যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন-ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যর্থ
গত বছর দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মাদকদ্রব্য উৎপাদিত হয়নি। কিন্তু ভারত ও মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অন্যান্য মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আন্তর্জাতিক মাদক নিয়ন্ত্রণ কৌশলবিষয়ক প্রতিবেদনে (আইএনসিএসআর) যুক্তরাষ্ট্র গত বুধবার এ কথা বলেছে।
বাংলাদেশে মাদকের প্রবেশ রোধে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্যের অভাবকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রমুখী মাদক পাচার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে বাংলাদেশ সরকার।
আন্তর্জাতিক মাদক পাচার রোধে যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশকে আর্থিক সাহায্য ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয়, ওই সব দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি বিষয়ে প্রতিবছরই কংগ্রেসে উপস্থাপনের জন্য এ প্রতিবেদন তৈরি করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য ও আইন প্রয়োগবিষয়ক ব্যুরো। দেশে মাদকের প্রবেশ রোধে সার্বিক ব্যর্থ পরিস্থিতির উল্লেখ করে এ বছরের (২০১২) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'তা সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নামের মাদক পাচার পথ ধরে বাংলাদেশে আসা প্রচুর মাদকদ্রব্য আটক করেছে দেশটির আইন প্রয়োগকারী বাহিনী।'
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর মেক্সিকোর বিভিন্ন মাদক পাচারকারী গ্রুপের কাছে বাংলাদেশ থেকে জাহাজযোগে পাচার হয়ে যাওয়া মাদকের চালানের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করেছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট মাদক ও অপরাধ দমনবিষয়ক একাধিক সংস্থার অংশ। ২০০৯ ও ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংস্থার জরিপের ফল বলেছিল, জল, স্থল ও আকাশপথে বাংলাদেশের সীমান্তের অনেক অংশই মাদক পাচারের ক্ষেত্রে বেশ ঝঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এবার প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে দরিদ্র ও অশিক্ষিত পরিবারের সন্তানরা এসব মাদকে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। দেশে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ হাজার মাদকসেবী আছে, যারা সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক সেবন করে। তাদের ৬৫ শতাংশই আবার একই সিরিঞ্জ অনেকে ব্যবহার করে। তাদের অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণ করে অথবা নিজেরাই যৌন হয়রানির শিকার। পথশিশুদের অনেকে নিজেদের আত্মীয়দের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়ে অথবা প্রলুব্ধ হয়ে মাদক সেবনে নিযুক্ত হয়। এভাবে দেশে এইচআইভি/এইডস সংক্রমণেরও ঝুঁকি বাড়ে।
উল্লেখ্য, নিজস্ব উৎপাদনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার হয়ে আসে প্রধানত মেক্সিকো সীমান্ত পথে। বৈদেশিক সাহায্য আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মাদক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে এর বিনিময়ে মাদক পাচার বিষয়ে তথ্য নেয়।
আন্তর্জাতিক মাদক পাচার রোধে যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশকে আর্থিক সাহায্য ও অন্যান্য সহযোগিতা দেয়, ওই সব দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি বিষয়ে প্রতিবছরই কংগ্রেসে উপস্থাপনের জন্য এ প্রতিবেদন তৈরি করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য ও আইন প্রয়োগবিষয়ক ব্যুরো। দেশে মাদকের প্রবেশ রোধে সার্বিক ব্যর্থ পরিস্থিতির উল্লেখ করে এ বছরের (২০১২) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'তা সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল নামের মাদক পাচার পথ ধরে বাংলাদেশে আসা প্রচুর মাদকদ্রব্য আটক করেছে দেশটির আইন প্রয়োগকারী বাহিনী।'
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছর মেক্সিকোর বিভিন্ন মাদক পাচারকারী গ্রুপের কাছে বাংলাদেশ থেকে জাহাজযোগে পাচার হয়ে যাওয়া মাদকের চালানের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করেছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট মাদক ও অপরাধ দমনবিষয়ক একাধিক সংস্থার অংশ। ২০০৯ ও ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংস্থার জরিপের ফল বলেছিল, জল, স্থল ও আকাশপথে বাংলাদেশের সীমান্তের অনেক অংশই মাদক পাচারের ক্ষেত্রে বেশ ঝঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এবার প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে দরিদ্র ও অশিক্ষিত পরিবারের সন্তানরা এসব মাদকে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। দেশে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ হাজার মাদকসেবী আছে, যারা সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক সেবন করে। তাদের ৬৫ শতাংশই আবার একই সিরিঞ্জ অনেকে ব্যবহার করে। তাদের অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ যৌন আচরণ করে অথবা নিজেরাই যৌন হয়রানির শিকার। পথশিশুদের অনেকে নিজেদের আত্মীয়দের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়ে অথবা প্রলুব্ধ হয়ে মাদক সেবনে নিযুক্ত হয়। এভাবে দেশে এইচআইভি/এইডস সংক্রমণেরও ঝুঁকি বাড়ে।
উল্লেখ্য, নিজস্ব উৎপাদনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার হয়ে আসে প্রধানত মেক্সিকো সীমান্ত পথে। বৈদেশিক সাহায্য আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে মাদক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে এর বিনিময়ে মাদক পাচার বিষয়ে তথ্য নেয়।
No comments