন-রাত উদ্দাম উচ্ছল
আনন্দ প্রপাতে মেলে সব কোলাহল।
জলকণা করে নির্মাণ রঙের দেয়াল—
জীবনের কী বিপুল সাজ,
প্রস্ফুটিত হেমন্তগোধূলিতে
ফিরে দেখি আজ।
No comments